রিজিক তালাশ করতে করতে যেনো না-হয় আমাদের মৃত্যু ''!
সঠিক জ্ঞান থাকলে মানুষ রিজিকের জন্য কখনো মৃত্যুবরণ করবে না, প্রতিনিয়ত দুনিয়াতে নতুন নতুন দুর্ঘটনা ঘটছে, যত দিন যাচ্ছে তত বাড়ছে ফেতনা আর মানুষের আহাজারি, হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের মানবতা, হয়ে যাচ্ছে মানুষের স্বভাব পশুর মত বা তার থেকেও নিম্ন, সম্মান শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কোথায় কাকের দেখাতে হবে বা কে সম্মানের প্রাপ্য মানুষ সেটাই পার্থক্য করতে ভুলে যাচ্ছে!
আর মানুষের স্বভাব নিজে যতটুকু সম্মান প্রাপ্য ততোটা না পেলে নিজেরা মনে করে নিজেকে মূল্যহীন।
আর বর্তমানে দেখা যাচ্ছে নিজেকে নিজে মূল্য দিতে গিয়ে নিজেই নিজের প্রাণটাই বিসর্জন দিয়ে দিচ্ছে, আসলে কি একবারও চিন্তা করে দেখা হচ্ছে বা দেখার সুযোগটা পাওয়া যাচ্ছে!, আমি আমার প্রাণ শেষ করে দিলে পৃথিবীতে কারো কোন কিছু যায় আসে না, আর এতে আমার কোন সম্মানও খুব একটা বাড়বেনা।
•• বিশেষ করে সম্মান বা মর্যাদা এই দুইটা বিষয় কেউ কাউকে দিতে পারেনা যদি আল্লাহ তায়ালা না দেন।
সম্মান মর্যাদা এগুলো আল্লাহ তায়ালার কাছে চাইতে হয়, আর চাওয়ার পরে আল্লাহ তায়ালা যদি আমাদেরকে দিয়ে দেয় যা আপনি তার কাছে চেয়েছিলেন সেটা আল্লাহতালার পক্ষ থেকে আপনার জন্য রহমত, আর যদি যাওয়ার পরও সেটা আল্লাহ তায়ালা আপনাকে না দেন তাহলে বুঝে নিতে হবে এটা আল্লাহতালার পক্ষ থেকে আপনার জন্য হিকমত।
আর রহমতের কদর যেভাবে আমাদের করতে হবে ঠিক তদ্রুপ হিকমতকেও গুরুত্ব দিতে হবে, যা চেয়েছেন তা পাননি তার মানে এই না যে আপনি আপনার জীবনটাই শেষ করে দিবেন, আর আপনার জীবনটা যদিও আপনি মনে করেন সেটা আপনার কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আপনার জীবনের মালিক আপনি না, আপনাকে যিনি জীবন দান করেছেন পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, আপনার রিজিকের ব্যবস্থা করে রেখেছেন যেটা আপনি দুনিয়াতে আসার আরো ৫০ বছর আগের কথা, আপনি কি পাবেন কি পাবেন না দুনিয়াতে কি খাবেন কি খাবেন না কিভাবে চলাফেরা করবেন কাদের সাথে চলাফেরা করবেন সকল কিছুই আপনাকে পৃথিবীতে পাঠানোর আগেই নির্দিষ্ট করে লিখা হয়ে গেছে, হ্যাঁ তবে এটা হতে পারে যে আপনি যদি দুনিয়াতে দোয়া করেন দোয়ার মাধ্যমে কিছুটা পরিবর্তন হলেও হতে পারে যদি আপনার তাকদিরে লেখা থাকে যে আপনার দোয়ার মাধ্যমে সেটা পরিবর্তন হবে তাহলে সেটা পরিবর্তন হবে অবশ্যই আপনি দোয়া করলে, তাই দুনিয়াতে প্রত্যেকটা মানুষেরই আল্লাহতালার কাছে চাইতে হবে নিজের জীবনের প্রতি অস্থিরতা প্রকাশ করলে হবে না, প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে জীবন শেষ করে দিলে চেষ্টা কিভাবে হবে?
যতদিন দুনিয়ার হায়াত পাবেন ততদিন দুনিয়াকে উপভোগ করতে থাকেন সুখে দুখে যেমনই কাটুক আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন, আল্লাহর পথে চলে তার নির্দেশনা মান্য করে দুনিয়ার বুকে চলাফেরা করলে একটু কষ্ট হোক তবে এই কষ্টের প্রতিদান দ্বিগুণ হিসেবে পাবেন আপনি এই আশা নিয়েই দুনিয়ার জীবনটা পরিচালিত করুন। ইনশাআল্লাহ দুনিয়াতে সফলতা আসুক বা না আসুক আখিরাতের সফলতা অবশ্যই আসবেন।
••• গত দুই দিন আগে একটা ঘটনা ফেসবুকে দেখলাম, যখন চোখে পড়ল ঘটনাটা খুবই খারাপ লাগলো বলার কোন ভাষা পাইনি তখন শুধু তাকিয়ে ছিলাম, প্রথম দিন একটা ঘটনা দেখলাম যে এক বাবাকে তারই ছেলে সন্তানেরা হাত পা বেঁধে গরম পানি ঢেলে দিচ্ছে, আর বাবা চিৎকার করছে আর বলছে আল্লাহ গো মাগো আমারে বাঁচাও, কয়েকবার এমন করে চিল্লানোর পরে আবারো বলছে জসিমের মাগো আমারে বাঁচাও, এভাবে বাবা চিৎকার করতেছিল আর ছেলেরা তার গায়ে গরম পানি ঢালতে ছিল, কি বিধায়ক কথা নিজের সন্তান কি করে তার বাবার গায়ে গরম পানি ঢালে, তাদের হাত কি একটুও কাটলো না! তারা কি তাদের জীবন নিয়ে একটুও ভয় নেই! তারা কি পৃথিবীতেই থাকবে চিরকাল! তারা কি তাদের রবের সন্নিকটে হাজির হবে না! তাদেরকে কি তাদের প্রতিপালকের কাছে তাদের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে না! আমি তাদের এই ভিডিওটা দেখতেছিলাম আর চিন্তা করতেছিলাম।
••• একটা ঘটনা শেষ হওয়ার আগেই চোখের সামনে আরো একটা ঘটনা চলে আসে, পরের দিন মোবাইল হাতে নিলাম হঠাৎ দেখিয়ে চোখের সামনে আরো একটা ভিডিও এক বৃদ্ধ বাবা তার স্ত্রী মারা গেছে আট মাস হল, এই আট মাস ধরে বাবা ছেলেদের মেয়েদের ঘরেই খাবার খাই, আর ছেলেরা বাবাকে ভাত খাওয়াতে খুবই অনিচ্ছা প্রকাশ করে, এমনও সময় গিয়েছে সে বাবা না খেয়ে ছিলো এমনও দিন গেছে যে বাবাকে ঘরেও রাখেনি, দরজা বন্ধ করে রেখেছে ছেলেরা আর বাবা ছিল উঠানে, শেষমেষ গত দুইদিন আগে সেদিনও ছেলেরা বাবাকে তারা ঘরে রাখেনি সারারাত বাবা বাহিরে ছিল পরে সকালে অনেকক্ষণ রেল স্টেশনে গিয়ে অপেক্ষা করছিল যখন ট্রেন আসছে বাবা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ট্রেন টার দিকে তাকিয়ে আছে যখনই একটু সামনের দিকে আসছে ওই লোক নিজ থেকে শুয়ে পড়েছে ট্রেন তার গায়ের উপর দিয়ে চড়াও হয়ে চলে গেছে...... এভাবেই বৃদ্ধ বাবা তার জীবনকে শেষ করে দিয়েছে, এই ঘটনাটা যখন চোখের সামনে পড়লো আগের দিনের বাবাকে গরম পানির ঢেলে দেওয়া দেখে যতটা শিহরিত হয়েছিলাম তার থেকেও বাবার মৃত্যুটা দেখে আরো বেশি হতবঙ্গ হয়ে গিয়েছিলাম, নিজেই হারিয়ে ফেলেছিলাম নিজের ভাষা, আমরা কি মানুষ!পৃথিবীতে কি আমরাই বসবাস করছি? আমাদেরকে কি শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল, এই পৃথিবীতে আমরাই কি আশরাফুল মাখলুকাত!
তখন আবারো ভাবলাম হা আমরাই তো আশরাফুল মাখলুকাত, পৃথিবীতো আমাদের জন্যই সুন্দর, এই পৃথিবীটাকে আমরা যেভাবে সুন্দর করে সাজাবো, ঠিক পৃথিবীর অতটাই সুন্দর হবে, পৃথিবীর সৌন্দর্য কেবল আমাদের মন-মানসিকতা আমাদের চলাফেরা আমাদের আচার ব্যবহার ও আমাদের নীতি-নৈতিকতার উপর নির্ভর করে, যেমন একটা শিশুর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার পিতা-মাতা ও পারিবারিক শিক্ষার উপর, পিতা-মাতা যদি ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত করে তাহলে কেবল সন্তান বা শিশু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়, আর যদি পরিবার পৃথিবীতে আসার পরই ওই ছোট্ট শিশুকে ছেড়ে দেয় তার উপর তাহলে সে পৃথিবীতে এসে বাঁচবে কিনা সেটাই সন্দেহ, তদ্রুপ মানুষের এসব আচার ব্যবহার পৃথিবীতে নোংরা দিকে নিয়ে যাবে, আর বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া সকলেই ব্যবহার করে হোক সেটা কম বা বেশি, তাই প্রত্যেকটা পরিবারের পিতা-মাতা বা বড়দের উচিত এই ভার্চুয়াল জগতের বিষয়গুলো পরিবারের মধ্যে যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়, হ্যাঁ কেউ করেছে একটা কাজ ওই বিষয়টা নিয়ে নিজের পরিবার বা সন্তানদেরকে তালিম দিতে হবে অর্থাৎ তাদেরকে বুঝাতে হবে তারা যে কাজটা করেছে সে কাজটা ঠিক ছিল না কারণ হয়তোবা আপনি নিজের ভিডিওটা বা এসব ঘটনা দেখে চুপ ছিলেন বা পরিবারে কিছু বলেননি ঠিক এই জিনিসটা আপনার বাচ্চার সামনেও আস না হয় কাল আসবে এবং সে এই ঘটনাটা দেখবে, তখন অনেক সময় সেও এই ব্যবহারটা তার ভিতরে চলে আসবে কারণ আপনি কোন বাচ্চা বা শিশুকে যেটা বলে বোঝাতে পারবেন সে কিন্তু বলে বোঝার থেকেও দেখে জিনিসটা খুব তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করার চেষ্টা করবে, আর সে এই ঘটনাটা দেখার আগেই যদি আপনি তাকে এই ঘটনার বিস্তারিত আগে থেকে বুঝিয়ে দেন তাহলে হবে কি সে যখন এই ভিডিওটা দেখবে বা শুনবে তখন তার আপনার কথাটা মনে পড়বে যে আমার ফ্যামিলি আমাকে এই কথাটা বলেছিল এটা ওদের ঠিক হয়নি। তখন এই ভিডিও বা এসব কাহিনীর কোন প্রভাব তার ওপর পড়বে না।
পারিবারিক শিক্ষা বা পারিবারিক আলোচনা অনেক বড় কিছুর প্রভাব ফেলতে পারে সন্তানদের উপর, শুধু আমরা পারিবারিক আলোচনার মধ্যেই আমাদের পরিবারগুলোকে সীমিত না রাখি, কারণ বর্তমানে কোন সন্তানি শুধু পারিবারিক আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা।
আর যে সমস্ত ছেলেরা রিজিকের জন্য তার বাবা বাবা মাকে ত্যাগ করে ফেলতেছে, তারা ভুলে গিয়েছে যে রিজিকের মালিক কোন বান্দা না, তার স্ত্রী বা নিজে যে উপার্জনের টাকা দিয়ে খাচ্ছে আর ভাবছে বাড়তি একজনকে না খাওয়ালে হতে পারে তাদের উপার্জিত সম্পদ আরেকটু বৃদ্ধি পাবে এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল।
হতে পারে ছেলের ইনকাম থেকে পিতা বা মাথা খাচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পিতা বা মাতা তারা তাদের লিখিত রিজিকি খাচ্ছে আপনার উপার্জিত সম্পদ না, আপনার যেটুকু সম্পদ জমা থাকার কথা আল্লাহতালা সেটুকু সম্পদ আপনাকে জমা রাখবেনই, এটা আপনি তাদেরকে খাওয়ান বা না খাওয়ান।
পৃথিবীতে কারো রিজিক থাকলে সে কখনো মৃত্যুবরণ করবে না যতক্ষণ না সে ওই রিযিক না খায়,এটা আল্লাহতায়ালার প্রতিশ্রুতি। আপনার আমার কোন মনগড়া লিখিত গল্প কাহিনী না ।
আল্লাহ তা'আলা যাকে অপছন্দ করেন তাকেও অঢেল ধন সম্পদ দান করেন। আর যাকে পছন্দ করেন তাকে দান করেন হিকমাহ।
যাকে হিকমাহ দান করা হয় তার ভিতরে থাকে সাকিনা।
•• আরবি সাকিনা শব্দের অর্থ শান্ত, প্রশান্ত, ধীর, স্থির।
টেবিল ভর্তি খাবার অথচ প্রত্যেকটা খাবারে আপনি দোষ খুঁজে পাচ্ছেন, পেট ভরে খেতে পারছেন না। কেননা আপনাকে সম্পদ দান করা হয়েছে, হিকমাহ দেয়া হয়নি যে কারণে আপনার ভিতর সাকিনা নেই।
আপনাকে হিকমাহ দেয়া হয়েছে যে জন্যে আলু ভর্তা আর ডাল দিয়েও পরম প্রশান্তি নিয়ে পেট ভরে খেয়ে উঠে বলে উঠবেন আলহামদুলিল্লাহ।
উচ্চশিক্ষিতা সুন্দরী স্ত্রী পেয়েও আপনি তাকে নিয়ে সুখী নন, কারণ আপনাকে হিকমা দেয়া হয়নি।
টয়োটা এলিয়নে চড়েও আপনি সুখী নন, আপনার কেন পাজেরো নাই? এর কারণ আপনার মাঝে হিকমাহ নাই, সাকিনা উঠে গেছে। আপনি আপনার অবস্থানে সুখী নন।
••আরবি হিকমা শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা।
যাকে আল্লাহ তা'আলা হিকমা দান করেন সে সর্ব অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকে, শান্তিতে থাকে। এর অর্থ নিজেকে মানিয়ে চলা এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকা।
*** রিজিক শব্দের অর্থ অনেক ব্যাপক।
•• রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।
•• রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।
•• রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং
•• রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি।
আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নির্দিষ্ট।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না এবং একটিও বেশি না।
•• ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্ তা'আলা নিয়েছেন।
কিন্তু, আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার।
যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!
আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে তখনই নির্ধারিত হয়েছে যে, সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি বা কিনেনি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিযিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না! রিযিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।
*** রিযিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!
কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিযিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা'য়ালাই আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!
কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিযিকের ভাগই খাচ্ছেন।
আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি, সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্ তা'আলার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি। কেননা,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
-------"দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।"
-----(সুরা হুদ : আয়াত ৬)
আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ
-------"যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিযিক দেবেন, যা সে ধারণাও করতে পারবে না।"
-----(সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)
মহান আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সঠিক পথ এবং হালাল ও প্রশস্ত কামাই রোজগার ও রিযিক এর ব্যবস্থা করে দিন এবং সকল প্রকার হারাম কামাই রোজগার ও রিযিক থেকে হিফাযত করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, এবং হিফাযত করুন সব খারাপি থেকে যে খারাপি চোখে পড়লেই খারাপ লাগে, কারণ সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ আমাদের কিছু হয় না তবুও তাদের খারাপ কিছু দেখলে খারাপ লাগে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকেও হেফাজত করুক আমাদেরকেও হেফাজত করুক, আর এমন বিষয় থেকে সকলকে দূরে রাখুক, যে বিষয়ে দেখলে ভালো মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে, যেমন বর্তমানের কাহিনী গুলো যদি আমার মা অসুস্থ যারা হাটের রোগী তা তার থেকেও বড় কোন রোগী তারা যখন দেখবে যে নিচ সন্তানদের উপর বাবা-মার এত নির্যাতন তখন তাদেরও চিন্তা হবে আমাদেরকে নিয়ে তাই সকল পিতা-মাতাকে এমন অবস্থা থেকে হেফাজত করুন। আর সন্তানদেরকে আল্লাহ তায়ালা সঠিক বুঝ দান করুণ। ( আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকেও দান করুক উত্তম সন্তান ও উত্তম স্বামী।
( আমীন) সুম্মা আমীন।
Comments
Post a Comment