মুসলিম ব্যক্তি যদি ৪ টি কাজ করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতেই ৩ টি পুরস্কার তাকে দিয়ে দেয়!
সূরা নূরের ৫৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা দিয়েছেন,
وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَىٰ لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّن بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا ۚ يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا ۚ وَمَن كَفَرَ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
[ النور: 55]
অর্থাৎ,তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকতৃ দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য। [সূরা নূর: 55]
••• তাফসিরে মাআ'রিফুল কুরআন এ খুব সুন্দর করে এই আয়াতের বেখ্যা করেছেন,
আসেন আমরা একবার দেখে আসি তাফসিরে কি বলেছেন..।
*** (হে সফল উম্মত) তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে (অর্থাৎ আল্লাহ্ প্রেরিত নূরে-হিদায়াতের পুরোপুরি অনুসরণ করে।) তাদেরকে আল্লাহ্ তা’আলা প্রতিশ্রুতি দেন যে, তাদেরকে (এই অনুসরণের কল্যাণে) পৃথিবীতে রাজত্ব দান করবেন, যেমন তাদের পূর্ববর্তী (হিদায়াত প্রাপ্ত) লোকদেরকে রাজত্ব দিয়েছিলেন। (উদাহরণত বনী ইসরাইলকে ফিরাউন ও তার সম্প্রদায় কিবতীদের উপর প্রবল করেছিলেন। এরপর শাম দেশে আমালেকার ন্যায় দুর্ধর্ষ জাতির উপর তাদেরকে আধিপত্য দিয়েছিলেন এবং মিসর ও শাম দেশের শাসনকর্তৃত্বের উত্তরাধিকারী করেছিলেন)। আর (এই রাজত্ব দান করার উদ্দেশ্য এই যে) তিনি যে ধর্মকে তাদের জন্য পছন্দ করেছেন (অর্থাৎ ইসলাম; যেমন অন্য আয়াতে আছে رَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا) তাকে তাদের (পরকালীন উপকারে) জন্য শক্তিশালী করবেন এবং (শত্রুদের তরফ থেকে তাদের যে স্বাভাবিক ভয়ভীতি) তাদের ভয়ভীতির পর তাদেরকে শাস্তি দান করবেন এই শর্তে যে, তারা আমার ইবাদত করবে। এবং আমার সাথে কোন প্রকার শিরক করবে না। (প্রকাশ্যও নয় অপ্রকাশ্যও নয়, যাকে রিয়া বলা হয়) অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলার এই প্রতিশ্রুতি ধর্মের উপর পূর্ণরূপে কায়েম থাকার শর্তাধীন। এই প্রতিশ্রুতি তো দুনিয়ার জন্য। পরকালে ঈমান ও সৎ কর্মের কারণে যে মহান প্রতিদান ও চিরন্তন সুখ-শান্তির প্রতিশ্রুতি আছে, সেটা ভিন্ন।) যে ব্যক্তি এরপর (অর্থাৎ এই প্রতিশ্রুতি জাহির হওয়ার পর) অকৃতজ্ঞ হবে, (অর্থাৎ ধর্ম বিরোধী পথ অবলম্বন করবে, তার জন্য এই প্রতিশ্রুতি নয়; কেননা) তারাই নাফরমান। (প্রতিশ্রুতি ছিল ফরমাবরদারদের জন্য। তাই তাদেরকে দুনিয়াতেও রাজত্ব দান করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়নি এবং পরকালের শাস্তিও ভিন্ন হবে। হে মুসলমানগণ, তোমরা যখন ঈমান ও সৎ কর্মের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উপকারিতা শুনেছ, তখন তোমাদের উচিত যে) তোমরা নামায় কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং (অবশিষ্ট বিধানাবলীতেও) রাসূলের আনুগত্য কর, যাতে তোমাদের প্রতি পূর্ণ অনুগ্রহ করা হয়। (এরপর কুফর ও অবাধ্যতার পরিণাম উল্লেখ করা হয়েছে যে, হে সম্বোধিত ব্যক্তি) কাফিরদের সম্পর্কে এরূপ ধারণা করো না যে, পৃথিবীতে (অর্থাৎ পৃথিবীর কোন অংশে পলায়ন করবে এবং) আমাকে হারিয়ে দেবে (এবং আমার ক্রোধ থেকে বেঁচে যাবে। না, বরং তারা স্বয়ং হেরে যাবে এবং ক্রোধের শিকার ও পরাভূত হবে। এটা দুনিয়ার পরিণাম। পরকালে) তাদের ঠিকানা দোয়খ। কত নিকৃষ্টই না এ ঠিকানা!
শানে নুযূলঃ কুরতুবী আবুল আলিয়া থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা) ওহী অবতরণ ও নবুয়ত ঘোষণার পর দশ বছর কাফির ও মুশরিকদের ভয়ে ভীত অবস্থায় মক্কা মুকাররমায় অবস্থান করেন। এরপর মদীনায় হিজরতের আদেশ হলে সেখানেও সর্বদা মুশরিকদের আক্রমণের আশংকা বিদ্যশান ছিল। একবার জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে এসে আরয করলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমরা নিরস্ত্র অবস্থায় শান্তিতে ও সুখে বসবাস করব—এরূপ সময় কি কখনও আসবে ? রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেন : এরূপ সময় অতি সত্ত্বরই আসবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য আয়াতসমূহ অবতীর্ণ হয়। —(কুরতুবী, বাহর) হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন : আল্লাহ্ তা’আলা আয়াতে বর্ণিত ওয়াদা উম্মতে মুহাম্মদীকে তার অস্তিত্ব লাভের পূর্বেই তওরাত ও ইনজীলে দিয়েছিলেন। —(বাহরে-মুহীত)
আল্লাহ্ তা’আলা রাসূলুল্লাহ্ (সা)-কে তিনটি বিষয়ের ওয়াদা দিয়েছেন।
১. আপনার উম্মতকে পৃথিবীর খলীফা ও শাসনকর্তা করা হবে,
২. আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামকে প্রবল করা হবে এবং-
৩. মুসলমানদেরকে এমন শক্তি ও শৌর্য-বীর্য দান করা হবে যে, চাদের অন্তরে শত্রুর কোন ভয়ভীতি থাকবে না।
আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর এই ওয়াদা পূর্ণ করেছেন। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর পুণ্যময় আমলে মক্কা, খায়বর, বাহরাইন, সমগ্র আরব উপত্যকা ও সমগ্র ইয়ামন তাঁরই হাতে বিজিত হয় এবং তিনি হিজরের অগ্নিপূজারী ও শ্যাম দেশের কতিপয় অঞ্চল থেকে জিযিয়া কর আদায় করেন। রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস মিসর ও আলেকজান্দ্রিয়ার সম্রাট মুকাউকিস, আম্মান ও আবিসিনিয়া সম্রাট নাজ্জাশী প্রমুখ রাসূলুল্লাহ্, (সা)-এর কাছে উপঢৌকন প্রেরণ করেন ও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। তাঁর ইন্তিকালের পর হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) খলীফা হন। তিনি রাসূলুল্লাহ্, (সা)-এর ওফাতের পর যে দ্বন্ধ-সংঘাত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তা খতম করেন এবং পারস্য, সিরিয়া ও মিসর অভিমুখে সৈন্যাভিযান করেন। বসরা ও দামেস্ক তাঁরই আমলে বিজিত হয় এবং অন্যান্য দেশেরও কতক অংশ করতলগত হয়।
হযরত আবূ বকর সিদ্দীকের ওফাতের সময় নিকটবর্তী হলে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর অন্তরে ওমর ইবনে খাত্তাবকে পরবর্তী খলীফা নিযুক্ত করার ইলহাম করেন। ওমর ইবনে খাত্তাব খলীফা নিযুক্ত হয়ে শাসনব্যবস্থা এমনভাবে সুবিন্যস্ত করলেন যে, পয়গম্বরগণের পর পৃথিবী এমন সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শাসন-ব্যবস্থা আর প্রত্যক্ষ করেনি। তাঁর আমলে সিরিয়া পুরোপুরি বিজিত হয়। এমনিভাবে সমগ্র মিসর ও পারস্যের অধিকাংশ করতলগত হয়। তাঁর হাতে কায়সার ও কিসরা সমূলে নিশ্চিহ্ন হয়। এরপর উসমানী খিলাফতের আমলে ইসলামী বিজয়ের পরিধি পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ে। পাশ্চাত্য দেশসমূহ, আন্দালুস ও সাইপ্রাস পর্যন্ত, দূরপ্রাচ্যে চীন ভূখণ্ড পর্যন্ত এবং ইরাক, খোরাসান ও আহওয়ায ইত্যাদি সব তাঁর আমলে মুসলমানদের অধিকারভুক্ত হয়। সহীহ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন আমাকে সমগ্র ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত একত্রিত করে দেখানো হয়েছে। আমার উম্মতের রাজত্ব যেসব এলাকা পর্যন্ত পৌঁছবে সেগুলো আমাকে দেখানো হয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলা এই প্রতিশ্রুতি ওসমানী খিলাফতের আমলেই পূর্ণ করে দেন। (ইবনে কাসীর) অন্য এক হাদীসে বলা হয়েছে, খিলাফত আমার পরে ত্রিশ বছর থাকবে। পর অর্থ খিলাফতে রাশেদা, যা সম্পূর্ণরূপে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর আদর্শের উপর ভিত্তিশীল ছিল। এই খিলাফত হযরত আলী (রা) পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। কেননা, ত্রিশ বছরের মেয়াদ হযরত আলী (রা) পর্যন্ত পূর্ণ হয়ে যায়।
ইবনে কাসীর এ স্থলে সহীহ্ মুসলিমের একটি হাদীস উদ্ধৃত করেছেন। হযরত জাবের ইবনে যামরা বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মতের কাজ অব্যাহত থাকবে যে পর্যন্ত বারজন খলিফা থাকবেন। ইবনে কাসীর বলেনঃ এই হাদীসটি উম্মতের মধ্যে বারজন খলীফা হওয়ার সংবাদ দিচ্ছে। এর বাস্তবায়ন জরুরী। কিন্তু এটা জরুরী নয় যে, তারা সবাই উপর্যুপরি ও সংলগ্নই হবেন; বরং কিছু বিরতির পরও হতে পারেন। তাদের মধ্যে চারজন খলীফা তো একের পর এক হয়ে গেছেন অর্থাৎ খোলাফায়ে রাশেদীন। অতঃপর কিছুকাল বিরতির পর হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজীজ খলীফা হয়েছেন। তাঁর পরেও বিভিন্ন সময়ে এরূপ খলীফা হয়েছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত হবেন। সর্বশেষ হবেন হযরত মাহদী। রাফেযী সম্প্রদায় যে বারজন খলীফা নির্দিষ্ট করেছে, তার কোন প্রমাণ হাদীসে নেই, বরং তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছেন, খিলাফতের সাথে যাদের কোন সম্পর্ক ছিল না। এটাও জরুরী নয় যে, তাঁদের সবার মর্যাদা সমান হবে এবং সবার আমলে দুনিয়ার শান্তি ও শৃঙ্খলা সমান হবে; বরং শান্তির ওয়াদা ঈমান, সৎকর্ম, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও পূর্ণ অনুসরণের উপর ভিত্তিশীল। এগুলো বিভিন্ন রূপ হলে রাষ্ট্রের প্রকার ও শক্তির মধ্যেও পার্থক্য ও বিভিন্নতা অপরিহার্য। ইসলামের চৌদ্দশত বছরের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন দেশে যখন ও যেখানে কোন ন্যয়পরায়ণ ও সৎকর্মী বাদশাহ্ হয়েছেন, তিনি তাঁর কর্ম ও সততার পরিনাম এই আল্লাহর প্রতিশ্রুতির অংশ লাভ করেছেন। কোরআন পাকের অন্যত্র বলা হয়েছে,
فَإِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْغَالِبُونَ
অর্থাৎ আল্লাহর দলই প্রবল থাকবে।
আলোচ্য আয়াত দ্বারা খোলাফায়ে রাশেদীনের খিলাফত ও আল্লাহর কাছে মকবুল হওয়ার প্রমাণ : এই আয়াত রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর নবুয়তের প্রমাণ। কেননা, আয়াতে বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী হুবহু পূর্ণ হয়েছে।
এমনিভাবে আয়াতটি খোলাফায়ে রাশেদীনের খিলাফতের সত্যতা, বিশুদ্ধতা ও আল্লাহর কাছে মকবুল হওয়ারও প্রমাণ। কেননা, আয়াতে আল্লাহ্ তা’আলা যে প্রতিশ্রুতি স্বীয় রাসূল ও উম্মতকে দিয়েছিলেন, তার পুরোপুরি বিকাশ তাঁদের আমলে হয়েছে। যদি তাঁদের খিলাফতকে সত্য ও বিশুদ্ধ স্বীকার করা না হয়; যেমন রাফেযীদের ধারণা তদ্রুপই; তবে বলতে হবে যে, কোরআনের এই প্রতিশ্রুতি হযরত মাহদীর আমলে পূর্ণ হবে। এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার বৈ নয়। এর সারমর্ম এই দাঁড়ায় যে, চৌদ্দশত বছর পর্যন্ত সমগ্র উম্মত অপমান ও লাঞ্ছনার মধ্যে দিনাতিপাত করবে এবং কিয়ামতের নিকটতম সময়ে ক্ষণকালের জন্য তারা রাজত্ব লাভ করবে। এই প্রতিশ্রুতিতেই সেই রাজত্ব বুঝানো হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ।
সত্য এই যে, ঈমান ও সৎকর্মের যেসব শর্তের ভিত্তিতে আল্লাহ তা’আলা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেসব শর্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের মধ্যে সর্বাধিক পরিপূর্ণরূপে বিদ্যমান ছিল এবং আল্লাহর ওয়াদাও সম্পূর্ণরূপে তাঁদের আমলে পূর্ণ হয়েছে। তাঁদের পরে ঈমান ও সৎকর্মের সেই মাপকাঠি আর বিদ্যমান নেই ; এবং খিলাফত ও রাজত্বের সেই গাম্ভীর্যও আর প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
كفر— وَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
শব্দের আভিধানিক অর্থ অকৃতজ্ঞতা এবং পারিভাষিক অর্থ ঈমানের বিপরীত। এখানে উভয় প্রকার অর্থ বুঝানো যেতে পারে। আয়াতের অর্থ এই যে, যখন আল্লাহ্ তা’আলা মুসলমানদেরকে প্রদত্ত এই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে দেন, মুসলমানরা রাষ্ট্রীয় শক্তি, শান্তি ও স্থিরতা লাভ করে এবং তাদের ধর্ম সুসংহত হয়ে যায়, তখনও যদি কোন ব্যক্তি কুফর করে অর্থাৎ ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় কিংবা ইসলামী রাষ্ট্রের আনুগত্য বর্জন করে অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করে, তবে এরূপ লোকেরাই সীমালংঘনকারী। প্রথমাবস্থায় ঈমানের গণ্ডি অতিক্রম করে এবং দ্বিতীয় অবস্থায় আনুগত্যের সীমা পার হয়ে যায়।
কুফর ও অকৃতজ্ঞতা সর্বদা সর্বাবস্থায় মহাপাপ; কিন্তু ইসলাম ও মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি এবং শৌর্য-বীর্য ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এসব কাজ দ্বিগুণ অপরাধ হয়ে যায়।
তাই بَعْدَ ذَلِكَ বলে একে জোরদার করা হয়েছে। ইমাম বগভী বলেনঃ তফসীরবিদ আলিমগণ বলেছেন যে, কোরআনের এই বাক্য সর্বপ্রথম সেসব লোকের উপর প্রতিফলিত হয়েছে, যারা খলীফা হযরত উসমান (রা)-কে হত্যা করেছিল। তাদের দ্বার এই মহাপাপ সংঘটিত হওয়ার পর পর আল্লাহ্ তা’আলার উল্লিখিত নিয়ামতসমূহও হ্রাস পেয়ে যায়। তারা পারস্পরিক হত্যাযজ্ঞের কারণে ভয় ও ত্রাসের শিকারে পরিণত হয়। যারা ছিল পরস্পরে ভাই ভাই, তারা একে অন্যকে হত্যা করতে থাকে। বগভী নিজস্ব সনদ দ্বারা হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে সালামের নিম্নোক্ত ভাষণ উদ্ধৃত করেছেন।
তিনি হযরত উসমানের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সংঘটিত হওয়ার সময় এই ভাষণটি দেন।
ভাষণটি এইঃ
যেদিন রাসূলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় পদার্পণ করেন, সেইদিন থেকে আল্লাহর ফেরেশতারা তোমাদের শহর পরিবেষ্টন করে তোমাদের হিফাযতে মশগুল আছে। যদি তোমরা উসমানকে হত্যা কর, তবে এই ফেরেশতারা ফিরে চলে যাবে এবং কখনও প্রত্যাবর্তন করবে না।
আল্লাহর কসম, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাকে হত্যা করবে, সে আল্লাহর সামনে হস্ত কর্তিত অবস্থায় হাযির হবে, তার হাত থাকবে না। সাবধান,
আল্লাহর তরবারি এখনও পর্যন্ত কোষবদ্ধ আছে। আল্লাহর কসম, যদি এই তরবারি কোষ থেকে বের হয়ে পড়ে, তবে কখনো কোষে ফিরে যাবে না। কেননা, যখন কোন নবী নিহত হন,
তখন তাঁর পরিবর্তে সত্তর হাজার মানুষ নিহত হয় এবং যখন কোন খলীফাকে হত্যা করা হয়, তখন পঁয়ত্রিশ হাজার লোককে হত্যা করা হয়- (মযহারী)
সেমতে হযরত উসমান গনীর হত্যার পর যে পারস্পরিক হত্যাকাণ্ড আরম্ভ হয়, তা মুসলমানদের মধ্যে অব্যাহতই রয়েছে।
হযরত উসমানের হত্যাকারীরা খিলাফত ও ধর্মীয় সংহতির ন্যায় নিয়ামতের বিরোধিতা এবং অকৃতজ্ঞতা করেছিল, তাদের পর রাফেযী ও খারেজী সম্প্রদায়ের লোকেরা খুলাফায়ে রাশেদীনের বিরোধিতায় দলবদ্ধ হয়েছিল।
এই ঘটনা পরম্পরার মধ্যেই হযরত হোসাইন (রা)-এর শাহাদতের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়।
*** মুসলিম ব্যক্তি যদি ৪ টি কাজ করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতেই ৩ টি পুরস্কার তাকে দিয়ে দিবেন,
১. ঈমান আনলে,
২. নেক আমল করলে,
৩. শির্ক না করলে,
৪. নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করলে,
আল্লাহ তায়ালা যে ৩ টি পুরস্কার দিবেন তাকে:--
১. দুনিয়ায় দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করে দিবেন,
২. দ্বীন কে সুদৃঢ় করে দিবেন,
৩. শত্রু অর্থাৎ কা ফির, মুশ রিকদের আক্রমণের ভয় থেকে নিরাপত্তা দান করবেন।
আর দুনিয়াতে যারা একবার আল্লাহর দ্বীন পেয়ে গেলো তার কাছে দুনিয়া খুব খুব তুচ্ছ হয়ে যাবে, দুনিয়ার কোনো দাম থাকবেনা আর তার কাছে, তার কাছে থাকবে শুধু আল্লাহর ভালোবাসা।
আর যে বান্দা আল্লাহকে ভালোবাসে আল্লাহ ও তাকে ভালোবাসে, যে আল্লাহর জন্য এককদম এগিয়ে আসে আল্লাহ তাঁয়ালা তার জন্য হাজার কদম এগিয়ে আসে, একবার হযরত মূসা আলাইহি সাল্লাম আল্লাহ তায়ালাকে প্রশ্ন করলেন.
হে আল্লাহ "তুমি মানুষকে কতটুকু ভালোবাসো? তখন আল্লাহ "তা" য়ালা বললেন 'মুসা তুমি কি দেখতে চাও?
মুসা আলাইহি সাল্লাম তখন দেখলেন একজন ছেলে তার মা কে
বলছে মা " আমার প্রেমিকা বলছে তোমার কলিজা নিয়ে গেলে সে আমাকে বিয়ে করবে।
এখন আমি তোমাকে হত্যা করে তোমার কলিজা বের করবো,তার মা তখন বললো বাবা আমি তোমার সুখের জন্য মরতে রাজি,
নিয়ে যাও নিয়ে যাও আমার কলিজা।
তবুও তুমি সুখে থাকো!! সেই ছেলেটি তার মায়ের কলিজা বের করে দৌড় দিয়েছে তার প্রেমিকার কাছে যাওয়ার জন্য,
হঠাৎ ছেলেটার পা পিছলে পড়ে গেলো।
সাথে সাথে সেই কলিজা থেকে আওয়াজ আসলো! বাবা তুমি কি ব্যথা পেয়েছো। তখন আল্লাহ বললেন
মুসা" এই মা তার ছেলেকে যতটুকু ভালোবাসে তার থেকে কোটি গুণ আমি আমার বান্দাকে ভালোবাসি! (সুবহানাল্লাহ)
এর থেকে ও আর কি ভালোবাসা প্রয়োজন হয় একজন মানুষের বলেন!
তাই আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার সাথে সাথে তার সকল বিধানকে মান্না করতে হবে।
খুন, যেনা-বেবিচার, মিথ্যা অপবাদ ও নানানধরনের ফেৎনা থেকে নিজেরকে নিজের পরিবারকে ও নিজের আসেপাশের পরিবেশকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। ছোট থেকেই বাচ্চাদেরকে সকলের সাথে কিভাবে আচার ব্যবহার ও তার সভ্যতা বজায় রেখে চলতে হয় সেদিকে শিক্ষা দেওয়া আরে শিক্ষাটা প্রত্যেকে তার নিজের পরিবার থেকেই পায়, সে যত বড় প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করুক বা যত বড় মানুষদের সাথে চলাফেরা করুক না কেনো পারিবারিক শিক্ষা ও জ্ঞান ছাড়া কোন শিশুর উন্নত করতে পারে না, বিশেষ করে ছেলেদের মধ্যে জেদ থাকে ভালো কথা,কিন্তু যেটা কোথায় দেখানো প্রয়োজন এই জায়গাটা ভুল করলে হবে না, আপনার সুশিক্ষার অভাবে আরেকটা পরিবার তার মেধাবী সন্তান হারানোর কষ্টে জীবন পার করবে কেনো? প্রতিষ্ঠানের কোনো রাগ বা কোনো কর্মশালায় কোন রাগ নিজের মধ্যে পোষে রেখেতার সাথে আরো সহপাঠীদেরকে একত্রিত হয়ে করে একজন ছেলেকে কখনো নিঃসঙ্গভাবে মেরে ফেলতে পারেনা।
এটা গতো দু দিন আগের কথা এক স্কুল ছাত্রকে তার আরেক সহপাঠী পরীক্ষার হলে সাহায্য করেনি বলে পরীক্ষার পরে হল থেকে বের হয়ে সাথে আরো কিছুসহ পার্টিকে একত্রিত করে ওই ছেলেকে একেবারে দুনিয়া থেকে ত্যাগ করে দিয়েছে, এখানে তার অন্যায় কি ছিল একমাত্র পরীক্ষার হলে সাহায্য করেনি এটাই তার কারণ নাই!
তাই বলি কি ছোট বাচ্চাকে তার লিমিট এর মধ্যে রাখা তার দ্বারা কতটুকু কাজ সম্ভব কতটুকুই তাকে বুঝানো, আর যেটা তার দ্বারা সম্ভব না সেটাও তাকে শুনিয়ে রাখা, কারণ বলা তো যায় না কখন তার মন মেজাজ কেমন থাকে, বা আপনি ভাবছেন আপনার সন্তান এখনো ছোট, কিন্তু তার মাথায় যে খুন পর্যন্ত ঢুকে যাচ্ছে সে ব্যাপারে আপনি বে-খবর, হয় ছেলেমেয়েকে সম্পূর্ণ ডিভাইস থেকে দূরে রাখেন, যাতে খুনখারাবি বা পরিবার ছাড়া অন্য কিছু সে দেখতেই না পারে, আর যদি সেটা না পারেন তাহলে তাকে তার বয়স অনুযায়ী তার কাজকর্ম কেমন হওয়া উচিত সেটা শিখান..।
যেন আপনার সন্তানের কারণে কারো ক্ষতি না হয় বরঞ্চ কারো উপকারে আসে, যেমন কিছুদিন ধরেই আমরা দেখছি যে গাঁজা আর ফিলিস্তিনের বাচ্চাদের কষ্টে তাদের কষ্টের কারণ কি তারা কি চায়, ছোট ছোট বাচ্চারা যে প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছে ক্ষুধায় মরতেছে বিচার পাচ্ছে না, তাদের জন্য আমরা কি করতে পারি, বা তারা কি কি করেছে, কেন হচ্ছে তাদের প্রতি এত জুলুম, এসব কিছু বাচ্চাকে শোনান যাতে তারা তাদের ভিতরে জিহাদি কিছু জাগ্রত হয় বা তারা দ্বীন সম্পর্কে সে ভালোমতো বুঝে। ছোট সন্তানকে বিডাল আর গাধার গল্প শুনে বড় করবেন না।
সান্তানকে বারবার ফিলি স্তিনের ইতিহাস শুনাবো, তাকে বারবার বলব কেন আমরা ফিলি স্তিনকে ভালোবাসি। ভালোবাসার কারণগুলো এক এক করে বাচ্চাদেরকে শুনাবেন,
••ফিলি স্তিন নবীদের পূণ্যভূমি,
•• ইবরাহীম আলাইহিস সালাম সর্বপ্রথম ফিলি স্তিনে হিজরত করেন এবং পরবর্তীতে স্ত্রী সারার সাথে সেখানে বসবাস করেন,
••লত আলাইহিস সালামের কওমের ওপর পতিত গজব থেকে আল্লাহ তাআলা লুত আলাইহিস সালামকে রক্ষা করেন ফিলি স্তিনে,
••নবী ইসহাক আলাইহিস সালাম ও ইয়াকুব আলাইহিস সালাম ও ইউসুফ আলাইহিস সালামের জন্ম এই ফিলি স্তিনে,
•• নবী মুসা আলাইহিস সালাম মিসর থেকে বনী ইসরাইলকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন পবিত্র এই ভূমিতে প্রবেশ করার জন্য। যদিও ইহু দিরা তাদের চিরকালীন কাপুরুষোচিত স্বভাবের কারণে প্রবেশ করতে পারেনি। মুসা আলাইহিস সালাম এই ভূমিকে পবিত্র বলেন,
•• নবী দাউদ আলাইহিস সালাম অত্যাচারী জালূতের কপালে পাথর ছুঁড়ে তখনকার মুমিনদেরকে ফিলি স্তিন পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা করেন।,
•• নবী সুলাইমান আলাইহিস সালাম ফিলি স্তিনে বসেই জিন ইনসানসহ পৃথিবীবাসির ওপর রাজত্ব করেন,
•• সুলাইমান আলাইহিস সালাম ও পিঁপড়ের যে বিখ্যাত কাহিনী কুরআনে বর্ণিত আছে তা এই শহরেই ঘটেছিল। বর্তমান city of ashkelon এ অবস্থিত আন্ট ভ্যালি আছে واد النمل নামে,
•• নবী জাকারিয়া আলাইহিস সালাম ফিলি স্তিনেই বাস করতেন এবং তার মিহরাব এই ফিলি স্তিনেই ছিল,
•• এই বায়তুল মাকদিসেই মারইয়াম আলাইহাস সালাম বসবাস করতেন এবং অলৌকিক খাদ্যভাণ্ডার প্রাপ্ত হতেন,
•• এই ফিলি স্তিনেই মারইয়াম আলাইহিস সালাম কোনো পুরুষ ব্যতীত একটি শিশু গর্ভে ধারণ করার মতো আশ্চর্যজনক ঘটনার জন্ম দেন,
•• নবী ঈসা ও ইয়াহইয়া আলাইহিস সালামের এই ফিলি স্তিনে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে উঠেন,
•• এই ফিলি স্তিনেই ঈসা আলাইহিস সালামকে হ ত্যার ষড়যন্ত্র হলে আল্লাহ তাআলা ঈসা আলাইহিস সালামকে আকাশে উঠিয়ে নেন,
•• আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজের রাতে আকাশের জগতে রওয়ানা হওয়ার আগে আল্লাহ তাআলা তাকে ফিলি স্তিনের বায়তুল মাকদিসে মেহমান করেন,
•• বায়তুল মাকদিসের দক্ষিণদিকে কোথাও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য জগতের বাহন তাঁর বোরাককে বেঁধে রাখেন,
•• ফিলি স্তিনের বায়তুল মাকদিসেই আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল নবী রাসূলগণের নামাজের ইমামতি করেন,
•• মিরাজের রাতে নামাজ ফরজ হওয়ার পর মসজিদুল আকসাই ছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা। মুসলমানরা বায়তুল মাকদিসের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে আল্লাহর আদেশে কিবলা পরিবর্তন করে আল্লাহর সবশ্রেষ্ঠ ঘর কাবার দিকে ফেরানো হয়,
•• ঈসা আলাইহিস সালাম দাজ্জালকে ফিলি স্তিন শহরেই শহরের বাবে লুদের কাছে হ ত্যা করবেন,
•• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বায়তুল মাকদিস হলো হাশরের ময়দান। পুনরুত্থানের জায়গা। তোমরা তাতে গিয়ে সালাত আদায় করো। কেননা, তাতে এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করা অন্যান্য মসজিদে এক হাজার সালাত আদায়ের সওয়ার পাওয়া যায়।’
•• দুনিয়াতে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ পবিত্র শহর ফিলিস্তিনে অবস্থিত। মসজিদটি হলো মসজিদুল আকসা। বলা হয়ে থাকে আদম আলাইহিস সালামই মসজদটি নির্মাণ করেছেন। আবু জর গিফারি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একদিন নবীজিকে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! দুনিয়াতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে? তিনি বলেন, মসজিদুল হারাম। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, তারপর কোনটি? প্রতিউত্তরে তিনি বললেন, তারপর হলো মসজিদুল আকসা। এরপর তিনি জানতে চাইলেন যে, উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের? তিনি বললেন চল্লিশ বছরের ব্যবধান। [সহিহ বুখারি]
•• বুখারী শরিফে আছে পৃথিবীতে মাত্র তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য সকল মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্য ভ্রমণ করা নিষিদ্ধ।
১..মসজিদুল হারাম,
২.. মসজিদে নববী,
৩..মসজিদুল আকসা,
•• সুরা বনি ইসরাইলে আল্লাহ তাআলা মসজিদুল আকসার পরিবেশকে বরকতময় বলেছেন,
•• সুরা আম্বিয়ায় আল্লাহ তায়ালা এই ভূখন্ডের ব্যাপারে বলেন, ‘আর আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সেই ভূখণ্ডে, যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্য।’
•• সুরা আরাফে আল্লাহ তাআলা ফিলি স্তিনকে কল্যাণপ্রাপ্ত রাজ্য বলেছেন,
•• সূরা আম্বিয়ার আরেকটি আয়াতেও সুলাইমানের আলাইহিস সালামের ঘটনায় আল্লাহ তাআলা ফিলি স্তিনে কল্যাণ রেখেছেন বলে ঘোষণা দেন,
•• ফিলি স্তিনের এই ইতিহাস হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হেডলাইন। ফিলি স্তিনের আছে আরও অসংখ্য বিস্তারিত ইতিহাস, সাহাবাদের আমলের, তাবেয়ী ও তাবেতাবিয়েদের আমলে, সালাফদের আমলের ইতিহাস, সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর ইতিহাস।
এই ভূমির কল্যাণের ব্যাপারে আছে হাদিসও। এখানকার মানুষের ব্যাপারেও আছে হাদিস। এতসব কিছু ছাড়া ফিলিস্তিনের যে অধ্যায়টি আমাদের হৃদয়ের সাথে সংযুক্ত, সেটা হলো :-ফিলিস্তিন হচ্ছে— শহদদের ভূমি।
এখানে নিয়মিত সেই অমূল্য নেয়ামত লাভে ধন্য হচ্ছে মানুষ, যে নেয়ামত পেলে জীন্দেগী অতিবাহিত করা স্বার্থক। সেই নেয়ামতের কল্যাণে যারা সেখানে বাস করে তারা মুহূর্তেই পৌঁছে যায় জান্নাতের দোরগোড়ায়। ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনের মানুষদেরকে কি ভালো না-বেসে কি পারা যায়!
সবগুলো কারণেই আমরা ফিলি স্তিনকে ভালোবাসি ও ভালোবাসবো ইনশাআল্লাহ। এই ভালোবাসা বাচ্চাদেরা মনে জাগাতে হলে ছোট থেকেই বাচ্চাকে সুশিক্ষা দিতে হবে।
কথা দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে সামনের পোস্ট এ ইনশাআল্লাহ আরো কিছু তুলে ধরবো, আল্লাহ বুঝার তোফিক দান করুণ আমীন...।
Comments
Post a Comment