প্রচুর পরিমাণে গরম পড়লে তখন আমরা যে যে আমলগুলো করার মাধ্যমে আল্লাহর সুন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি !
** বর্তমানে তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে চলছে, সকালে যদিও তাপমাত্রা একটু কম মনে হলেও যখন ৯:০০ টা বা ১০:০০ টা বাজে তখন থেকেই বুঝা যাই সূর্যের তাপ কতখানি, আর যখন দেখা যায় কারেন্ট ও থাকে না তখন দেখা যায় মানুষের অস্থিরতা, ছোট, বড়, বয়স্ক, মধ্যবয়স্ক, সকলেই গরমের কারণে অস্থির হয়ে পড়েন।
গরমের তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে হয়ে মানুষ অসুস্থ, জ্বর সর্দি ডায়রিয়া আরো বিভিন্ন অসুখে হচ্ছে রোগী।
তবে এমন একটা সময়এ ও আমাদের মুসলমানদের জন্য রয়েছে ইবাদাত বন্দেগী করে তাদের আমলের পাল্লা ভারী করার সুযোগ. কারণ মুসলমান তো জানে যে, এই গরম জাহান্নামের তাপমাত্রা অর্থাৎ জাহান্নামবাসীরা যখন শ্বাস ফেলে তাদের শ্বাসের কারণে পৃথিবী গরম হয়ে যায়, আর এখন যেহেতু প্রচুর গরম পড়ছে তাই মুসলমানদের এই কথা স্মরণ রাখা খুবই প্রয়োজন। আর নিজেদেরকে এমন জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আমাদের প্রত্যেককেই মৃত্যুবরণ করতে হবে, মৃত্যুর পর আমার ভালো কর্মের ও হিসাব হবে আবার খারাপ কর্মেরও হিসাব হবে, যদি ভালো কাজ করে মৃত্যুবরণ করতে পারি তাহলে পাবো জান্নাত, আর যদি ভালো কর্ম করে মৃত্যু বরং করতে না পারি,তাহলে পাবো জাহান্নাম।আর জাহান্নামবাসীর নিঃশ্বাসের কারণেই পৃথিবী যেহেতু আরো বেশি গরম হয়ে যাই, আর এই গরমটা মুমিন ব্যক্তিদেরও দুনিয়াতে ভোগ করতে হয়।আমি একজন মুসলমান হিসেবে আমার দায়িত্ব যেন আমার কারনে একজন মুমিন কষ্ট না পাই সে বিষয়টা নজরে রাখা, হোক সেটা জীবদ্দশায় হোক বা মৃত্যুর পরে হোক।
فَأَشَدُّ مَا تَجِدُونَ مِنَ الْحَرِّ فَمِنْ سَمُومِهَا وَأَشَدُّ مَا تَجِدُونَ مِنَ الْبرد فَمن زمهريرها
(رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ)
••বুখারীর এক বর্ণনায় আছে, তোমরা গরমের যে প্রচন্ডতা অনুভব কর তা জাহান্নামের গরম নিঃশ্বাসের কারণেই। আর শীতের তীব্রতা যা পাও তা জাহান্নামের ঠাণ্ডা নিঃশ্বাসের কারণেই।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ: بِالظُّهْرِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ وَاشْتَكَتِ النَّارُ إِلَى رَبِّهَا فَقَالَتْ: رَبِّ أَكَلَ بَعْضِي بَعْضًا فَأَذِنَ لَهَا بِنَفَسَيْنِ نَفَسٍ فِي الشِّتَاءِ وَنَفَسٍ فِي الصَّيْفِ أَشَدُّ مَا تَجِدُونَ مِنَ الْحر وَأَشد مَا تَجِدُونَ من الزَّمْهَرِير . وَفِي رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ:
«আবু সাইদ (রা:) হতে বর্ণিত যে, যুহরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ঠাণ্ডা সময়ে আদায় করবে।
(অর্থাৎ- আবূ হুরায়রার বর্ণনায় بِالصَّلَاةِ শব্দ ব্যবহার হয়েছে আর আবূ সা’ঈদের বর্ণনায় بِالظُّهْرِ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে) কারণ গরমের প্রকোপ জাহান্নামের তাপ। জাহান্নাম আপন প্রতিপালকের নিকট অভিযোগ করে বলেছিল, হে আমার আল্লাহ! (গরমের তীব্রতায়) আমার একাংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলছে। তখন আল্লাহ তাকে অনুমতি দিলেন দু’টি নিঃশ্বাস ফেলার। এক নিঃশ্বাস শীতকালে, আর এক নিঃশ্বাস গরমকালে। এজন্যই তোমরা গরমকালে তাপের তীব্রতা বেশী পাও। আর শীতকালে শীতের প্রচন্ডতা বেশী। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
বুখারীর আর এক বর্ণনায় আছে, তোমরা গরমের যে প্রচন্ডতা অনুভব কর তা জাহান্নামের গরম নিঃশ্বাসের কারণেই। আর শীতের তীব্রতা যা পাও তা জাহান্নামের ঠাণ্ডা নিঃশ্বাসের কারণে।
[1] সহীহ : বুখারী ৫৩৭-৫৩৮, মুসলিম ৬১৫, তিরমিযী ২৫৯২, ইবনু মাজাহ্ ৪৩১৯, আহমাদ ৭২৪৭, দারেমী ২৮৮৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৭৪৬৬।
*** গরম নিয়ে নবীজির শিখিয়ে যাওয়া দোয়া:--
প্রখ্যাত সাহাবি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রচণ্ড গরম পড়ায় একদিন নবী (সা.) এর কাছে কিছু লোক এলো। (গরমের তীব্রতায়) তারা কাঁদছিল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন তাদের জন্য এভাবে দোয়া করলেন-
اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাস কিনা গাইসান মুগিসান মুরিয়্যান নাফিয়ান গাইরা দাররিন আজিলান গাইরা আজিলিন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাদের ওপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় (এবং বৃষ্টি হয়)।
(আবু দাউদ ১১৬৯, ইবনু খুযাইমাহ ১৪১৬)
•• হাদিসে গরমকে আল্লাহর ক্রোধ বলা হয়েছে। আর আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্য নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেমন দান সদকা করতে বলেছেন, তেমনি দোয়াও শিখিয়ে গেছেন।
দোয়াটি হলো-
اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি-মাতিকা ওয়া তাহাউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা ওয়া জামিয়ি সাখাতিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার প্রত্যাবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’
(মুসলিম ২৭৩৯, আবু দাউদ ১৫৪৫)
*** আমরা মুসলমানরা আরো কিছু সওয়াবের কাজ করতে পারি এই গরমের মধ্যে,যেমন :--
•• যারা পশুপাখির লালন পালন করেন তারা তাদের পশুর প্রতি সদয় হতে পারেন : গরমে আমরা মানুষদের যেমন গরম লাগে তেমন পশুপাখির ও গরম লাগে তারা ও অস্তিরতা অনুভব করে। মানুষের মতো তো তারা বলতে পারে না তাই হয়তো চুপ সে কারণ এ আপনাদের উচিত তাদের এই নীরব ভাষাকে মূল্য দিয়ে আমাদের বা আমাদের আশপাশে থাকা পশুপাখির প্রতি সদয় হওয়া।
°° হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। বর্ণনাকারী বলেন, পানির পিপাসা এটাকে মুমূর্ষ করে দিয়েছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে ওড়নার সঙ্গে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ হতে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো), এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হলো।
(বুখারি, হাদিস : ৩৩২১)
এভাবে চাইলে আমারা ও ছোট ছোট ভালো কাজ এর মাধ্যমে অধিক পরিমাণের সওয়াব নিজেদের আমলনামার জন্য তৈরি করে নিতে পারি খুব সহজে।
••মানুষকেন পানি পান করানোর ও হতে পারে আমলের পাল্লা ভারী করার মাধ্যম : গরমে বেশির ভাগ মানুষ অস্থির হয়ে পডে এবং খুবই পানির পিপাসা লাগে, হোক সেটা ঘরে বা কোন অফিস বা দোকান বা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ইত্যাদি যেখানেই হোক, বাইরে থেকে কেউ এলেই তাকে আপনার যদি উচিৎ এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করানোর। এই পানি পান করানোর মাধ্যমে আপনি অফুরন্ত সওয়াব লাভ করে নিতে পারেন,কারণ আমরা যখন বাহির থেকে আসি বা কারো বাসায় যাই তখন যদি কেউ খুঁজার আগে কেউ এক গ্লাস পানি এনে দেয় তখন পানিটা খেলেই বুজা যাই যে, এই পানিটা আমার কতোটা প্রয়োজন ছিল । আর পানিটা খাওয়ার পর একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি, হতে পারে এই শক্তির নিঃশ্বাসটা আপনার জন্য অনেক অনেক বড় নেয়ামত যা আপনি এক গ্লাস পানি খাওয়ানোর মাধ্যমেই অর্জন করতে পেরেছেন।
°° হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, সাদ ইবনে উবাদা (রা.) বলেন, (এক দিন) আমি (নবীজিকে) বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কোন সদকা উত্তম? তিনি বলেন, পানি পান করানো।
(নাসায়ি, হাদিস : ৩৬৬৫)
নবীজির এই সুন্নতটা আরবদের মধ্যে বেশি প্রচলিত, সেখানে কোনো দোকানপাট অথবা অফিস-আদালতে গেলেই এক বোতল ঠাণ্ডা পানি হাতে তুলে দেয়। অনেককে আবার তীব্র গরমের সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথচারীদের মধ্যে ঠাণ্ডা পানি বিতরণ করতে দেখা যায়।
আর কেউ পানি চাইলে তা দেওয়ার সামর্থ্য থাকলে কোনোভাবেই নিষেধ না করা।
°° নবীজি (সা.) কেউ পানি চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে বারণ করেছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আয়েশা (রা.) বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এমন কী জিনিস আছে, যা সংগ্রহে বাধা দেওয়া হালাল নয়? তিনি বলেন, পানি, লবণ ও আগুন। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এই পানি সম্পর্কে তো আমরা জানি, কিন্তু লবণ ও আগুনের ব্যাপারে কেন বাধা দেওয়া যাবে না? তিনি বলেন, হে হুমায়রা! যে ব্যক্তি আগুন দান করল, সে যেন ওই আগুন দিয়ে রান্না করা যাবতীয় খাদ্যই দান করল। যে ব্যক্তি লবণ দান করল, ওই লবণে খাদ্য যতটা সুস্বাদু হলো তা সবই যেন সে দান করল। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে এমন স্থানে পানি পান করালো, যেখানে তা সহজলভ্য, সে যেন একটি গোলামকে দাসত্বমুক্ত করল এবং যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে এমন স্থানে পানি পান করালো, যেখানে তা দুষ্প্রাপ্য, সে যেন তাকে জীবন দান করল।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৪৭৪)
•• অন্যকে সাহায্য করা : অনেক সময় দেখা যায় পথে বা আমরা যখন কোথাও বের হই গাড়িতে বা রাস্তায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক মানুষকেই দেখা যায় যেমন স্কুল ছুটি দিছে বাচ্চারা বের হচ্ছে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে কোন শিশু পড়ে গেল বা কোন বৃদ্ধ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় যেকোনো কারণবশত সে কোন একটা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হল এভাবে ইত্যাদি কারণ এর আমাদের চোখের সামনে পড়তে পারে এবং আমরা যদি তাদেরকে সাহায্য করি এই সাহায্যের মাধ্যমেও আমরা সাওয়াব অর্জন করতে পারবো।
°° আবু জার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার সত্কাজের আদেশ এবং তোমার অসত্কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ, স্বল্প দৃষ্টিসম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথ থেকে পাথর, কাঁটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৫৬)
•• আমাদের আশেপাশের বা আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাধ্য অনুযায়ী তার সেবা করা আর না হয় তার খোঁজ খবর রাখা, অনেক সময় দেখা যায়, অতিরিক্ত গরমে ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেই কোনো না কোনো অসুস্থতা ভোগ করতে দেখা যাই তখন যদি তাদের প্রয়োজন মতো কিছু করতে পারেন এটা ও হতে পারে আপনার সওয়াবের মাধ্যমে।
রাসূল (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান তার কোনো (অসুস্থ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে (যতক্ষণ সেখানে থাকে ততক্ষণ) যেন জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে।
(তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৭)
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কেউ উত্তমরূপে অজু করে নেকির আশায় তার কোনো (অসুস্থ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে তাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর খরিফ (সত্তর বছরের) পথ দূরে রাখা হবে। আমি (সাবিত আল-বানানী) আবু হামজাহকে জিজ্ঞেস করি, খরিফ শব্দের তাত্পর্য কী? তিনি বলেন, বছর। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩০৯৭)
এখন যেহেতু গরম বেশি পড়ছে আমাদের আশেপাশে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে আপনি আমি একটু তাদের খোঁজখবর নিলেই অর্জন করতে পারব অনেক পরিমাণের সওয়াব যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে।
••• ইবাদতে অবহেলা না করা : গরমের কারণে ইবাদতে অবহেলা না করা। কারণ জাহান্নামের আগুন দুনিয়ার গরমের চেয়ে বহুগুণে উত্তপ্ত। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “পেছনে থাকা লোকগুলো আল্লাহর রাসুলের বিপক্ষে বসে থাকতে পেরে খুশি হলো, আর তারা অপছন্দ করল তাদের মাল ও জান নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে এবং তারা বলল, ‘তোমরা গরমের মধ্যে বের হয়ো না’। বলো, জাহান্নামের আগুন অধিকতর গরম, যদি তারা বুঝত।” (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৮১)
("তবে অধিক গরমের সময় জোহরের নামাজ দেরিতে পড়া সুন্নাত ")
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই গরমে ও অল্প কিছু আমল করার তৌফিক দান করুন
Comments
Post a Comment