Skip to main content

Featured

দান করাতো গুপনেই সুন্দর ও বরকত ময়।

  আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহী  ওয়া বারাকাতুহ্  আমরা সকলেই জানি মানুষ মরণশীল, যার জম্ম একবার হয়েছে পৃথিবীতে তার মৃত্যু ও হবে। তবে মৃত্যুর মতো এমন এক কঠিন সময়ে মানুষের ও মানুষ এর আপসোস হবে আর সেই আপসোস টা কি জানেন..! সেটা হলো,পৃথিবীতে সে কেনো দান করলো না., আমাদেরকে যদি  মৃত্যুর পরও এমন একটা বিষয় নিয়ে আক্ষেপ করতে হয় আর আমরা যদি জীবিত অবস্থাতেই এই আক্ষেপের বিষয়ে জানি এবং খেয়াল রাখি তাহলে তো মৃত্যুর পরে আমাদের আর আক্ষেপ করতে হবে না।  দান ছদকা তো দান সদকাই হয় সেটা আপনি অল্প টাকা দিয়ে কাউকে হেল্প করুন বা তার প্রয়োজন যেটার সেটা দেন হয় খাবার না হয় বাসস্থান।  আমরা আমাদের সফলতার পথে হাঁটতে গিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু খুব সহজে পেয়ে যাই আবার অনেক সময় এমনও হয় যে, অনেক চেষ্টা করার পরেও পাইনা বা সন্দেহে থাকি এবং সেটার জন্য আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক দোয়া করি, এমন কোন বিষয় যদি দোয়া করার সাথে সাথে পেয়ে যাই তখন আমরা ভিতর থেকে খুবই খুশি হই, যে খুশিটা একমাত্র যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার কাছে খোঁজা জিনিসটা পাই সে আর আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কেউ জানে না, কার...

প্রতিবছর তো হজ্ব করা সকলের পক্ষে সম্ভব হয়না, তবে আরাফার দিনের কিছু আমল রয়েছে যেগুলো প্রতি বছরই করা সম্ভব। চলেন তা কি কি পড়েনি..!।

 


khlamma.com


আলহামদুলিল্লাহ আজকে পৃথিবীর শেষ্ঠ দিন।লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক!আরাফার দিন,দুআ কবুলের দিন। 

আজকে আরাফার দিন (৯ই জিলহজ) বৃহস্পতি বার, যারা হজে যেতে পারে নাই..,

তাঁদের জন্য আরাফার দিনের করণীয় সমূহ :-

** রোজা রাখা (সুন্নত)

-এটা সবচেয়ে বড় আমল এই দিনে।রাসূল (সা.) বলেছেন:

“এই দিনের রোজা আগের ও পরের বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়।”

(সহিহ মুসলিম) অবশ্যই চেষ্টা করা রোজা রাখার।

 ** পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো আদায় করা।

*.* দোয়া করা.

 • এই দিনে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সকল মুসলিম এর জন্য – বেশি বেশি দোয়া করুন।


** তওবা করা ও গুনাহ থেকে ফিরে আসা.

আমরা যেন আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করি।গুনাহ মাফ করানোর সেরা সময় এই দিন।  


**  তাহলিল, তাকবির, তাহমিদ ও তাসবিহ বলা

এই চারটি বেশি বেশি বলা সুন্নত:

 • তাহলিল: “لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ”

 • তাকবির: “اللّٰهُ أَكْبَرُ”

 • তাহমিদ: “الْحَمْدُ لِلّٰهِ”

 • তাসবিহ: “سُبْحَانَ اللّٰهِ”

এগুলো বারবার বলুন – পথে, ঘরে, মসজিদে, যেকোনো জায়গায়।


** কুরআন তেলাওয়াত করা

 • কুরআন পড়ুন ও ভাবুন।

 • বিশেষ করে সূরা কাহফ, সূরা ইয়াসিন, সূরা রহমান  বা আপনার ইচ্ছা মতো তেলাওয়াত করুন বেশি বেশি সওয়াবের আশায়।


** সাধ্য অনুযায়ী সদকা ও ভালো কাজ করা

 • গরীবদের সাহায্য করুন।

 • পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করুন।

 • যেকোনো ভালো কাজ এই দিনে আল্লাহর কাছে অনেক মূল্যবান।


** রাত জেগে ইবাদত

-আরাফার রাতেও দোয়া ও ইবাদতে জাগ্রত থাকলে অনেক ফজিলত রয়েছে তার মধ্যে।

**  নামাজের আগে-পরের সুন্নতগুলোর প্রতি যত্নবান থাকা।

** এশরাক ও চাশতের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকা।

** দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল ওজুর প্রতি যত্নবান আদায় করা।

**  বেশি বেশি সূরা ইখলাস পড়তে থাকা। সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।

** বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করা। আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।

** বেশি বেশি  সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার। ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠ করা।

سبحانَ اللهِ، والحمدُ للهِ، ولا إلهَ إلَّا اللهُ، واللهُ أكْبرُ، ولا حولَ ولا قُوَّةَ إلا بِاللهِ


** বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া।

** লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর পাঠ করা।

لا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وحدَهُ لا شريكَ لَهُ، لَهُ الملكُ ولَهُ الحمدُ وَهوَ على كلِّ شَيءٍ قديرٌ

হজে না গেলেও আল্লাহর কাছে নিজেকে শুদ্ধ করার এক অসাধারণ সুযোগ এটা। তাই এই দিনটা হেলায় নষ্ট না করে পুরোটাই ইবাদতে কাটানোর চেষ্ট করা উচিত। সবাইকে এই দিনে আমলের তৌফিক দান করুণ আল্লাহ তাঁয়ালা।


Comments

Post a Comment