আমি মেয়ে, আমি কখনো কথা বলার ক্ষেত্রে এতোটা স্বাধীন না যে, মা -বাবাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করতে পারব এইভাবে??? (আমার জ-ন্ম আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। আমার বাবা-মা তাদের জৈবিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে আমাকে পৃথিবীতে এনেছেন।")

সব সময় সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার যিনি অল্প জ্ঞান দিয়েও অনেক কিছু বোঝার ও  লেখার তৌফিক দিয়েছেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি যতটুকুই জ্ঞান দেয় সবটা দিয়ে যেন মানুষকেও বুঝাতে পারি আল্লাহ তাঁয়ালা হেদায়েতের কথা।

অসংখ্য দুরুদ ও সালাম সকল নবী ও রাসূল গণের উপর ও আমাদের নবী মোহাম্মদ সা: এর উপর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার উম্মতের জন্যই চিন্তিত ছিলেন। 

 আর আল্লাহ তায়ালার পেয়ারা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের অধিকার ও মর্যদা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন,

‘‘তামাম পৃথিবীর সমস্ত জিনিস হল সম্পদ, আর পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হল নেককারী নারী”

 একজন নারী দুনিয়ার বুকে কতটা সম্মানিত সেটা এই কথার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেই বুঝা যায়, মানুষ পৃথিবীর ভোগবিলাসিকতার জন্য ব্যস্ত দুনিয়ার এই নগণ্য জিনিসই তাকে লোভের মধ্যে ফেলে রেখেছে, অথচ সে নারী নিজেই এই সমস্ত জিনিসের ঊর্ধ্বে এ বিষয়টা তার চিন্তাতেই নেই, আজকের নারীরা খুব ছোটখাটো বিষয় নিয়েও আন্দোলনে মাঠে নেমে যায়, সে নিজের ভুলের কারণেই নিজের সম্মান হারায়, আবার সে খুব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়কেও দাবি করে।

 বিশেষ করে গতকাল ১০ এ জুলাই এক মেয়ে তার মা বাবার বিরুদ্ধে মামলা করছে তার দাবীর বিষয় হলো তার মা-বাবা তার ওপর অধিকার দেখাতে পারবে না তার মা-বাবার আদেশ নির্দেশ তার পছন্দ না, এই ব্যাপারেও সে স্বাধীন থাকতে চাই, এখানে আমার প্রশ্ন হল সে কোন স্বাধীনতার কথা বলছে, পৃথিবীতে প্রথম আপনজন যেখানে মা বাবা সেখানে সে তার মা বাবার কথাই মানতে চাচ্ছে না তাহলে সে কোন দাবির ভিত্তিতে বা স্বাধীনতার ভিত্তিতে পৃথিবীতে চলাফেরা করতে চাই..? আর সে একটা স্বাধীন মেয়ে হয়ে আরো হাজারটা মেয়েকে নষ্ট করার পথ খুলে দিচ্ছে, তাই বলব কি প্রত্যেকটা মা বাবারই তার ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হতে হবে, ছোট থেকেই তাকে সম্পূর্ণ তার ইচ্ছা দিন ছেড়ে না দেওয়া তার মন মত থাকে চলাফেরার ক্ষেত্রে ও এতটা স্বাধীনতা না দেওয়া। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ছোট থেকেই বাচ্চাদেরকে  শালীন পোশাকের সাথে পরিচিত রাখা যেন হুট করে তাকে আদেশ-নিদেশ করলে তার তখন মা-বাবার আদেশ নির্দেশকে খারাপ মনে না হয়।

মেয়েটা নিজের ইচ্ছায় সে এই পৃথিবীতে আসেনি। এমন বাজে বক্তব্য সে করছে।

একটা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া মেয়ে, আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে দৃপ্ত কণ্ঠে বলছিল—

"আমার জ-ন্ম আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। আমার বাবা-মা তাদের জৈবিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে আমাকে পৃথিবীতে এনেছেন।"


এ যেন নিজের অস্তিত্ব নিয়েই বাবা-মাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো।

অপর পাশে, আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তার কর্মজীবী মা-বাবা।

নিরব, মাথা নিচু, একবারও মেয়ের মুখের দিকে তাকানোর সাহস করেননি।

মেয়ের এমন অভিযোগ শুনে আদালতে উপস্থিত সবার হৃদয় কেঁ-পে উঠলেও, তারা ছিলেন নিঃশব্দ।

মেয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে তার আইনজীবী বললেন—

"সে চায় আমেরিকায় গিয়ে পড়তে। কিন্তু তার মা-বাবার সেই সক্ষমতা নেই।"

বিচারক কথা বলার সুযোগ দিলেও মা-বাবা কোনো কথা বলেননি।

নিরবে মাথা নিচু করে বেরিয়ে গেলেন।

এই কী তবে সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রতিদান?

কিন্তু এখানেই শে-ষ নয়।

এই মেয়ে শুধু অভিযোগ করেই থেমে থাকেনি। তার চাহনি, ভাষা, শ-রী-রী ভাষা— সব কিছুতেই ফুটে উঠেছে এক ধরনের ঔদ্ধত্য, এক ধরনের অ-ব-মা-ন-না-ক-র মনোভাব।

সে যেন বাবা-মা নয়, একজন অ-প-রা-ধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে!

শুধু ফ্লুয়েন্ট ইংরেজিতে কথা বললেই কি শিক্ষিত হওয়া যায়?

এই মেয়ের ব্যবহার, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, সব কিছু দেখে প্রশ্ন জাগে—

এটা কি শিক্ষার ফল, নাকি এক বিকৃত উচ্চবিলাসের বহিঃপ্রকাশ?

এ ধরনের নোং-রা মনমানসিকতার মেয়েরা সমাজে, শিক্ষায় এবং পরিবারে বিষ ছড়ায়।

তারা নিজের অর্জনের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে আ-ঘা-ত করে মা-বাবার আত্মমর্যাদায়।

শিক্ষা কি তাকে মানবিকতা শেখায়নি?

সমাজ তাকে নৈতিকতা দিতে ব্যর্থ হলো কেন?

এই মেয়ে যদি এই সমাজের “সুশিক্ষিত” প্রতিনিধি হয়, তবে আমরা তাহলে সমাজ এবং শিশুরা কি শিখে বড় হবে আর বড় হওয়ার পরে  কোথায় দাঁড়াবে এবং তাদের নৈতিকতা কেমন হবে.!

 তাই বলে কি দ্বীন নে জ্ঞান ছাড়া কখনো সমাজ সুন্দর হবে না.. আর সে তার মা-বাবার সাথে এমন আচরণ তাই করবে, তার কারণ হলো সে তো তার মা-বাবার আসল মর্যাদা সম্পর্কেই তার কোন জ্ঞান নেই, বা অল্প অল্প ছোট থাকতে জানলেও বড় হওয়ার পরে এগুলোর আশেপাশেও সে ছিল না, হুট করে একদিনে তো আর মা-বাবাদের তার সম্মান আসবেনা।

 আর একদিনেও কোন বাচ্চার স্বভাব পরিবর্তন হয় না।

 নারীদেরকে আল্লাহতালা অনেক সম্মান দিয়েছেন, আর তাদের জন্য জান্নাতে যাওয়াকে খুব সহজ করে দিয়েছেন যদি সেটা তারা মানতে পারে,

নারীকে কীভাবে পণ্য বস্তুতে পরিণত করেছে তা আমরা আমাদের চারদিকে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই, শিক্ষিত হলেই সে তার সেটাকে সঠিক কাজে লাগাতে পারছে না, কাজটা দিয়ে মানুষকে সঠিক শিক্ষাটা দিতে পারছে, পারিবারিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অশান্তি, দাম্পত্য-কলহ ও পারস্পরিক অবিশ্বাস, বিবাহ-বিচ্ছেদ, নারী-নির্যাতন ইত্যাদি সবকিছুর পেছনেই একটি প্রধান কারণ কাজে করে আমি মনে করি যেমন সেটা হলো মেয়ের পর্দা..।

পর্দাহীনতা হলো এবং নর-নারীর অবাধ মেলা-মেশা ও একজন নারীকে তারপর লজ্জা থেকে সরিয়ে আনার জন্য এটাই যথেষ্ট।

 এই মেয়ে সকলের সামনে দাঁড়িয়ে যেভাবে কথা বলে যাচ্ছে একের পর এক দোষ দিয়ে যাচ্ছে তার মা-বাবার উপর। এক্ষেত্রে এই কথাটা আজ বলতেই হয় যে তার মা বাবা থাকে পর্দার ভিতরে নাক চলাফেরা করিয়ে খুব বড় ভুল করেছে। বর্তমান ও ভবিষ্যতেও যারা তাদের সন্তানদেরকে পর্দা বা ইসলামের রীতিমতো না রাখবে এই মেয়ের বক্তব্য থেকে সে সমস্ত মা দেরও শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। লজ্জা হল নারীর ভূষণ আর সেই লজ্জা কে যেহেতু বিসর্জন দেওয়া হয়ে যাচ্ছে, তাহলে সেই মেয়ের মাঝে কিভাবে আদর্শ খুঁজে পাবে..! যেখানে মেয়ের আওয়াজটাও সতরের অন্তর্ভুক্ত অকারনে সে এভাবে চেঁচামেচি করতে পারবে না এটা তারা রাইট নাই, আর এখানে এই মেয়ে এমন একটা বিষয় নিয়ে চেচামেচি করছে যে বিষয়টাতে সে চিল্লানোর অধিকার রাখে না.!

 আর এই মেয়ে তো চিল্লাচিল্লি করতেই পারে কারণ সে তো নামে মাত্র মেয়ে তার চলাফেরা কথাবার্তা সবই তো ছেলেদের।

যদিও ইসলামের পর্দা-ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞতা অথবা এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে না বুঝার কারণে কেউ কেউ একে পশ্চাৎপদতা, সেকেলে, নারীকে শৃঙ্খলিতকরণের পন্থা, উন্নয়নের অন্তরায় এবং নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি বৈষম্য সৃষ্টির প্রয়াস বলে আখ্যায়িত করে থাকেন ।

বেপর্দা আর নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা সমাজে কেমন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

আগে আসুন আমরা দেখি, তথাকথিত প্রগতি, নারী-স্বাধীনতা নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সমাজকে বা নারীকে কী দান করেছে ।

নারী-নির্যাতন, শিশুহত্যা, পতিতাবৃত্তি, ধর্ষণ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, লিভিংটুগেদার, মাদকাসক্তি, কুমারী-মাতৃত্ব, ছেলে মেয়েকে মা-বাবার অবাধ্য, বড়দের সামনে দাঁড়িয়ে কুলাঙ্গারের মতো তাদের দোষ ধরা বা তাদের গায়ে হাত তোলা বা single mother, ইত্যাদি সমস্যা আজ পাশ্চাত্য-সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাওয়ার মতো আমাদের দেশে ও ঢুকে পড়ছে এই সব রীতি।


•• পর্দার বিধান পালন করা প্রত্যেক নারী পুরুষের জন্য অপরিহার্য কর্তব্যঃ-

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বান্দাদের প্রতি তার আনুগত্যকে আবশ্যিক ও বাঞ্চনীয় করে রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আনুগত্যের অপরিহার্যতা ঘোষণা করে বলেন:

“আর আল্লাহ ও তার রাসূল কোন নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ ও নারীর জন্যে নিজদের ব্যাপারে অন্য কিছু এখতিয়ার করার অধিকার থাকে না; আর যে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অমান্য করল সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে”

(সূরা আহযাব: আয়াত ৩৬)

মহান আল্লাহ বলেনঃ- পুরুষেরা নারীদের রক্ষক ও ব্যবস্থাপক কেননা আল্লাহ একজনকে অধিক মর্যাদা দান করেছেন অপরজন থেকে এবং তারা (নারীরা) তাদের (পুরুষদের) সম্পদ ব্যয় করে (সুরা নিসা আয়াত ৩৪)

 এটা তো বোঝাই যায় যে নারী সে সবার আগে যখন তার উপর পর্দা করা ফরজ হয়েছে তখন থেকে এসে পর্দা করে সব কিছু করবে, সে কেন কোন ছেলের মত পোশাক পরে ছেলেদের সাথে গলাবাজি করে  চলাফেরা করবে।

হে মুসলিম জাতী ! আল্লাহ কর্তৃক শিষ্টাচারে শিষ্টাচারী হও, আল্লাহর বিধানের অনুকরণ কর এবং তোমাদের নারীদেরকে পর্দার অন্তরালে থাকতে বাধ্য কর । এটিই হচ্ছে পবিত্রতা, প্রশান্তি ও পরিত্রাণের উপায় ।

 প্রত্যেকটা পরিবারেরই দায়িত্ব তারা তাদের সন্তানদেরকে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি দ্বীনের শিক্ষা ও তার বাস্তবতা দিকগুলো তার চলাফেরার মধ্যে ফুটিয়ে তোলা, আর ইসলাম ধর্ম তো এমন ধর্ম যে ধর্মে  কোন অপূর্ণতা নেই।

সুতারাং আমরা, নিসন্দেহে বলতে পারি ইসলামই নারীকে যথাযথ সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন, তবে নারীদেরকে সেটা বুঝে চলতে হবে। নারী চিল্লাইলে সে নির্লজ্জ পুরুষের মত  হয়ে যায় আর চুপ থাকলে, আর চোখ থাকলে সে ধৈর্যশীল ও আদর্শ হয়ে যায় সকলের কাছে।

••রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “প্রত্যেক নবজাত শিশু ফিতরাত তথা ইসলাম বা স্রষ্টাকে চেনার ও তাকে মেনে চলার যোগ্যতার উপরই ভূমিষ্ট হয়, কিন্তু তার পিতা মাতা (বা ইসলাম বিরোধী পরিবেশ) তাকে ইহুদী, খৃষ্টান ও অগ্নিপূজকে পরিণত করে” (আল-হাদীস)

 তাই হাদিসের প্রতিও দৃষ্টিপাত করলে আমরা বুঝতে পারি, প্রত্যেকটা শিশুই ভালো এবং ভদ্র হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে পৃথিবীতে আসে, অবাধ্য আর উশৃংখল কিন্তু আমরাই তাদেরকে করে তুলতেছি, এই অবাধ্যতার তো একদিন এ হয়ে যায়নি সে.! সে কেন তার মা-বাবার কথা শুনবে না বা সে কেন পর্দা করতে চাইবে না..! পরিবার তাকে সুশিক্ষা দিতে না পারার কারণেই সে ইসলামের রীতি থেকে এভাবে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে।

 আর একবার যদি কোন নারী পর্দার বাহিরে চলে যাই বা সে তার স্বাধীনতা পেয়ে যাই সম্পূর্ণভাবে তাহলে তাকে সুশিক্ষায় আনাটা খুবই কষ্টকর, তার পিছনে সকলকে চেষ্টা করতে হয় হেদায়েতের দিকে আনার ও তার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক দোয়া করতে হয়, বাকি আল্লাহতায়ালা যদি কবুল করেন তাহলে সে হেদায়েতের দিকে আসতে পারে আর না হয় সম্ভব না।

 যেখানেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মা-বাবাকে উহ শব্দটা ও বলতে দিতে নিষেধ করেছে সন্তানদেরকে, সেখানে বর্তমানে মা-বাবাকে আদালতে পর্যন্ত দাঁড় করাচ্ছে একজন সন্তান।

•~~এ সম্পর্কে কবি ড. আল্লামা ইকবাল বলেছেন, “কি বুঝবে যার রগে ঠান্ডা রক্ত প্রবাহিত ? অর্থাৎ যার অনুভূতি নেই ।

 যেখানে পর্দা নেই সেখানে প্রকৃত শিক্ষাও নেই, নতুন কি পুরাতন, নারীর মর্যাদার ও সংরক্ষক একমাত্র পুরুষই হতে পারে, যে জাতি এ বাস্তব সত্য না বুঝতে পারে তার সৌভাগ্যের সূর্য অবশ্যই অস্তমিত হবে”

 আর যে সমস্ত মেয়ে তার বাবাদেরকেই মূল্যায়ন করতে পারে না সে কিভাবে তার স্বামী বা ভাইদেরকে মূল্যায়ন করবে, দিয়ে কিভাবে সমাজ সুস্থ থাকবে.?

•• আল্লাহ তাআলা বলেন: “অতএব তুমি একনিষ্ট হয়ে দীনের জন্য নিজকে প্রতিষ্ঠিত রাখ । আল্লাহর প্রকৃতি যে প্রকৃতির উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই । এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না” 

(সূরা রুম: আয়াত ৩০)

নারী পুরুষের অবৈধ যৌন মিলনে যে, শুধু যিনা হয় বিষয়টা এমন ও না  বরং কামভাব ও উত্তেজনার সাথে নর-নারী পরস্পর একে অন্যকে স্পর্শ করলে, কিংবা কুমতলবের সাথে একে অন্যের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে ইসলাম অতি সর্তকতার সাথে একে যেনার সাথে তুলনা করেছেন ।

এছাড়া মনো বিজ্ঞানের দৃষ্টি ভঙ্গিকে বলা হয় সাধারণ অবৈধ নারী দর্শনে এবং স্পর্শে অচেতন মনের উপর যে অদৃশ্য কুচিন্তা ও কুভাবনার চাপ পড়ে, পরিনামে তাহা মারাত্মক ব্যধিতে রূপান্তর হয় । এ সকল কু-ধারণা মানব দেহের সুক্ষ কোষগুলিকে বিকৃত ও বিষাক্ত করিয়া নানা প্রকার শারীরিক ও মানসিক ব্যাধির সৃষ্টি করে, মেধা শক্তি লোপ করে।

 আমরা যত হাজার কথাই বলি না কেন, সব কথার ও সব চিন্তার ঊর্ধ্বে আমাদের ইসলাম, আমাদের ইসলাম ধর্মে সবকিছুর বিবেচনা করেই পর্দার বিধানটা দিয়ে দিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে যত নিয়ম আর সুবিধা এখন আমরা জানতে পারতেছি জানার পরে মারলে যে এটার উপকারিতা পাবো এমন না যারা আগে জানতো না তারা তো ইসলাম আসার পর থেকেই পর্দার বিধানকে সুন্দরভাবে মেনে চলতেছিল তাই তাদের আমাদের মত এত কিছু জানার প্রয়োজন হয় নাই, আর আমরা এখন এত কিছু জানার পরও পর্দা করতে চাই না।

 আল্লাহ তাযালা মেয়েদের জন্য জান্নাত খুব সহজ করে রেখেছেন  ও দুনিয়াতে অল্প কিছু ভালো কাজ করার মাধ্যমে।

•• রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরো বলেন যে,

‘‘যে নারী ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসে রোজা রাখে স্বামীর আনুগত্য করবে, সতীত্বের হেফাজ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর জান্নাতের যে রাস্তা দিয়ে খুশি সে ঐ রাস্তা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে”













 

Comments