চাঁদাবাজির টাকা কি নিজের টাকা..! অন্যের টাকার প্রতি কেনো এতো লোভ আমাদের..!
চাঁদাবাজি যদিও সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের কাছেই ঘৃণিত, আর এটা এমন ঘৃণিত যে সকলেই ঘৃণা করে, আবার এই সকলের মধ্যে কিছু মানুষ এমন আছে যে সকলের সামনে এমন একটা ভান করে মনে হয় যেন সে চাঁদ কে পছন্দই করে না অত্যন্ত ঘৃণা করে, আবার সেই অন্যদিকে গিয়ে চাঁদাবাজি করে অর্থাৎ অন্যের পরিশ্রমের টাকা থেকে সুদের মতো কিছু অংশ চেয়ে নিয়ে ফেলা এমন মানুষদের চিন্তাধারা কিছুটা মোনাফিকদের মত মুনাফিকরা যেমন উপর থেকে এক কথা বলে আর ভিতর থেকে সে অন্য চিন্তায় নিজেকে মগ্ন রাখে, নিজের লোভের কারণে সে নিজের ধর্মকেও বিসর্জন দিতে দ্বিধাবোধ করে না, বর্তমানে চাঁদাবাজদের অবস্থাও এমনি।
তাদেরকে এমন বলারও কিছু কারণ রয়েছে, যেমন এখন না হয় সকলেই দেখল যে চাঁদার কারণে প্রাণ গেছে, আর যারা চাঁদা দিচ্ছে কিন্তু প্রাণহানি হয়নি, তাদের অবস্থা যদি বলতে বলা হয় তাহলে বলবো তাদের অবস্থা কিছুটা এমন যে, মুমূর্ষ ব্যক্তি যেমন মৃত্যুর জন্য ছটফট করতে থাকে সে পারে না নিজ ইচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে আবার পারেনা সুস্থ মানুষের মতো তার জীবনকে পরিচালিত করতে..! ঠিক যারা প্রতিনিয়ত ব্যবসার ক্ষেত্রে হোক বা যে কোন কারনেই হোক একবার চাঁদাবাজদের সম্মুখীন হয়েছে ঠিক তার অবস্থা এমনই মুমূর্ষ ব্যক্তির মত।
ইসলামের দৃষ্টিতে যে চাঁদাবাজি হারাম ও কবিরা গুনাহ।
মানুষের কাছ থেকে চাদা নিতে গিয়ে যে শুধু চাঁদা নেওয়ার ক্ষেত্রেই গুনাহ করতেছে বিষয়টা এমন না, সে কিন্তু একসাথে অনেকগুলো গুনাহ করতেছে, যেমন প্রথমত সে মিথ্যা কথা বলতেছে যেখানে দুষ্টামির ছলে ও মিথ্যা কথা বলা কবিরা গুনাহ, আর সে এখানে মিথ্যা কথা বলতেছে পরের হক খাচ্ছে, আবার অন্যায় ভাবে তাকে গালিগালাজ করছে, অন্যজনের পরিশ্রমকে মূল্যহীন করে এতটাই তুচ্ছ করছে যে, সে অন্যজনের শ্রমের টাকা দিয়ে নিজের জন্য মত জুয়া খেলার মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে।
এখানে একটাকেও ইসলাম তার জন্য বৈধতার সুযোগ দেয় না।
চাঁদার জন্য যখন কোন চাঁদাবাজ দোকানের সাথে সাথে যদি চাঁদা দিয়ে দেওয়া হয় তখন চাঁদাবাজতে চেহারা চাঁদের মতোই উজ্জ্বলও হাসি মাখা থাকে.,
আর যদি চাঁদা দিতে না পারে বা টাকা কম থাকার কারণে বলে কিছুক্ষণ পরে বা অন্যদিন দিবে তখন তার চেহারা আমাবস্যা রাতের মতো গুড গুড অন্ধকার ও কালো হয়ে যায় হয়ে যায়, তখনই শুরু হয় চাঁদাবাজের আসল রূপ ও তার বংশের পরিচয় সে প্রকাশ করে তার মুখের ভাষার মাধ্যমে। তাদের আচরণে মনে হয় যেন তারা চাঁদা নিচ্ছে না বরঞ্চ সে তার পাওনা টাকা নিচ্ছে, মানুষ পাওনা টাকা ও এভাবে কথা বলে নেয় না চাঁদাবাজদের মুখের ভাষা যেগুলো থাকে।
চাঁদা সাথে সাথে দিতে না পারলে অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে টাকা দেওয়ার জন্য নিজের শখের জিনিসও বিক্রি করে তাদের মন খুশি করতে হয়। আর যাদের ঘরে উপযুক্ত মেয়ে থাকে তারা তো এই চাঁদাবাজদের কে আরো বেশি ভয় পাই। এমনকি যদি আপনার ঘরে মৃত ব্যক্তিও থাকে আর আপনি মৃত ব্যক্তির লাশ গোছানোর জন্য অল্প কিছু টাকা ও রাখেন আর সে কথাটা আপনি এই চাঁদাবাজদের কে জানান, অনেক সময় এই মুহূর্তগুলোতেও তারা আপনাকে জবাব দিবে কি জানেন..! তাদের কথা হবে এরকম যে তোমার ঘরের লাশ তাতে আমার কি আমার টাকা আমাকে দাও.., কিন্তু এটাও একটা চাঁদা ছিল, যার বাস্তব প্রমাণ আমি নিজে।
আমার এক মামাতো বোন মারা গেছিল অনেক আগে মানে ২০২৩এ,
আমাদের একটা ছোটখাটো দোকান আছে ঝাল নাস্তার। সবাই জানে যে ফুটপাতে যে সমস্ত দোকানগুলো বসানো হয় ওখানে চাঁদা দিতে হয়। যেই আসুক না কেন চাঁদা ঠিকই দিতে হয় অল্প না হয় বেশি। আর যদি কারো সাথে কারো অল্প কিছু নিয়েও ঝগড়া হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নাই একটা কথা আছে না যে নিজে খাইতে না পারলে কি হইছে ছাগল দিয়ে ক্ষেত খাওয়ানোর মতো অন্যকে দিয়ে খাওয়ানো যায়, আর কিছু মানুষ আছে এই বিষয়টাকে কাজে লাগাই, আর এইসবের মাঝে বেশি লাভবান হয় চাঁদাবাজরা। যাইহোক এমন কিছু অভিজ্ঞতা থেকেই এ চাঁদাবাজদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যে তারা লাশকেও মূল্যায়ন করে না, তারা শুধু পরের টাকায় ফুটানি দেখাই। যে সময় আমাদের সাথে এমনটা হয়েছিল পাইনি কোন বিচার, বলেছিলাম অনেক পাওয়ার শালীলোককে ও আর চাঁদাবাজি বন্ধ করতে যদি চাওয়া হয় তখন হয় কি জানেন যত উপরে যাবেন ততই টাকা খরচে, পরে যখন এসব বিষয়ে বুঝছিলাম তখন আর উপরে যাইনি যে যেমন টাকা চাইছিল তেমন ঋণ করে হলেও দিছিল আমার বাবা। কারণ তাদের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা হয়ে গেছে, আমরা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির দ্বারা চাঁদাবাজদেরকে বন্ধ করা সম্ভব না, আর এই চাঁদাবাজি বন্ধ করার বিচারটা করবে কে যেখানে প্রত্যেকটা সরকারি, কাজের পদে পদে মানুষ ঘুষ আর খুশি করার নামে টাকা খাচ্ছে সবাই সবার থেকে গরিব ধনী কোন পার্থক্য নেই। হবে হা যারা না দিয়ে পারতেছে উঁচু গলায় কথা বলে তারাই পার পাচ্ছে আমাদের মত সাধারণ মানুষরা এর মধ্যে পড়ে না..,
দুনিয়াতে যেমন খুশি তেমন চাঁদাবাজির করে নিচ্ছেন নেন সমস্যা নেই, কিন্তু কেয়ামতের দিন এ চাঁদাবাজির হিসাব কি দিবেন.? যখন অল্প একটু সওয়াবের আশায় মানুষ এ পাশ থেকে ওপাশে দৌড়াদৌড়ি করবে আর সে আপনার কাছ থেকেও আসবে এই চাঁদার বিনিময়ে তো আপনার অন্যদিকে ভালো কাজের যে সুফল রয়েছে সে সুফলটাও চাঁদার ক্ষতিস্বরূপ দিয়ে দিতে হবে, তখন আপনার অবস্থাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে একবার ওকে চিন্তা করেছেন..!
মানুষ থেকে কেড়ে নেওয়া অধিকার তাদের অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে তখন।
•• রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের ওপর জুলুম করেছে, সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয় তার ভাইয়ের পক্ষে তার কাছ থেকে পুণ্য কেটে নেওয়ার আগেই। কারণ সেখানে (আখিরাতে) কোনো দিনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি পুণ্য না থাকে, তাহলে তার (মজলুম) ভাইয়ের গুনাহ এনে তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।
(মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৫)
এখনো মারা যান নেই দুনিয়াতেই আছেন আর এখনো সময় আছে পরের হক না খেয়ে কষ্ট করে টাকা ইনকাম করেন পরিবারকে দেন নিজের পিছনে খরচ করেন।
আল্লাহ তায়ালা নিজের হক ক্ষমা করবেন কিন্তু বন্দার হক কখনো আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করেন না যতক্ষণ না আপনি বন্দার কাছে ক্ষমা না চান। আপনি নামাজ পড়েননি আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারেন আল্লাহ দয়ালু তিনি সবাইকে ক্ষমা করেন, টাকা মানুষের ধন-সম্পদ ও মানুষের হক নষ্ট করা, এসব বিষয় আল্লাহ তার বন্দার কাছে ছেড়ে দিয়েছেন যতক্ষণ বান্দা ক্ষমা না করেন আল্লাহ তায়ালা ও ক্ষমা করেন না।
আর যারা এসব বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় তাদেরকে পরকালে ভীষণ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
চাঁদাবাজদের জন্য যে সমস্ত শাস্তি বরাদ্দ রয়েছে সেগুলো প্রয়োগ করা প্রয়োজন না হয় এই চাঁদাবাজি কমবে না।
•• পবিত্র কুরআনে সুরা মায়িদাহ এর ৩৩ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।
আল্লাহ তা’লা বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সঙ্গে যুদ্ধ কিংবা প্রকাশ্য শত্রুতা পোষণ করে অথবা আল্লাহ ও রাসুলের বিধি-বিধানের ওপর হঠকারিতা দেখায় এবং (হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মাধ্যমে) ভূ-পৃষ্ঠে অশান্তি ও ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি এটাই যে তাদের হত্যা করা হবে অথবা ফাঁসি দেওয়া হবে অথবা এক দিকের হাত এবং অন্য দিকের পা কেটে ফেলা হবে অথবা অন্য এলাকার জেলে বন্দি করে রাখা হবে যতক্ষণ না তারা খাঁটি তাওবা করে নেয়। এটা তাদের জন্য পার্থিব ভীষণ অপমান আর পরকালেও তাদের জন্য ভীষণ শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে...।’
(সুরা : মায়িদাহ, আয়াত : ৩৩)
ইসলাম ধর্ম হল শান্তির ধর্ম।
একটা কথা আছে না যে আমরা বলি অনেক কথার মাঝে কথা টা হলো অপরাধ যে করে সে যেমন অপরাধী আবার অপরাধ চেয়ে সহ্য করে সে ও সমান অপরাধী।
সেই হিসাব করলে চাঁদাবাজের সঙ্গে যারা জড়িত সকলেই কিন্তু সমান ভাবে অপরাধী যে চাঁদা নিতে এসে অপরাধী আবার সে চাঁদাটা নিয়ে তার যে বড় ভাই থাকে তাকে দেয় তার সেই বড় ভাই তার আদেশে সে চাঁদাটা নিয়ে যাচ্ছে ও সমান অপরাধী আর যদি এখানে কেউ লেখক থাকে চাঁদাবাজ এর ক্ষেত্রে তাহলে সে ও সমান অপরাধী।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শুধু তাদের বিরুদ্ধেই (শাস্তির) ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ আচরণ করে বেড়ায়। বস্তুত তাদের জন্য আছে বেদনাদায়ক শাস্তি।’
(সুরা শুরা, আয়াত : ৪২)
আর যে চাঁদা দিছে সে তো এখানে মজলুম সে না দিয়ে পারবে না বা অপশন নাই, কারণ কেউ চায় না যে তার পরিশ্রমের টাকাটা অন্যজনকে দিয়ে দিতে, আমার পরিবার সারাদিন কষ্ট করেও টাকাটা রাস্তায় ফেলে আসতে হয় আর এই বিষয়টা কতটা কষ্টের সেটা যারা এ পরিস্থিতি গুলোতে পড়েছে বা সম্মুখীন হয়েছে একমাত্র তারাই বুঝে।
দেখেন সবার সামনে ইদ দিয়ে যেখানে একজন লোককে চাঁদার জন্য মেরেই ফেলছে, আচ্ছা আপনারাই বলেন এর আশেপাশে কি কোন লেখছিল না..? যদি কোন লোক নাই থাকতো তাহলে ভিডিওটা করছে কে..? দেখেন কারো জীবনের থেকেও ভিডিও টার মূল্য বেশি। এটাই কি প্রমাণ করে না যে জীবন রাখতে গেলে চাঁদা দিতে হয়।
অপরাধ হচ্ছে সবাই দেখে কিন্তু বাঁচাতে আসে না কেউ। তুই মৃত্যু কি আমাদের সামনে এই কথাটা প্রমাণ করে না..,
বিষয়টা আসলে এমনই হয় চাঁদা দিতে হয় না হয় নিজের মান সম্মান বা জীবন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়, সে হিসেবে বলা যেতেই পারে যে, যে চাঁদা দেয় সে সম্পূর্ণ মজলুম থাকে সে নিজেও পায় না কোন বিচার আর পারে না কোন বিচার করতে ..!
আমি মন থেকে চাই এই চাঁদাবাজি বন্ধ হোক সেটা যে কোন মাধ্যমেই হোক.. যাকে ঈদ দিয়ে মারা হয়েছে সে তো মরে গেছে তার মত যে আরো হাজার হাজার ফুটপাতের বা বিভিন্ন স্থানের মানুষেরা চাঁদার উপরে দাঁড়িয়ে তাদের ব্যবসা করছে ঠিক মুমূর্ষ্য ব্যক্তির মত যদি চাঁদা দেওয়াটা বন্ধ করা যায় তাহলে অনেক ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ ভাবে তাদের ব্যবসাকে পরিচালিত করতে পারবে! মানুষ সচ্ছলভাবে চলাফেরা করুক দেশ উন্নত হোক, এটাই তো সকলের চাই আমরা।
সরকার তো প্রত্যেকটা ঘরে এসে এসে তাদের নিত্যদিনের প্রয়োজন গুলো পূরণ করতে পারবে না, বা ফ্রিতেও জনগণ খাবার পাবে না। আর আমরা মধ্যবিত্তরা চাইও না যে কারো উপরে বসে ফ্রি ফ্রি খাইতে, আমরা কাজ করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করব। তবে আমরা চাই সরকার আমাদেরকে এইটুকু নিরাপদ দেখ যে আমাদের পরিশ্রমের টাকা সম্পূর্ণ আমরাই ভোগ করতে পারবো। আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর জন্য এটাই যথেষ্ট।
চাঁদাবাজদের জন্য ৪ ধরনের শাস্তি রেখেছেন কিয়ামতের দিন :--
ইসলামের বিধানে কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নেওয়াই হারাম।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ কোরো না এবং এ উদ্দেশ্যে বিচারকের কাছে এমন কোনো মামলা কোরো না যে মানুষের সম্পদ থেকে কোনো অংশ জেনেশুনে গ্রাস করার গুনাহে লিপ্ত হবে। ''
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮)
আর রাসুল (সা.) বলেন, কোনো মুসলমানের সম্পদ তার আন্তরিক সম্মতি ছাড়া হস্তগত করলে তা হালাল হবে না।
(বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৬৭৫৬)
আল্লাহর জমিনে ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপরাধে চাঁদাবাজদের চারটি শাস্তির যেকোনো একটি শাস্তি দিতে হবে। এমন অপরাধীদের হত্যা করতে হবে অথবা ফাঁসি দিতে হবে অথবা এক দিকের হাত এবং অন্য দিকের পা কেটে ফেলতে হবে অথবা অন্য এলাকার জেলে বন্দি করে রাখতে হবে যতক্ষণ না তারা তাওবা করে নিজেদের শুধরে নেয়া।
আল্লাহতালা সকলকেই হক বুঝার তৌফিক দান করুন, কোনটা আমার জন্য ভক্ষণ করা জায়েজ আর কোনটা নাজায়েজ বা হারাম এতটুকু পার্থক্য করে দুনিয়ার জীবন পরিচালিত করার জন্য তৌফিক দান করুক।
আমীন....।
Comments
Post a Comment