Skip to main content

Featured

স্বামীর মৃত্যু পরে কিংবা তালাক এর পরে নারীরা ইদ্দত পালন এর বেপারে পরিপূর্ণ শদ্ধ আছেন তো..!

 ইসলামের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করে তখন তার উপরে কিছু বিধান হয় ফরজ. আবার কিছু বিধান হয় ওয়াজিব ও সুন্নাত আবার কিছু থাকে শুধু নফল।  তদ্রূপ কোন মহিলার স্বামী ইন্তেকাল করলেন তার উপরে ইজ্জত পালন করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এই ইজ্জত পালন করাটাকে অনেকে মানতেও চাই না আর অনেকে ভালো করে জানেও না।  আবার অনেকে জানে সে জেনেও এই বিষয়টাকে এড়িয়ে চলে অজুহাত এ। অথচ , স্বামীর মৃত্যুর পর বা তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের জন্য ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব, যা একটি ফরজ বা বাধ্যতামূলক কাজ এই সময়কালে মহিলাদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়, বিধবার ইদ্দত হলো স্বামীর মৃত্যুর পর চার মাস দশ দিন।  এই সময়ে তাকে সাধারণত স্বামীর বাড়িতেই থাকতে হয় এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া উচিত নয়।  এই সময়ে বিধবাদেরকে সাজসজ্জা, অলঙ্কার বা বিশেষ সুগন্ধি ব্যবহার করা থেকে নিজে বিরত থাকতে হবে ।  আর যদি কোনো বিধবা গর্ভবতী হন, তবে তার ইদ্দত বাচ্চা জন্ম গ্রহণ পর্যন্ত।  আর যদি কোন মহিলা তালাকপ্রাপ্ত হয় তাহলেও তার ইজ্জত পালনের করতে হবে। মহিলাদের জন্য ইদ্দত পালনের নিয়ম :--- মূলত তিনটি বিষয়ের উপর...

দুরুদ শরীফ পড়ার ফজিলত




চারটি বিষয় মাথায় রেখে দুরুদ শরীফ পড়ুন।

আপনার দুরুদের প্রতি আকর্ষণ বাড়তেই থাকবে ইনশাআল্লাহ।


•• রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনার নাম জানেন!


রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ওপর যখন আপনি দুরুদ পাঠ করেন, তখন একজন বিশেষ ফেরেশতা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে গিয়ে আপনার নাম উল্লেখ করে এই দুরুদের সংবাদ পৌঁছে দেন।


রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

"তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, তোমাদের দুরুদ আমার কাছে পৌঁছায়।"

(সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২০৪২; মুসনাদ আহমদ: ১০৫৯৪)


অন্য হাদিসে এসেছে,

"তোমাদের দুরুদ ফেরেশতারা আমার কাছে পৌঁছে দেয় এবং তোমাদের নাম উল্লেখ করে।"

(মুসনাদ আহমদ: ১৬৩০৩, সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯১০, হাদিস সহিহ)


•• একবার দুরুদ পড়লে আল্লাহ দশগুণ রহমত বর্ষণ করেন!


রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন:

"যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।"

(সুনান আন-নাসায়ি: ১২৯৭, সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯০৮, সহিহ হাদিস)


আর আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন:

"নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করেন। হে বিশ্বাসীগণ! তোমরাও নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করো এবং যথাযথভাবে সালাম প্রেরণ করো।"

(সুরা আল-আহযাব: ৫৬)


•• দুরুদ শরীফ সমস্যার সমাধান এনে দেয়..

যে ব্যক্তি দুরুদ শরীফ বেশি বেশি পড়ে, আল্লাহ তার জীবনের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিয়ে নেন, এমনকি সে যদি আলাদাভাবে দোয়া নাও করে।

হাদিসে এসেছে,

"তোমাদের সমস্যার সমাধান ও গুমাহ মাফের জন্য দুরুদকে অধিক পরিমাণে নিজের উপর আবশ্যক করো।"

(সুনান আত-তিরমিজি: ২৩৮১, সহিহ হাদিস).


এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল:

"হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার দোয়ার একাংশকে আপনার জন্য দুরুদে নির্ধারণ করেছি।"

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন:

"তাহলে তোমার চিন্তা-ভাবনা থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেওয়া হবে এবং তোমার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।"

(সুনান আত-তিরমিজি: ২৪৫৭, সহিহ হাদিস)


•• তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে জীবন উৎসর্গ করেছেন,

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য কত কষ্ট সহ্য করেছেন! তাঁর সামনে তাঁর প্রিয় সাহাবীদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে, তবুও তিনি উম্মতের জন্য দোয়া করেছেন।

কিয়ামোতের দিন দুরুদ শরীফ পড়ার ফজিলতমতে তিনি আমাদের জন্য দোয়া করবেন:

"আমার উম্মত! আমার উম্মত!"

(সহিহ মুসলিম: ২০২, তিরমিজি: ২৪৪৩)


তিনি বলতেন:

"হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করো, হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করো।"

(সহিহ মুসলিম: ২৪৯)

অতিরিক্ত আমল: দুরুদের সাথে ইস্তেগফার ও দোয়া ইউনুস

দুরুদের পাশাপাশি বেশি বেশি ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) পড়লে এবং দোয়া ইউনুস

 (لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ) পাঠ করলে জীবন থেকে বিপদ দূর হয়।


রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

"যে ব্যক্তি দোয়া ইউনুস পড়বে, আল্লাহ তাকে সমস্ত সংকট থেকে মুক্তি দেবেন।"

(সুনান আত-তিরমিজি: ৩৫০৫, সহিহ হাদিস)


দুরুদ শরীফ শুধু একটি আমল নয়, এটি আমাদের জীবনের জন্য রহমত, সমস্যার সমাধান এবং জান্নাতের সুসংবাদ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি দুরুদ পড়ার তাওফিক দান করুন, আমিন!

আল্লাহুম্মা আমিন

Comments