কোনো মেয়ে কি সংসার বিচ্ছেদের নিয়ত নিয়ে সংসারে আবদ্ধ হয়.?
কোনো মেয়ে সংসারে পা রাখার সময় এই নিয়ত করে-না যে পরবর্তীতে সে আর সংসার করবে না, ভালো আছো সে এমন নিয়ত করে স্বামীর সংসারে পা রাখে যেন মৃত্যু পর্যন্ত এই সংসারটা তার আশ্রয়স্থল হয়।
কিন্তু তাও দেখা যায় আমাদের সমাজে অনেক মেয়েদেরই বিয়ের পরে ডিভোর্স হয়, আবার ডিভোর্সের পরে সেই মেয়েরই সকল দোষ ও নানান ধরনের মিথ্যা ও অপবাদ থাকে, অনেক ক্ষেত্রে মেয়েটির অল্প দোষ থাকে ঠিক কিন্তু সেটা শুধরে নেওয়া ও যেতো ডিভোর্সের আগে. হতে পারে সেটা স্বামী বা স্বামীর পরিবার মানিয়ে নিতে পারে নাই বা এই মেয়ে ও পারেনি তাদের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে।
বর্তমানে মেয়েরা খুবই সখিন ভাবে চলাফেরা করার চেষ্টা করে, বেশিরভাগ সময়ই তারা ঝামেলা থেকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে এখানে ঝামেলা বলতে ঝগড়া উদ্দেশ্য না এখানে ঝামেলা বলতে উদ্দেশ্য হলো পারিবারিক ভাবে আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজনকে যেভাবে আপ্যায়ন করতে চাই এই আপ্যায়নটা বেশি বেশি করতে চাই না, অল্পতেই হাঁপিয়ে পড়ে আমার এই হাঁপিয়ে পড়াটা অতটাই অযৌক্তিক না যেমন ধরুন আগে আমার মা চাচীদের মুখে শুনা কিছু কথা বা অল্প অল্প পরিবারের মধ্যে ও দেখা কিছু কথা অনেক স্বামী আছে যে তার নিজের আত্মীয়-স্বজন আসলে বাজারের পর বাজার প্রয়োজনে ঋণ করে হলেও বাজার করে নিয়ে আসে বাজারের দামি মাছটা বাজারে তরি তাজা শাক-সবজি ও বড় দেশি মুরগি তাজা গোস্ত ইত্যাদি।
আর অপরদিকে যখন স্ত্রীর বাড়ি থেকে কোন মেহমান আসে তখন স্বামী এমন ভাব করে বারে বারে জিজ্ঞাসা করেন যে কি আনবো কি খাওয়াবো এটা সেটা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ৫-৬ টা আইটেমের নাম নিয়ে গেলেও একটা দুইটার বেশি আর আনা হয় না।
স্ত্রী তো স্বামীর মেহমান আসলেও রান্না করছে আবার নিজের মেহমান আসলেও সেই রান্না করছে, তখন তো মা চাচীরা এগুলো বুঝেও চুপ করে থাকতো, কিন্তু এখনকার মেয়েরা তো এটা মানতে চায় না, এইসব বিষয় নিয়েও অনেক সময় পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়, যেটা আগে মা চাচীরা মানে নিতো আর এই অভ্যাসের মধ্যেও নিজেকে মানিয়ে নিতো, কিন্তু এখন অনেক মেয়েরাই এই ছোটখাটো বিষয়গুলো মানতে চাই না এসব বিষয় নিয়েও ঝগড়া ঝগড়া করে ছাড়াছাড়ি পর্যন্ত হয়ে যায়।
আবার দ্বিতীয় কিছু কারণ হতে পারেযেমন স্বামী স্ত্রী উভয়ে কর্মজীবী সকাল থেকে রাত বা সন্ধ্যা উভয়েই কাজ করতেছে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পরে স্বামী চাই বিশ্রাম করতে কিন্তু স্ত্রী ও সেই একই কাছ থেকে আসার পরে পারছে না অল্প বিশ্রাম করার সুযোগ। বাসায় আসার পরে এটা ওইটা নানান কাজের প্রেসার থাকে স্ত্রীর উপর আর যদি বাচ্চাকাচ্চা থাকে তাহলে তো স্ত্রী কাজের পেশারটা আরো বেড়ে যায়, অনেক ক্ষেত্রে ছোটখাটো কিছু কাজে স্বামীকে হেল্প করতে বলা বললে যখন স্বামী হেল্প না করে এভাবে কিছু এই বিষয়গুলো থেকেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হইতে পারে ২ একদিন দু একদিন করে করে একসময় উভয়েই তিক্ত হয়ে তাদের এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যায় এভাবেও হচ্ছে আমাদের সমাজে অনেক ডিভোর্স, তাই সরাসরি কোন মেয়েকে দোষ না দিয়ে উভয়টা বিবেচনা করে দেখা।
তৃতীয়তঃ ডিভোর্স হতে পারে স্বামী বাজে অভ্যাস যেমন সিগারেট মদ জুয়া এসব এর করণে বেশিরভাগ মেয়ে এসব পছন্দ করে না, আর যে সমস্ত ছেলেদের একবার এই নেশা হয়ে গেছে তারাও খুব সহজে এটা থেকে সরে আসতে পারে না, অনেকে আলহামদুলিল্লাহ ফিরে আসে। কিন্তু অনেকে আসে না স্ত্রী একবার দুইবার অপছন্দের কথা তাকে জানালেও তার কাছ থেকে কোন রেসপন্স পাইনা এভাবেও তাদের সম্পর্কের মাঝে অনেক সময় দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে থাকে।
যারা জুয়া খেলে বা নেশা করে এই সমস্ত মানুষের কথা তো আমি বাদই দিলাম, কারণ নেশাখোর বা যারা জুয়াটে তারা এগুলো করার জন্য নিজের পরিবারকেও বিক্রি করে দিতে দুবার চিন্তা করে না, আরসে তার স্ত্রীকেই বা কি সম্মান করবে.?
এমন ছেলেদের সাথে যে মেয়েরা সংসার করে এটাই তাদের ভাগ্য, আর যখন ডিভোর্স হয়ে যায় তখন এই মেয়ের দোষ যারা দিবে তাদের আগে বিবেচনা করা দরকার দোষটা কারছিলো।
এমন ক্ষেত্রে আমি ওই মেয়ের থেকেও আমি তার ফ্যামিলিকে আগে দোষারোপ করব যদি বিয়েটা পারিবারিকভাবে হয়ে থাকে, একটা প্রস্তাব আসলেই কি মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিতে হবে, সেই মেয়ের কি কোন ব্যক্তিত্ব বলতে কিছুই ছিল না তার পরিবারের কাছে..!কেন পরিবার ওই ছেলের ব্যাপারে ভালো করে খোঁজ না নিয়ে মেয়েকে দিয়ে দিল, আর যখন বিয়ে দিযেই দিচছে ঠিক আছে.., যখন তার পরিবারকে মেয়ে জানালো যে এই ছেলের স্বভাব চরিত্র এমন এমন ইত্যাদি, তাহলে সাথে সাথে ওই ছেলেকে ঠিক করার ব্যাপারে পারিবারিকভাবে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো না, যদি পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো তাহলে তো এমনও হতে পারে যে ওই ছেলে ভালো হয়ে যেত, আর তাদের সংসারটাও সুন্দর হতো।
কারণ কোনো মানুষই তো সব দিক থেকে পরিপূর্ণ থাকে না, কোন না কোন দিক থেকে একটু ক্ষুত বা দোষ থাকবেই আর এই অল্প দোষ নিয়েই মানুষের জীবন পার করতে হয়। তাই ভুলগুলা তাকে ধরিয়ে দিতে হবে এবং তাকেও শুধরানোর সুযোগ দিতে হবে, আমি এটা বলছি যে, এমন ছেলেকে হয় প্রথমে বিয়ে না দেওয়া, আর যদি বিয়ে দিয়েও দেয় তাহলে হুট করে তাকে ছাড়াছাড়িতে না নিয়ে যাওয়া,ছেলেকে ও অল্প সময় দেওয়া নিজেকে শুধরিয়ে নেওয়ার।
ডিভোর্সের আরো কিছু কারণ হতে পারে বেপর্দা, স্বামীর দায়িত্ব তার স্ত্রীকে পর্দার সহিত চলাফেরা করানো, বিয়ের আগে সে কিভাবে কি করেছে না করেছে সেটা স্বামীর দেখার বিষয় না, আর বিয়ের আগের স্ত্রীর ভুল কাজের কোন দায়ভার স্বামীকে দেওয়া হবে না কিয়ামতের দিন, তবে যখন থেকে স্বামীর আগ দিয়ে চলে যাবে এর পরের গুনাহের জন্য স্বামীকে দায়ী করা হবে, তাই বিয়ের পরেও স্বামীদের উচিত তার স্ত্রীর প্রতি সম্মান ও তার দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করা, স্ত্রীর প্রত্যেকটা হকের ব্যাপারে সচেতন থাকা।
কারণ মেয়েদের মন সরল হয়, মাঝে মাঝে এই সরলতার কারণেও মেয়েরা অনেক ভুলের শিকার হয়, অনেক ভুল ফাঁদেও পা দেয়, অন্যের প্রশংসাই নিজের গা ভাসিয়ে দেয়।
কিছু দুস্ত প্রকৃতির লোক আছে আমাদের প্রত্যেকের আশেপাশে খেয়াল করলে দেখা যায়, তারা ভাবি বা আপা এই শব্দগুলো ব্যবহার করে মায়ায় আটকানোর চেষ্টা করে।
হয় অতিরিক্ত প্রশংসা করবে সৌন্দর্যের না হয় খানার না হয় তার স্বভাবের, আর প্রশংসা গুলো এমনভাবে করবে মনে হবে যেন এমন প্রশংসা আর কখনো কারো কাছ থেকে শুনেনি নিজস্ব স্বামীর কাছেও।
আর যদি সে জানতে পারে কোন কারনে যে পারিবারিক কোনো অশান্তির কথা তাহলে সেই অশান্তির কথাটাকে আবারো টেনে আনবে এ নিয়ে এমন ভাবে উপস্থাপন করবে যেন এতে স্ত্রীর কোন দোষ না সব দোষ ছিল আশেপাশের বা তার সাথে যে তর্কে জড়িয়ে ছিল তার, আর এটাই তো স্বাভাবিক কেউ যদি নিজের প্রতি মায়াবা টান দেখায় তাহলে তার প্রতিও মায়া বাটন সৃষ্টি হয়।
আসলে এমন কথা কখনো কারোকে খুশি করে না, বরং যে কথার কারণে একজনার অন্যজনের প্রতি অনীহা চলে আসে আমি মনে করি এটাও এক ধরনের গুনাহ।
কারণ এমন কথা বা কাজের কারণে একজন মানুষকে তার বাস্তব জীবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এভাবেই তৈরি হয় মায়ার ফাঁদ। সামান্য অভিমান বা দাম্পত্যের টানাপোড়েনে বাইরের এই মিষ্টি কথা আনেক এর জীবন এ বিষ ঢেলে দেয়। স্বামীর প্রতি ক্ষোভ বাড়ায়, সংসারে অশান্তি আনে, আর শেষমেশ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। আর যদি পরিবার থাকে কোন ছোট বাচ্চা তাহলে নষ্ট হয় তাদের শৈশব ও সুন্দর জীবন।
তাই যা কিছু বলি বা করি সব চিন্তা করেই করতে হবে আবেগ দিয়ে করলে হবে না।
Comments
Post a Comment