Skip to main content

Featured

ঈদের দিনটাকে আমরা আমাদের একটা ধর্মী দিন হিসেবে ও যেভাবে উপভোগ করতে পারি.!

  যেভাবে ঈদের আনন্দ করতেন নবীজি ও সাহাবিরা আমরা নবী কারিম সা. ও তার সাহাবিদের দেখিনি। দেখিনি তাদের জীবন কেমন ছিল। তবে হাদিসে নববী পড়েছি। জীবনী পড়েছি সাহাবিদের। মুসলিমদের আনন্দের দিন ঈদের দিন। ঈদের বিষয়েও তাদের থেকে শিখেছি অনেক কিছু। এ আনন্দের দিনটি কীভাবে পালন করতে হয়। কীভাবে উদ্‌যাপন করতে হয়। আমরা গল্পে গল্পে সাহাবিদের থেকে শুনেছি নবী (সা.)-এর ঈদ কেমন ছিল। ঈদের আনন্দঘন মুহূর্ত কীভাবে কাটিয়েছেন তারা। হাদিসে নববীর দিকে তাকালে আমরা দেখি, ঈদের দিনে নবীজি সা. দিনে বের হয়ে দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। হাদিসে নববীর দিকে তাকালে আমরা দেখি, ঈদের দিনে নবীজি সা. দিনে বের হয়ে দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। প্রতি বছর মুসলমানদের সবচেয়ে আনন্দের দিন হলো ২ঈদের দিন ঈদুল আজহার ও ঈদুল ফিতর। বছর ঘুরে এ আনন্দ আর খুশির দিন আসে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও সাহাবারা তাদের জীবনে দেখিয়েছেন এ দিনের গুরুত্ব কতোটা একজন মসলমানের কাছে।কীভাবে তারা ঈদ পালন করতেন, এবং কীভাবে ঈদের দিন সময় কাটাতেন। হাদিসে দিকে তাকালে আমরা আরো দেখি,  ঈদের দিনে নবীজি (সা.) দিনে বের হয়ে দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ...

"একটু কল্পনা করুন কেউ আপনাকে পাওয়ার জন্য দিনরাত আল্লাহর কাছে দোয়া করছে।"""



 ১৮-১-২০৫....জুমার  দিন।

গতকাল এই টাইমে আমাদের উপর তলার এক ভাবি আছেন, উনি হঠাৎ আমার ভাইকে কল দিল এবং বলল তার নাকি এত রাতে কোকাকোলা প্রয়োজন দোকান থেকে আনার জন্য কোন মানুষ পাচ্ছে না উনাকে একটু হেল্প করতে অর্থাৎ দোকান থেকে কোকাকোলা নিয়ে আসে ওনাকে দিতে, ভাইয়ার ইচ্ছা না থাকলেও এত রাতে আবদার করছে ভাবি তাই  গেছে এবং এনে দিছে, আনার পর যা হল ভাবি আবার ওকে খাওয়াই দিছে আর ভাঙতে কিছু টাকা ছিল ১০ টাকার মত সেটা ওকে দিয়ে দিছে, ও আবার কি করছে ওই টাকাটা এনে আমার হাতে দিছে,তখন উভয়ে মিলে হাসতে ছিলাম, আমি তখন ওই টাকাটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম আর ভাবতেছিলাম, খুশি হওয়ার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন নেই, দশ টাকা দিয়েও খুশি হওয়া চাই যদি সেটাকে ভাগ করাতে জানে.. ধরন  টাকাটা আমাকে না দিয়ে ও পারতো দশ টাকা রি ব্যাপার,কিন্তু না ও সেটা আমাকেই দিছে কারণ ওর এই জিনিসটা ভালো লাগছে আর ওই ভালো লাগাটা ও চাইছে উভয়ে মিলে উপভোগ করি তাই এটা আমাকে দিয়ে খুশি করলো। হাসাহাসি করার কিছুক্ষণ পর ও হোয়াটসঅ্যাপে একটা স্টোরি দিল স্টোরিটা ছিল এমন যে, 

""একটু কল্পনা করুন কেউ আপনাকে পাওয়ার জন্য দিনরাত আল্লাহর কাছে দোয়া করছে।"""

 এই পোস্টটা যখন আমার সামনে আসলো, তখনসাথে সাথে আমি জিজ্ঞাসা করলাম কে সে যার জন্য আমার মুসাফির ভাই টা দোয়া করতেছে,জানতে যাওয়া আমার অবুঝ মন,,, সাথে ও না বললো, এর উত্তরে আমি আবারো বললাম,, কোথায়ও মনে হয় মেঘ  জমতেছে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস!! ভূমিকম্প শুরু হলে তখন  মনে হয় আমি খবর পাবো 😊😊😊জীবন যেখানে যেমন ঠিক তেমনি উপভোগ করা,,,,,          এটা বলে কিছুক্ষণ হাসলাম!!"।       

তখন হঠাৎ মনে হলো আমর অন্যভাইদের একটা বাক্য,, যেটা  ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গা শহরের ঐতিহাসিক টাউন ফুটবল মাঠে যখন কালকে বক্তব্য দিয়েছিলেন,তিনি সেখানে বলেছিলেন যদি খেদমতের সুজোগ পান  তাহলে  ন্যায্য দাবিগুলো চাওযয়া ছাড়া বাস্তবায়না হবে। সাধারণ জনগণের উপর জুলুম চাঁদাবাজি এগুলো বন্ধ করবেন, এবং তিনি বলেছিলেন আমার সন্তানদের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে চাই, ["আবু সাঈদ মুগ্ধ  হয়নি শেষ যুদ্ধ "]।       

কারণ ২০২৪ জুলাইয়ে আমাদের অনেক ভাই শহীদ হয়েছেন, অনেক মা সন্তান হারিয়েছেন, অনেক বোন হারিয়েছেন তাঁদের ভাই, অনেক ভাই হারিয়েছে তাদের ওপর ভাই,, অনেক দাদা দাদী হারিয়েছেন তাদের আদরের নাতি নাতনি।                                               তবে পাইনি বিচার আজও,

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন: ‘আমি অবশ্যই এটা পছন্দ করি যে আল্লাহর রাস্তায় (ন্যায়ের পথে) শহীদ হই, আবার জীবিত হই, আবার শহীদ হই, আবার জীবিত হই, আবার শহীদ হই।’ (বুখারি: ৩৫)

সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর মহান আদর্শ হলো যে ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটন করবে, সে ও তৎসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার জন্য দায়ী হবে। পিতার অপরাধে পুত্রকে এবং পুত্রের অপরাধে পিতাকে দায়ী করা যাবে না। 

 ‘কেউ কারও পাপের বোঝা বহন করবে না।’ (সুরা-৬ আনআম, আয়াত: ১৬৪ ও সুরা-১৭ )

তোমরা শয়তানের সহযোগীদের নিঃশেষ করে দাও। নিশ্চয় শয়তানের যড়যন্ত্র জাল বড়ই দুর্বল।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৭৬)

 কোন মানুষ যখন অন্যায়কে অন্যায় জানার পরও সেটা করে তখন সেই শাস্তির যোগ্য, কেসাসের বিধান অনুযায়ী হত্যার বদল হত্যা। জুলাইয়ে আমাদের এতগুলো ভাই বোন মারা যাওয়ার পরেও যার হুকুমে এত কিছু হয়েছে সে এখনো ঘুরতেছে, অপরদিকে। ঘুরতেছেন সন্তান হারা পিতা মাতা,, অনেকের আয়ের পথ বন্ধ,অনেক ভাইরা এখনো শরীরে গা ও শুকাইনি, মনের তুপ্তি ও পাইনি।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ».

“তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় দেখবে সে যেন তা তার হাত দিয়ে বাধা দেয় আর যদি হাত দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন মুখ দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি মুখ দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন অন্তর দিয়ে বাধা দেয়, আর এটি হলো দুর্বল ঈমানের পরিচয়।”[1]

আর আমরাই তারা যারা শত শত আলেম মুল আমাকে দেখেছি তারা কিভাবে অত্যাচারে নিপীড়িত হয়েছিল, শহীদ হয়েছে কতোশত, বিনা দোষে শাস্তি পেয়েছে বছরের পর বছর, নিজেদের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করেছি তবে প্রতিহত না,, কারণ আমাদের সেই প্রতিবাদে তাদের কষ্ট একটুও কমেনি, তারা তাদের কষ্ট ঠিকই ভোগ করেছে, ক্ষমতার লোভে এমন কোন কাজ নাই যেটা সে করে নাই, অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে বাড়িয়েছে অন্যায়, শাস্তি না করে ও শাস্তি পেয়েছে শত শত মানুষ আর অপরাধ শাস্তি করে ও পাইনি শাস্তি, 





Comments