Skip to main content

Featured

কারো বেপারে কখনো বদ-দোয়া না করা, বরং কারো বেপারে খারাপ লাগলে তারজন্য হেদায়েত এর দোয়া করা।

মানুষ এর মুখের বদ-দোয়া,                                            আমাদের অনেক এ আছে কথার শুধু শেষ উভয়টা করে বদ -দোয়া দিয়েই। মনে হয় যেনো বদ-দোয়া ছাড়া কথা বলা সম্ভব না। আবার আর কিছু লোক আছে যারা নিজের কোনো ভুল হলে ও অন্যকে দায় করে বদ- দোয়া শুরু করে দেয়।এমন কি নিজের সন্তানদের ও বদদোয়া দিতে তাঁদের একটু মুখে বাদে না। একবার চিন্তা ও করে না যে তারা মা - বাবা হয়ে ও কিভাবে নিজের সন্তানের বেপারে এমন অনুচিত কথা বার্তা বা এতো মারাত্মক বদ-দোয়া দিচ্ছে যেখানে বদ-দোয়ার বেপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়ালাইহি ওয়াল্লাম নিষেধ করেছেন  হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের সন্তান-সন্তুতি ওপর, নিজেদের ধন-সম্পদের ওপর বদ-দোয়া কর না। কেননা হতে পারে তোমরা আল্লাহর কাছে এমন সময়ে এমন কিছু প্রার্থনা করলে, যখন তার কাছে প্রার্থনা করলে তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবেন।’ (মুসলিম)  কোন ব্যক্তি বলতে পারে না কোন সময়টাত...

মহিলাদের না-জানা আজানা সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা।


 জমিনে মধ্যে যতো আওয়াজ আছে সব কিছুর মধ্যে থেকে সবচেয়ে মধুর ও ভালোলাগা আওয়াজ  ও হৃদয় শান্ত করার ধ্বনি হলো  আজান। 

পূরা পৃথিবীতে এতো মানুষের প্রাণের আশা এটি,আজান মানুষেকে সময় মনে করে দেয় সময়,মনে করে দেয় তাকে নামাজের কথা, মৃত্যুর কথা, একা থাকার কথা, সময় সংকীর্ণ যা করার দূত করতে হবে এমন কিছু ইঙ্গিত দেয় মানুষকে, আজানাশুধু একজন মুসলিমকেই তার অন্তর নরম করে দেয় এমন না আজান মুসলিম অমুসলিম সকালের  অন্তরকেই নরমকরে তবে সকালে  সেই স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনা,

 আল্লাহ তাঁয়ালা যাদের অন্তরে মহর মেরে দিছেন তারা কিভাবে (হেদায়েতের) পাবে!!তারা তো হেদাযেতর আলো থেকে বঞ্চিত হবেই।’তাই আমরা মুসলিম হিসেবে --একজন মুসলিম ব্যক্তির জন্য আজানের শব্দগুলোর খুব বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, আর আমাদের ইসলাম এ আজানের ব্যাপারে  গুরুত্বও অনেক বেশি, সে হিসেবে আজান শোনা ও আজানের জবাব দেওয়া  ইসলামে  অনেক ইবাদতের মধ্যে একটা ইবাদত।

আর এই জেনে বুঝে আমল করার শহরে ও এখনো এই বিষয়ে অজ্ঞ মানুষ আছে, যারা আযানের সময় কি করবে সেটাও এখনো জানে না, আযানের সময় চুপ না থেকে নিজের কাজে ব্যস্ত থাকে আজানের জবাবা দিয়ে মাথার ওড়না ঠিক করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, এই সব কথা ভেবে খুব খারাপ তাই যেসব মানুষরা এসব এসব বিষয় সম্পর্কে জানে তাদের উচিত তাদের আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত আশেপাশে মানুষকে যারা এই সম্পর্কে অজ্ঞ তাদেরকে কৌশলে এসব বিষয় সম্পর্কে অবগত করা যেকোনো প্রসঙ্গে কথা তুলে কথার মোড় ঘুরিয়ে এসব বিষয়ে নিয়ে আসা , এবং তাদেরকে সঠিকশিক্ষাটা জানিয়ে দেওয়া,

"আজান শোনা ও আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নত" যারা আজান শুনবেন, তারা মৌখিকভাবে জবাব দেবেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, তখন জবাবে মুয়াজ্জিনের মতো তোমরাও তা বলবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৬১১)

ইরশাদ করেন, 'যখন তোমরা আজান শুনবে, এর জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে। আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন 'হাইয়্যা আলাস সালাহ' ও 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ' বলার সময় শ্রোতা 'লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ' বলবে।                                              এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৮৫)

তবে কোনো কোনো বর্ণনায় ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময়ও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।            (কিতাবুদ দোয়া, তাবারানি, হাদিস: ৪৫৮)

আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউমের জবাবে,    ইসলামী ফিকহের বিভিন্ন কিতাবের বর্ণনামতে, ফজরের আজানে ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’-এর জবাবে ‘সাদাকতা ও বারারতা’ পড়বে। কিন্তু হাদিস ও সুন্নাহে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাই বিশুদ্ধ মতানুসারে এর জবাবেও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ বলাই উত্তম। কেননা হাদিস শরিফে এসেছে, আজানের জবাবে তোমরাও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলবে। (তাকরিরাতে রাফেয়ি: ১/৪৭ আহসানুল ফাতাওয়া: ১০/২০৬)

তবে যদি কেউ জামাতে নামাজ আদায় করে তখন যেনো একামতের জবাবকে আজানের জবাবের মতো না ভাবে অর্থাৎ সে যেন মনে না করে আজানের জবাব যেরকম দিতে হবেই অন্যে দিলে ও আমারটা আমার দিতে হবে,তেমন একামতের জবাব ও দিতে হবে, তবে একামতে জবাব দেওয়াও মুস্তাহাব,

আজানের মতো মুসল্লিদের একামতের জবাব দেওয়াও মুস্তাহাব। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৫৭) একামতের জবাবও আজানের অনুরূপ। শুধু একামতের মধ্যে ‘ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ’-এর জবাবে’ ‘আক্বামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’ বলবে।              হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার হজরত বেলাল (রা.) একামত দিচ্ছিলেন, তখন নবী করিম (সা.)-ও তাঁর সঙ্গে আজানের অনুরূপ উত্তর দিয়েছেন, তবে ‘ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ’ বলার সময় বলেন, ‘আক্বামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫২৮)

এইভাবেই আমরা সুন্দর করে শদ্ধভাবে মুয়াজ্জিন থেকে শুনে শুনে আজানের জবাবগুলো দিতে পারবো।


আমাদের কিছু ভুলবাল ধারণা--সেগুলো হলো ....

•কেউ কেউ আজানে ‘আল্লাহু আকবার’-এর জবাবে ‘জাল্লা জালালুহু’ পড়ে থাকে।                              এটি সুন্নাহপরিপন্থী। (ইমদাদুল আহকাম: ১/৪১৬)

•অনেকেই আজানের সময় জবাব দিতে গিয়ে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ’-এর জবাবে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলে থাকে। এটিও উচিত নয়। কেননা এ সময় দরুদ পড়ার নির্দেশ নেই। বরং তখনো মুয়াজ্জিনের অনুরূপ ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ’ বলাই সুন্নাত।        (আলবাহরুর রায়েক: ১/২৭৩, আহসানুল ফাতাওয়া: ২/২৭৮)

এই দরুদ পাঠ করবে আজান শেষ হওয়ার পর।

•আমাদের দেশে আজানে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ’ বলার সময় অনেকেই বৃদ্ধাঙুলে চুমু খেয়ে চোখে মুছে থাকে। কেউ কেউ আবার সঙ্গে ‘কুররাত আইনি’—এ দোয়াও পড়ে থাকে। অথচ ইসলামী শরিয়তে এর কোনো প্রমাণ নেই। সুতরাং এটি বর্জনীয়।                                                            (আল মাকাসিদুল হাসানা, পৃষ্ঠা-৬০৬, ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৫/২৫৯)

•প্রসিদ্ধ আছে, আজানের জবাব না দিলে বা আজানের সময় কথা বললে বেঈমান হয়ে যায় কিংবা বেঈমান অবস্থায় মারা যাওয়ার ভয় আছে—এরূপ কোনো বর্ণনা হাদিসের কিতাবে নেই। সুতরাং এটি ভ্রান্ত বিশ্বাস।                                              (ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ৫/৪৩০)


কিছু কিছু সময় আজানের জবাব না দেওয়া, 

সময় গুলো হলো:---

••নামাজ আদায়কারী, পানাহার অবস্থায়, ইস্তিনজাকারী, স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত, মহিলাদের ঋতুকালীন ইত্যাদি সময়।                                    তবে অনেক আলেমের মতে, আজানের পরক্ষণেই যদি উল্লিখিত কাজ থেকে অবসর হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আজানের জবাব দিয়ে দেওয়া উত্তম।    কোরআন তেলাওয়াতকারী তেলাওয়াত সাময়িক বন্ধ রেখে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম।          (আদ্দুররুল মুখতার: ১/৩৯৭)

••জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব

জুমার দ্বিতীয় আজানের সময় যখন খতিব সাহেব মিম্বরে উপবিষ্ট থাকেন, তখন ফেকাহবিদদের নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী জুমার দ্বিতীয় আজানের জবাব মৌখিক না দেওয়াটাই উত্তম। তা সত্ত্বেও কেউ দিতে চাইলে মনে মনে জবাব দিতে পারে।        (আদ্দুররুল মুখতার: ১/২৯৯, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২/৫৮) 

(আজানের সময় দুনিয়াবি কথা ও কাজে লিপ্ত থাকা)

আজানের সময় চুপ থাকা সুন্নত। একান্ত প্রয়োজন না হলে সাধারণ দ্বিনি ও দুনিয়াবি কথা বা কাজে লিপ্ত থাকা অনুচিত। বক্তৃতা বা সেমিনার চলাকালে আজান হলে সাময়িক তা স্থগিত রাখবে। ওয়াজ বা কোনো দ্বিনি মাহফিল চলাকালেও তা সাময়িক বন্ধ রেখে সবাইকে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম। মনে রাখতে হবে, একজন আজানের জবাব দিলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায় না। কেননা আজানের জবাব দেওয়া শ্রবণকারী সব মুসলমানের জন্য সুন্নত। আর আজানের জবাব দেওয়া সুন্নতে কেফায়া নয়। (ফাতহুল কাদির: ১/২৪৮, রদ্দুল মুহতার: ১/৩৯৯, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ৫/৪২৭)


••রেডিও-টেলিভিশনের আজানের জবাব

মুয়াজ্জিনের আজান রেডিও-টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হলে তার জবাব দেওয়া সুন্নাত। রেকর্ড করা হলে তার জবাব দেওয়া সুন্নাত নয়।      (বাদায়েউস সানয়ে : ১/৬৪৬, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল: ১/১৭০)


••আজানের পর দোয়া আদায় করা,

আজানের পর দরুদ শরিফ ও দোয়া পাঠ করা সুন্নাত। হাদিস শরিফে এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।  রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আজানের পর আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ...’ 

اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوداً الَّذِي وَعَدْتَهُ

উচ্চারণ :( আল্লাহুম্মা রববা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কাইমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াবআছহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ)। 

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব।মুহাম্মদ (সা.)-কে (জান্নাতে প্রবেশের) মাধ্যম এবং (সবার মধ্যে বিশেষ) সম্মান দান করুন। তাকে প্রশংসিত স্থানে পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাকে দিয়েছেন।

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে উল্লিখিত দোয়া পড়বে কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার সুপারিশ থাকবে। (বুখারি, হাদিস : ৬১৪)


অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘তোমরা মুয়াজ্জিনের অনুরূপ শব্দে আজানের জবাব দাও, অতঃপর দরুদ পাঠ করো, এরপর আমার জন্য বেহেশতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থানের জন্য দোয়া করো, আশা করি, আল্লাহ তাআলা আমাকেই সে স্থান দান করবেন। যে ব্যক্তি এ দোয়া করবে, তার জন্য আখিরাতে আমার সুপারিশ অবধারিত। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৮৪)


আজানের পর হাত তুলে মুনাজাত

আজানের পর দরুদ শরিফ পড়ে একটি বিশেষ দোয়া পড়ার কথা হাদিস শরিফে রয়েছে,।                      তবে আজানের পর হাত তুলে দোয়া পড়া ও মুনাজাত করার কথা হাদিসে নেই।                              (ফয়জুল বারি : ২/১৬৭, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ১৬/২০৮)

• আযানের পরে দোয়া করা,

• দুরুদ শরীফ পড়া,

• সুপারিশের জন্য দোয়া করা,

• আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষী দেওয়া,

 •আল্লাহর কাছে চাওয়া.

 এই সময়গুলোতে দোয়া কবুল হয় তাই চাইলে এই সময়গুলো তো দোয়াও করতে পারি আমরা,

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া কখনোই প্রত্যাখ্যাত হয় না। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫২১)

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে কুসংস্কার থেকে বেচে  থেকে সুন্দরভাবে জেনে বুঝে আমল করার তাওফিক দান করুন,



Comments