Skip to main content

Featured

আমাদের মুখের ব্যবহার আমাদেরকে মূর্খ বানিয়ে দেয় আবার আমাদের মুখের ব্যবহারই আমাদেরকে শিক্ষার উঁচু স্থানে এস্থানে দেয়।

মানুষের জীবনে কথা হলো সব থেকে বড় একটা প্রভাবশালী অস্ত্র ..!  ঠোট থাকলে হয় না  যদি কথাই বলতে না পারে, আর কথা বললে হয় না যদি সেই কথার না থাকে কোন মূল্য..! আমাদের ঠোঁট থেকে বলা কিছু শব্দ বা কথা কখনো কখনো এমন হয় যে মানুষকে মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলা হয়, আবার সেই একই ঠোঁটের কিছু কথা কারও হৃদয়ে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নও হয়ে যায়।  আমাদের কিছু কথা এমন হয় যে মানুষকে নতুন করে ভাবার সাহস দেয় আবার সেই আমাদেরই কিছু কথা এমন হয় যে একজন আর মনের অনেক সাহস সেকেন্ডে কেড়ে নেয়।  আমাদের এই ঠোঁটের ব্যবহারিত শব্দ চোখে দেখা না গেলেও এটা অনুভব করা যায় খুব গভীর থেকে, আমাদের ঠোঁটের এই উচু নিচু শব্দের ভার আমরা নিজেরাও বইতে পারিনা, আমরা জানি না আমাদের এই ঠোঁটের কোন শব্দ টা কার হৃদয়কে ভেঙ্গে দেয় বা কোন শব্দটা কার হৃদয়কে নতুন করে বাঁচার সাহস যোগায়, ঠিক এই কারণেই আমাদেরকে কারো সাথে কথা বলার সময় খেয়াল করে কথা বলতে হবে, যেন আমাদের ঠোঁট থেকে এমন কোন আচরণ বা এমন কোন কথা বের না হয়, যে কথার কারণে একটা মানুষকে শেষ করে দিতে পারে ভিতর থেকে তার সাহসকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ভালো কথা শুধু  কারো ...

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের পৃথিবী তাদের প্রতি আমাদের যেভাবে যত্ন নেওয়া উচিত!


সকাল শিশুরাই আমাদের জন্য আগামী দিনের ভবিষ্যৎ,তাদেকে যদি আমরা সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করি করে শুধু শিক্ষাদিয়ে কখনো তাঁদের উজ্জ্বল ভবিৎষতের আশা করা যায়না, তাদেরকে ভালো  ব্যবহার ও পরিবেশ দিয়ে নীতি নৈতিকটার  মাধ্যমেই বড় করতে পারলে তখন তাদেরকে উজ্জ্বল ভবিষৎ আশা করা যাই, কারণ শিশুর মন ও কিন্তু থাকে ছোট ঠিক মাটির মতো --মাটিদিয়ে আপনি যেভাবে কিছু বানাতে চাইলে আপনি মাটিকে প্রথম যেভাবে ইচ্ছা বানাতে পারেন শিশুকে ও আপনি ছোট থেকে সঠিক মূল্যায়ন ও- সঠিক শিক্ষা দিতে পারলে আপনার  ইন্তেকাল হতে পারে কিন্তু শিশুর শিক্ষার ইন্তেকাল কখনো হবে না, শিশুদের স্বপ্ন দেখা শুরু হয় ছোট থেকে সে যেমন চিন্তা নিয়ে বড় হবে, বড় হওয়ার পরে ও সে চেষ্টা করবে তার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে। যেমন আমার আম্মু আমাকে যখন মাদ্রাসায় প্রথম ভর্তি করিয়েছিলেন, তখন আম্মু খেয়াল করছেন যে মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকারা অনেক ভালো তারা কখনো অন্যের খারাপী করে না, পারলে ভালো কিছু শিখানোর চেষ্টা করে তবে কারো জন্য কখনো খারাপ কিছু আশা করে না, সব সময় শিক্ষিকারা আমল এর মাঝে থাকে মনে হয় যেনো তাদেরকে কেউ সুসু আমলের মাঝে থাকার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে, শুধু যে তারা একা আমলে থাকতো এমন ও না প্রতিটা শিক্ষিকা যে সে রুমে থাকতো ঐ রুমের ছাত্রীদেরকে ও আমল রাখতেন বা রাখার চেষ্টা করতেন, আর এইসব প্রতিটা গার্ডিযানকে মুগ্ধ করতো, এবং সকল গার্ডিয়ান  ও মনে মনে আশা ও দোয়া করতো আল্লাহ যদি তাদেরকে মেয়েদের ও (দাওরা হাদিস )পর্যন্ত পড়ার তোফিক দিতো!!!"এবং মাদ্রাসার শিক্ষিকা হতো পারতো!........        কারণ দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত পড়তেও কপাল লাগে এবং আল্লাহর রহমত ও লাগে, কারণ একটা মেয়ের জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়ে মাঝে মাঝে অনেক সমস্যা ও আসে  গ্রাম হলে বিয়ের  দিয়ে দেয় বা মাদ্রাসার পড়া-লিখা কঠিনবলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ইস্কুলে চলে যাই ইত্যাদি ইত্যাদি..অজুহাতের কারণে  আর পড়া হয় না।

যাই হোক আমার আম্মুরও স্বপ্ন ছিলো আমি সেখানে পড়া লিখা করতেছি সেখানে যেনো পড়াতে পারি অর্থাৎ শিক্ষিকা হিসেবে যেনো কোনোদিন থাকতে পারি, আল্লাহ তাঁয়ালা ও তোফিক দিয়েছেন, আম্মুর স্বপ্ন ও পূর্ণ হয়েছে,,,,,,তবে এটা ঠিক যে আগের শিক্ষিকাদের মতো আমলদার এবং  আল্লাহ ওয়ালা হতে পারিনি তবে চেষ্টা করছি ও করি, কারণ ছোট থেকে আমরা একটা কথা শুনে বড় হয়েছি পড়া লিখা যেমন হোক আমল ও আখলাক ভালো হতে হবে,, পড়া লিখাই যে সবাই ভালো থাকে এমন না... তবে আমল আখলাকে সকলের ভালো হতে হবে, এই কথা গুলোর এখনো কানে বাজে,

সে হিসেবে বলতে পারি ছোটরাই আগামীর পৃথিবী যদি  সে পৃথিবীটা একজন গার্ডিয়ান এর হাতে এবং একজন শিক্ষকের হাতে।

প্রায় ৯৯% ভাব সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেই আমরা মুখস্থ করতাম আর মুখস্ত  ছিলো তাই খাতায় লিখে দিয়ে আসতাম। বই এবং গাইড ছিলো আমাদের একমাত্র সম্বোল,

আর আমরা এখনো শিশুদেরকে  তোতাপাখির বুলি’র মতো কিছু শব্দ মুখস্ত করায় যা আমরা ও করছি তবে  আমাদেরকে এগুলো মুখস্ত করার সাথে সাথে আমল আখলাখ ও শিখানো হয়েছিল তবে সেটা মাদ্রাসা হিসেবে সুবিধাটা পেতেছিলাম,কিন্তু বর্তমানে তো এই পরিবেশটা সকলে পাচ্ছে না, সকালে আর পেয়ে থাকলে ও পালন করতে পারছে সকলে।         এমন অসংখ্য উদহারণ দেওয়া যায়। এই লেখা শিশুদের সম্পর্কে দু-একটি প্রচলিত বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে  রাখবো। যেমন :-আমরা ছোট থাকতে বইয়ে ভাব সম্প্রাসরণ পড়েছি, “ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে""পড়েছি, মুখস্থ করেছি এবং পরীক্ষার খাতায় কবি সেজে লিখে দিয়েছি,আমরা এমনই হতভাগা, যে ভাব সম্প্রসারণ যে ভাবের সম্প্রসারণ, সেটাই আমার কখনো বুঝি নি।আমাদের একমাত্র উপকারী সম্বল।আর বাইয়ের বাহিরে কিছু শিখিনি, যদি শিখতাম  তাহলে আমাদের পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র শিশুদের প্রতি কখনো অমানবতা কিছু দেখানো হতোনা।

দেখন আমরা  কীভাবে আজকের শিশুকে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে গড়ে তোলতে পারবো!.....যেমন --

**উন্নত পরিবেশে শিশুর যত্ন নেতে হবে,

পরিবেশের সঙ্গে শিশুদের অভ্যাস বা স্বভাব গড়ে ওঠে। পরিবেশের চারপাশে ভালো-মন্দ যা দেখে, শিশুরা তার প্রতি খুব সহজেই আকৃষ্ট হয়ে যায়। তাই শিশুদের খারাপ পরিবেশ থেকে দূরে রেখে ভালো পরিবেশে যত্ন নেওয়া উচিত। যেখানে নৈতিকতা বজায় থাকে। মনে রাখতে হবে, শিশুদের চোখে খারাপ কোনো বিষয় যেন নজরে না পড়ে। তাই ভালো পরিবেশে থাকলে শিশুরা দেখাদেখি নৈতিকতার প্রতি আকৃষ্ট হবে। আমাদের ঘর গুলোতে টিভি মোবাইল এইসব মাধ্যমের সাথে শিশুকে পরিচিত না করার চেষ্টা করা।

** শিশুদের সাথে ভালো ব্যবহার করা,

আমরা সকলেই জানি বা বলা হয়ে থাকে, ব্যবহারে বংশের পরিচয়। তাই শিশুদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে মা-বাবার উচিত শিশুর সামনে সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় কথা বলা। বড়দের দেখা দেখি শিশুরা শেখে। আর শিশুদের সামনে ঝগড়া-বিবাদ না করা। ঝগড়াঝাঁটির সময় শিশুরা খারাপ শব্দের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং সে খারাপ ব্যবহারটাই তারা শিখে, আর ভালোর থেকেও মানুষ খারাপের সাথে খুব তাড়াতাড়ি পরিচিত হয়।

** শিশুরা তো ভুল করবেই  তবে তাঁদেরকে ধমক না দিয়ে উৎসাহিত করা,

শিশুরা ভুল করলে তাদের ধমক দিতে নেই। কারণ, তারা ধমক দেওয়া মানুষকে ভালোবাসে না ও এড়িয়ে চলে। তাই শিশুদের ধমক না দিয়ে সুন্দর ভাষায় বোঝানো, যাতে তারা তাদের ভুলটা বুঝতে পারে এবং ভালোর দিকে আকৃষ্ট হয়। আর শিশুদের ভালো কাজে প্রশংসা করা যেনো তারা উৎসাহিত হয়, কারণ  প্রশংসা শিশুদেরকে খুশি দেয়, আর এই খুশি মাধ্যমেই  তারা আরও নৈতিকতা সম্পর্ন হয়ে ওঠে।


** শিশুদেরকে ভালো ভালো  ইসলামিক বই পড়তে দেওয়া  বই পড়তে দেওয়া,

মা-বাবার উচিত শিশুরা যাতে শৈশব থেকেই ভালো বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলতে পারে ও  শিশু বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভালো একটা দ্বিনী পরিবেশের মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেওয়া। যাতে তারা ভালো বই পড়ে ভালো কিছু জানে আর দৈনন্দিন সে ভালো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। আবার ভালো কিছু জানার জন্য পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন শিশু-কিশোর ম্যাগাজিন, বিভিন্ন পত্রিকার প্রতি সপ্তাহের ছোটদের ছড়া ও ছোট ছোট ইসলামিক গল্পবিষয়ক ও সাহিত্যর পাতায় ইত্যাদির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, তাহলে শুশুর বড় হওয়াটা খুব সুন্দর ভাবে হয়ে উঠবে। 


** শিশুকে সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখতে শেখানো,

শিশুরা বয়সের সঙ্গে বেড়ে ওঠার মধ্য দিয়ে তাদের সুন্দর স্বপ্ন দেখানো উচিত। যেন তারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। দেশের সেরা লেখক, শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিক হিসেবে গড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখানো উচিত। সুন্দর স্বপ্ন দেখার জন্য তাদের বিখ্যাত মানুষদের বই পড়া উচিত ও তাদের সঙ্গে দেখা হলে নানা বিষয়ে কথা বলতে দেওয়া উচিত।

**বাচ্চাদের প্রতি কিছু শাসন ও অনৈতিকতা।

পূর্বসূরীরা খুব গর্বের সঙ্গে একটা কথা বলতো , মা-বাবারা নাকি তাদের শিক্ষকের হাতে তুলে দিয়ে বলতেন, “শুধু হাড়গুলো আমাদের, চামড়া এবং মাংস আপনার।” তার ফলেই নাকি তারা আজ এই পর্যায়ে আসতে পেরেছেন। কী ভয়াবহ কথা! শিশুর মনন না বুঝে, শুধুমাত্র মারের ভয় দেখিয়ে, আক্ষরিক অর্থে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে শিশুকে মানুষ করে তোলার নিদারুণ চেষ্টা। 

ফলাফল যা হওয়ার তাইই হয়েছে, জীবনে লেখাপড়াটা হয়েছে, কিন্তু বোঝাপড়াতে দারুণ ঘাটতি থেকে গেছে। তাই তো আজও তারা ছবক দিয়ে বেড়ান, মারের ওপর ওষুধ নাই। শুধু মার আর শাসনের ওপর রেখে আগামী দিনের ভবিষ্যৎদের মানুষ করে তোলার যে তরিকা, তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলেই জাতি হিসেবেও আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছি। 

 শিশুদের গায়ে হাত তোলার ও একটা বিধান রয়েছে সামনে সেটা নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।


Comments