এই ছোট জিনিস দুইটা দিয়েই যেভাবে আমরা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবো।



আমাদের প্রতিদিনের রুটিনে যেহেতু ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার একটা নিয়ম আছে, আর এখন যেহেতু আমরা রোজা রাখি তাই সেহেরী খেয়ে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করা আমাদের জন্য মাত্র। কিন্তু যারা প্রতিনিয়ত ব্রাশ করে অভ্যস্ত তারা জেনেও মাঝে মাঝে ব্রাশ করে ফেলি যদিও এটা ঠিক না, যারা এমনতাদের জন্য এই পোস্টটা করা। কারণ আমি যেহেতু এই রমজান আসছে পর্যন্ত প্রতিদিন এই রুটিনটা পালন করে থাকি সেটা হলো সকলের বাসায়ই দারচিনি লবঙ্গ যেগুলা থাকে ওখান থেকে একটা এলাচ বা লবঙ্গ একটা বা দুইটা চিবিয়ে খেতে পারেন। যদিও প্রথমে প্রথমে একটা ও ভালো খেতে পারবেন না, কিন্তু দুই এক দিন ধরে খেতে থাকলে ইনশাল্লাহ আর খারাপ লাগবে না, আর এগুলো খাওয়ার ফলে আপনার যেভাবে দাঁতের ক্ষতি থেকে ধাত সুরক্ষা থাকবে তেমনি ব্রাশ না করলে এক ধরনের যে অস্থিরতা লাগে মুখে সেটা আর লাগবে না, আমি প্রতিদিন খাই কিন্তু কালকে খাইনি ভুলে গেছিলাম, পুরোটা দিন নিজের কাছে নিজেকে অস্থির লাগতেছে, কিন্তু আজকে যে যখন খাইছি আজকে পুরোটা দিন নিজের কাছে নিজেরই ভালো লাগছে, এটা আমি আগে অনেকবার শুনছি যে দারচিনি বা এলাচ এগুলার উপকারিতা রয়েছে কিন্তু কখনো ট্রাই করি নাই, এই রমজানে প্রথম ট্রাই করা। আর আলহামদুলিল্লাহ এটার উপকারিতা ও রয়েছে, এগুলোর উপকারিতা খুঁজতে গিয়ে এক আপুর পোস্টে দেখলাম কিছু উপকারিতা সেখান থেকে এখানে উল্লেখ করলাম।

সাহরির খাবার খাওয়ার পর ছোট এলাচ এর- তিনটি দানা চিবিয়ে খেলে, আপনার মুখের ভিতর শুকিয়ে যাবে না এবং সারাদিনে পিপাসা লাগবে না। বুক জ্বালাপোড়া,বমি ভাব,পেট ফাঁপা,অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে নিন,এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিস্কারে সহায়তা করে,প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তপর ঘনত্ব সঠিক থাকে,

দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।

.এলাচ মুখে নিয়ে চুষলে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে,

মাড়িঁর ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়াসহ দাঁত ও মাড়িঁর নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে,নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে,এলাচের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ, রিংকেল ইত্যাদি পরতে বাধা প্রদান করে।

রমজান মাসে অনেকের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালা পোড়া করলে, ফলমুল, ডাবের পানি, বেলের শরবত,লেবুর শরবত তরমুজ খাবেন, এই সব বড়লোকি খাবার, গরীবদের জন্য আরও বেষ্ট খাবার হলো রাতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ভাতের মার বা ফেন খাওয়া, যাহা হাজার ফলের চেয়েও ভাল প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার জন্য।

ভাজা পোড়া কম খেতে হবে।স্বাস্থ্যকর তেলে রান্না করতে হবে।বেশী করে ফলমূল খেতে হব। ডাবের পানি খেতে হবে। লেবুর শরবত,বেলের শরবত, নরমাল পানি খেতে হবে।কোল্ড ড্রিংক্স পরিহার করতে হবে।.দই-চিড়া খাওয়া যেতে পারে।একবারে বেশী না খেয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে ।শশা , গাজর,তরমুজ,পেঁপে,কলা, খেজুর খেতে পারেন। হালকা কিছু খেয়ে ভাত খেয়ে নিতে পারেন, শাকসবজি মাছ দিয়ে।

এক গ্লাস ইসপগুল অথবা লেবুর শরবত। এক-দুই পিছ কলা, খেজুর অথবা সম্ভব হলে অন্য কোনো ফল। আর মাঝেমাঝে শুধু ছোলা কিংবা ঘরোয়াভাবে তৈরি ভাজাপোড়া ছাড়া সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর কোনো আইটেম। ক্ষুধা থেকে গেলে নামাজের পর অথবা ইফতারের সাথেই শাকসবজি, মাছ, ডিম বা এজাতীয় স্বাস্থ্যকর কোনো আইটেম দিয়ে অল্প পরিমাণ ভাত খেয়ে নিবেন।

শাকসবজি অথবা তিতা জাতীয় খাবার বেশী খাবেন, শিং মাছ কাঁচকলা দিয়ে তরকারি রেঁধে খেতে পারেন।

 যদিও এগুলো জানার আগেও আমাকে আমার ভাই একটা জানিয়েছে যে আমার এক চাচা প্রতিদিন রাতে দুই একটা করে দারচিনি খায়, আর চাচা আমার ভাই কেউ বলছে যে এগুলা খাইতে শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয় আরো বিভিন্ন উপকারিতার কথা বলছিল। কিন্তু তাও আমি অভ্যাস করি না এটা খাওয়া, যখন রমজানে নিজের কাছে কেমন জানি লাগতেছে আর একজনের পোস্ট আমার সামনে পড়ছে, তখন মনে হল এতগুলো উপকারিতা জানার পরেও কেন ট্রাই করতেছি না, একটু অসুস্থ হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে চলে যাই, যে সমস্ত ওষুধ কিনতে বলে সব ওষুধ কেনার চেষ্টা করি, আর এই জিনিসটা যেহেতু আমাদের ঘরে থাকে আর ওষুধের থেকেও ভালো কাজ করে, তাহলে আমরা কেন এটা খাব না না খেয়ে ওষুধের পথে ধাবিত হবো। শরীরকে অসুখের উপর ডিপেন্ড করা ঠিক না যতক্ষণ পারা যায় প্রাকৃত জিনিসের উপর ডিপেন্ড করা, শরীর একবার নষ্ট হয়ে গেলে ওইটা আর আগের জায়গায় ফিরে আসে না তাই শরীর ভালো থাকা অবস্থায় ওইটাকে সচল রাখার চেষ্টা করা।

Comments