Skip to main content

Featured

আমাদের মুখের ব্যবহার আমাদেরকে মূর্খ বানিয়ে দেয় আবার আমাদের মুখের ব্যবহারই আমাদেরকে শিক্ষার উঁচু স্থানে এস্থানে দেয়।

মানুষের জীবনে কথা হলো সব থেকে বড় একটা প্রভাবশালী অস্ত্র ..!  ঠোট থাকলে হয় না  যদি কথাই বলতে না পারে, আর কথা বললে হয় না যদি সেই কথার না থাকে কোন মূল্য..! আমাদের ঠোঁট থেকে বলা কিছু শব্দ বা কথা কখনো কখনো এমন হয় যে মানুষকে মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলা হয়, আবার সেই একই ঠোঁটের কিছু কথা কারও হৃদয়ে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নও হয়ে যায়।  আমাদের কিছু কথা এমন হয় যে মানুষকে নতুন করে ভাবার সাহস দেয় আবার সেই আমাদেরই কিছু কথা এমন হয় যে একজন আর মনের অনেক সাহস সেকেন্ডে কেড়ে নেয়।  আমাদের এই ঠোঁটের ব্যবহারিত শব্দ চোখে দেখা না গেলেও এটা অনুভব করা যায় খুব গভীর থেকে, আমাদের ঠোঁটের এই উচু নিচু শব্দের ভার আমরা নিজেরাও বইতে পারিনা, আমরা জানি না আমাদের এই ঠোঁটের কোন শব্দ টা কার হৃদয়কে ভেঙ্গে দেয় বা কোন শব্দটা কার হৃদয়কে নতুন করে বাঁচার সাহস যোগায়, ঠিক এই কারণেই আমাদেরকে কারো সাথে কথা বলার সময় খেয়াল করে কথা বলতে হবে, যেন আমাদের ঠোঁট থেকে এমন কোন আচরণ বা এমন কোন কথা বের না হয়, যে কথার কারণে একটা মানুষকে শেষ করে দিতে পারে ভিতর থেকে তার সাহসকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ভালো কথা শুধু  কারো ...

ধর্ষকের বিচার হোক মৃত্যুদণ্ড! শিশু ও নারীরা থাকুক নিরাপত্তায়, সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক ন্যায় পরায়ণতা ও ভালোবাসা।



 ১২-৩-২০২৫..

দুপুরে ৩টা।

 ঘরে কাজ করতেছিলাম হঠাৎ আমার ভাইয়া মোবাইলে নিউজ শুনতেছে  এমন একটা কথা অর্থাৎ আছিয়া নামটা আমার কানে বাজলো, আমি দ্রুত ছুটে গেলাম আর আমার ভাইয়াকে জিজ্ঞাসা করলাম, ভাইয়া আছিয়া কি মারা গেছে, কেন জানি মনে হল ওর মারা যাওয়ার নিউজ চলতেছে, যখন আমার ভাইয়া বলল যে মেয়েটা  মারা গেছে। তখন যে ভিতরটা কেমন করে উঠছে তা লিখে প্রকাশ করার কোন ভাষা নাই, আর থাকবেই বা কি করে এইটুকু মেয়ে যে বুঝে না তার শরীর ব্যথা, সে বুঝবে কি? মৃত্যুর ব্যথ!

 নাই কোন মেয়েই বর্তমানে সুরক্ষিত নেই। আগে শুনতাম গল্প কাহিনীর মত মনে হতো, কারণ সে সময়টাতে আমি নিজেও ছোট ছিলাম বুঝতাম না এগুলা, ধর্ষণের মানে কি রেপ করা কাকে বলে। শুধু এতটুকু বুঝতাম যে এটা হলে মেয়েরা মারা যায় বা তাদের সম্মান চলে যায়, তখনো মনে মনে চিন্তা করতাম যে, রেপ হয় ধর্ষিত হয় শুধু মেয়েরাই কেন হয়, আবার এরকম হওয়ার পরে মেয়েটাই বা কেন শুধু মারা যায়, কেউ কি নিজের ঝুঁকি নিয়ে এটা করে এটা কি মেয়ের দোষ, কারণ তখন জ্ঞান ছিল না এই সম্পর্কে, বর্তমানে এই আছি আমি এটি যেভাবে জ্ঞান ছাড়াই মৃত্যু বরণ করে দুনিয়া থেকে চলে গেল,  দুনিয়াটা বুঝে ওঠার আগেই দুনিয়ার জীবন সমাপ্তি।

 এখন বুঝতেছি যে এখানে তো মেয়ের কোন দোষ নাই, একি বলছে যে আমাকে ধর্ষণ করে মৃত্যুমুখী করে  দাও, আমি চাইনা দুনিয়াকে বুঝতে, দুনিয়াতে আমি অতিষ্ঠ হয়ে গেছি, কিছুই না এখানে মেয়েটা কিন্তু বুঝতোই না সে দুনিয়াটাই বুঝে নাই।

 আর এখনই সময় এই অন্যায়ের বিচার করার কারণ  এখনো যদি এইগুলার  সঠিক বিচার না হয়, সামনের দিনগুলো সকলের জন্য ভয়ংকর, প্রত্যেকটা ফ্যামিলির জন্য ভয়ংকর, প্রত্যেক এলাকার জন্য ভয়ংকর প্রত্যেকটা সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর, এই ভয়ংকর ছড়াতে ছড়াতে এক সময় এটা রাষ্ট্রের জন্য হয়ে পড়বে খুব ঝুঁকিপূর্ণ, যেভাবে করো না একজন থেকে একজন এক এলাকা থেকে এক এলাকায় এভাবে ছড়াতে ছড়াতে পুরা একটা দেশ ছড়িয়ে পড়েছে, এভাবে এই ধর্ষণের আবহাওয়া ও এক একটা গ্রাম থেকে এক একটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এভাবে এখন বর্তমানে প্রত্যেকটা অঞ্চলে অঞ্চলে এর আবাস ঘটেছে। এতকিছুর পরেও বিচার হচ্ছে না সঠিকভাবে, যদি সঠিকভাবে বিচার হতো তাহলে এভাবে ছড়াতো না, কিছু জিনিস আছে যা এমনি ছড়িয়ে পড়ে আর কিছু জিনিস এমন যা মানুষ চাইলে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা বন্ধ করতে পারে। যেমন আমার এক খালাতো ভাই একবার অ্যাক্সিডেন্ট করছিল তখন সে তার পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলে খুব ব্যথা পাইছিলাম, পরে কিছুদিন যেতে না যেতে আঙ্গুলটা ফুলে পুচ রক্ত মানে এক ধরনের নরম হয়ে গেছিল  পরে ডাক্তার ওনাকে পরামর্শ দিল যে, আপনি যদি সামনের আঙ্গুল টা কেটে ফেলেন তাহলে অন্য আঙ্গুলে এটার খারাপ প্রভাবটা পড়বে না, ডাক্তারের পরামর্শক্রমে আমার ভাই এই সামনের আঙ্গুলটা কেটে ফেলছিল, আলহামদুলিল্লাহ এখন সুস্থ আছে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করতেছে।

 ঠিক তেমনি যখন দেখা যায় বাচ্চাদের দাঁতে পোকা ধরে তখনো সেম ডাক্তার একই কথা বলে যে, কে দাঁতে পোকা ধরেছে ঐ দাতটা ফেলে দিতে। কারণ যদি ওয়েদারটা থেকে যায় তাহলে সে দাঁতের পোকাটা তার পাশের দাঁত কেউ নষ্ট করে ফেলবে। এর ফলে তার ক্ষতি হবে যতদিন সে এই ক্ষতিটাকে গোডা থেকে নিরাময় না করে। তখন রোগী বাধ্য হয়েই অনেক সময় তার দাঁতকে ফেলে দেয়।

 ঠিক সেম জিনিসটা এখন সমাজের মধ্যে ছড়াচ্ছে, আর এই ছড়ানোটাই একেবারে শেষ না করলে এটা বন্ধ হবে না, যতদিন যাবে তত ক্ষতি হবে লাভ কিছু হবে না। যে জিনিসটা একবার নষ্ট হয়, সে জিনিসটাকে আবার তার স্থানে পুনরায় আনা যায় না,যতক্ষণ পর্যন্ত ওখানে হাত দেওয়া না হয়,অর্থাৎ হয় হাত দিয়ে ঠিক করতে হবে না হয় একেবারে ফেলে নতুন আরেকটা জিনিস আনতে হবে এটার স্থানে।

 আর বর্তমানে অবস্থায় থেকে প্রথমে আমাদের খেয়াল করতে হবে যে জিনিসটা ছড়াচ্ছে  মূল কেন্দ্র কোথায়?

 অর্থাৎ দেখা যায় যে আমরা বাসার মধ্যে পাখা ছাড়ি অনেক বেশি বড় করেও দিয়ে আবার অনেক সময় ছোট করেও দেই, আমাদের প্রয়োজন অনুসারে, আর ওখানে একটা সুইস থাকে যে কমাতেও পারি কমাতে আবার বাড়াতে চাইলে ও পারি বাড়াতে। ঠিক তেমনি এখন এহিত ছোট বড় সকল মেয়েদের উপরই চলতেছে অন্যয় আর নেই অন্যায়ের বিচার হয় আদালতে, আর এখন যদি এখনের চলমান ভাইরাস কে বন্ধ করতে হয় তাহলে মজবুত হতে হবে আদালতের বিচার!

 হয় তারে বাঁচাই রাখো নাইলে তারে মেরে ফেলো,

 আর ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে তো তাকে বাঁচিয়ে রাখার কোন প্রশ্নই আসে না, ইসলামিক নিয়ম মতে আর আইনগত বিধান অনুযায়ী হলেও, ধর্ষণকারী ব্যক্তির ফাঁসি হওয়ার উচিত ছিল কিন্তু বর্তমানে পুরা একটা জাতি এর আদালতের সঠিক বিচার দেখতেছে পারছে না।


**২০০০সালের ৮নং আইন অনুযায়ী আরে ও শিশু নির্যাতন দমনের শাস্তি আমরা পিছনের পাতায় গুরতে পরী আর বাস্তবে দেখি তার উল্টা টা।


(১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি 1[মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে] দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

ব্যাখ্যা৷- যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত 2[ষোল বৎসরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া, অথবা 3[ষোল বৎসরের] কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

(২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে 4[ধর্ষণের শিকার] নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন

(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন

(৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-

(ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি 5[মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে] দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন;

(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কোন নারী 6[ধর্ষণের শিকার] হন, তাহা হইলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হইয়াছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ 7[ধর্ষণের শিকার] নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে 8[দায়িত্বপ্রাপ্ত] ছিলেন, তিনি বা তাহারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

 যাই হোক এই লেখাগুলো যেহেতু পড়েছি তাই পোস্ট দিয়ে দিলাম 


**বাকি বর্তমানে আমরা যা দেখছি!

 ••মেয়েরা সে স্কুলে কিন্তু হচ্ছে ধর্ষণ।

 ••কোথায় ও বের হইছে পাড়া ছেলেদের কাছে হচ্ছে ধর্ষণ।

•• শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর ও দেবরের কাছে হচ্ছে আট বছরের মেয়ে ধর্ষণ। ধর্ষিত হয়ে হচ্ছে মৃত্যুবরণ যেমন হয়েছে আমাদের মেয়ের ও বোনের বয়সি ছোট এই নিষ্পাপ আছিয়ার।



 •• আবার কোথায় ও দেখছি যে মেয়েকে ধর্ষণ করে জিব্বা পর্যন্ত কেটে দিচ্ছে।

•• বাবার কাছে ধর্ষিত হচ্ছে মেয়ে, ইসটি মারা যাওয়ার তিনদিন যেতে না যেতেই নিজের মেয়েকে বাবা করছে ধর্ষণ।

•• আবার আশেপাশে শুনছি মা চাকরি করে বাবা তার মেযয়েকে করছে ধর্ষণ।

•• সাত বছরের শিশুকেও কুকুরের ভয় দেখিয়ে করা হচ্ছে ধর্ষণ।

•• ১৪ বছরের তার সতীত্ব বিলিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় কেটে ফেলা হচ্ছে  মেয়ের হাত।

•• প্রতিদিন প্রতিনিয়ত হচ্ছে নারীরা ধর্ষণ এর শিকার। হচ্ছে না এর কোন প্রতিরোধ বাড়ছে দিনে দিনে দর্শকের সংখ্যা আর মৃত্যুবরণ করছে নিষ্পাপ প্রাণগুলো।

***যিনা বা ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে দুই ধরনের হয়ে থাকে। ব্যভিচারী যদি অবিবাহিত হয় তবে এক ধরণের শাস্তি। আর যদি বিবাহিত হয় তবে ভিন্ন শাস্তি।


•••অবিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তিব্যভিচারী যদি অবিবাহিত হয় তবে তাদের প্রকাশ্য বিচারালয়ে ১০০ বেত্রাঘাত করা। বেত্রাঘাতের সময় হদ বাস্তবায়নকারীর অন্তরে কোনো মায়া বা ভালোবাসা পোষণ করা যাবে না।


••বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তিব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তবে তাদের প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করা।


ধর্ষকের শাস্তিবল প্রয়োগে যে ব্যভিচার সংঘঠিত হয় তাই ধর্ষণ। এক্ষেত্রে যে বল প্রয়োগ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করবে তার শাস্তি হবে। আর যে বল প্রয়োগের শিকার হবে তার কোনো শাস্তি হবে না। তবে ধর্ষকের শাস্তি প্রয়োগে একাধিক মত রয়েছে। যা তুলে ধরা হলো-

~~~ ইমাম আবু হানিফা, শাফেঈ ও আহমদ ইবনে হাম্বাল রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম-এর মত হলো- ‘ধর্ষণের জন্য ব্যভিচারের শাস্তি প্রযোজ্য হবে।’ অর্থাৎ ধর্ষক অবিবাহিত হলে ১০০ বেত্রাঘাত আর বিবাহিত হলে পাথর মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করা।

হজরত নাফি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, ‘(হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর আমলে) এক ব্যক্তি এক কুমারী মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। লোকজন ধর্ষণকারীকে হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে উপস্থিত করলে সে (ধর্ষক) ব্যভিচারের কথা অকপটে স্বীকার করে। লোকটি ছিল অবিবাহিত। তাই আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর নির্দেশ মোতাবেক লোকটিকে বেত্রাঘাত করা হলো। এরপর তাকে মদিনা থেকে ফাদাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়।’ (মুয়াত্তা মালিক)

~~হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাসনামলে সরকারি মালিকানাধীন (কাজে নিযুক্ত) এক গোলাম এক দাসির সঙ্গে জবরদস্তি করে ব্যভিচার (ধর্ষণ) করে। এতে ওই দাসির কুমারিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ওই গোলামকে কষাঘাত (বেত্রাঘাত) করেন এবং নির্বাসন দেন। কিন্তু দাসিকে কোনো শাস্তি প্রদান করেননি।’ (বুখারি)


~~ইমাম মালেক রহমাতুল্লাহি আলাইহির মত- ‘ধর্ষণের অপরাধে ব্যভিচারের শাস্তি প্রয়োগের পাশাপাশি ‘মুহারাবা’র শাস্তিও প্রয়োগ করতে হবে।

মুহারাবা কি?‘মুহারাবা’ হলো অস্ত্র দেখিয়ে বা অস্ত্র ছাড়াই ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি করা কিংবা লুণ্ঠন করা। এক কথায় ‘মুহারাবা’ হলো পৃথিবীতে অনাচার সৃষ্টি, লুণ্ঠন, নিরাপত্তা বিঘ্নিতকরণ, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা ইত্যাদি। এ সব অপরাধের শাস্তি হিসেবে আল্লাহ ঘোষণা করেন-‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে-°°°তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা°°শূলীতে চড়ানো হবে বা তাদের হাত-পা বিপরীত দিক থেকে (ডান হাত বাম পা/বাম হাত ডান পা) কেটে দেয়া হবে বা দেশ থেকে বহিষ্কার তথা নির্বাসিত করা হবে।এটি হল তাদের জন্য দুনিয়ার লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।’ 

(সুরা মায়েদা : আয়াত ৩৩)

এ আয়াতের আলোকে বিচারক ধর্ষণকারীকে ব্যভিচারের শাস্তির সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখিত ৪ ধরনের যে কোনো শাস্তি প্রয়োগ করতে পারবে। কেননা ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য ধর্ষণ হলো আল্লাহ ও তার রাসুলের নিয়ম-নীতি বিরুদ্ধ অপরাধ। আর তা তাদের সঙ্গে যুদ্ধে উপনীত হওয়ার শামিল।

°°তাছাড়া ধর্ষণের ক্ষেত্রে বল প্রয়োগ করা হয়। ইসলামের বিধান লঙ্ঘনে বল প্রয়োগ করলেও এ শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

°°তাই সমাজে যখন ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করছে তখন সমাজ থেকে ধর্ষণ সমূলে উৎপাটন করতে (মুহারাবার) মতো ভয়াবহ শাস্তি প্রয়োগ করাও জরুরি।

আর যদি ধর্ষণ কারণে হত্যাজনিত অপরাধ সংঘটিত হয় কিংবা ধর্ষণের শিকার কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে তবে ঘাতকের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।


মূল কথা হলো ইসলাম যদিও মানব সমাজকে যিনা-ব্যভিচারের আশঙ্কা থেকে বাঁচানো জন্য দণ্ডবিধি আইনের কথা উল্লেখ করেছেন। এটি নিছক বিচারের শেষ উপায়।


***এ বিধান নাজিলের উদ্দেশ্য এটি নয় যে, মানুষ অপরাধ করে যেতে থাকবে আর ইসলাম হদ প্রয়োগ তথা বেত্রাঘাত, হত্যা বা দেশান্তরিত করতে থাকবে। বরং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, লোকেরা যেন এ অপরাধ না করে এবং কাউকে শাস্তি দেয়া বা কারো উপর জোর-জবরদস্তি করার সুযোগই না পায়।

আল্লাহ তাআলা পুরো মানবজাতীকে ইসলামের  নিষিদ্ধ কাজগুলো ছেড়ে সৎভাবে জীবনযাপন করার তাওফিক দান করুন। 

কুরআনের বিধানগুলো যথাযথ সম্মান ও পালনের তাওফিক দান করুন।

 তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়ভিত্তিক জীবন পরিচালনার  করা তাওফিক দান করুন।

 আমিন।

Comments