রোজা রেখে শরীর তার অবস্থায় না থাকা এবং মাথা ঝিমঝিম করা ব্যথা করা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, অর্থাৎ রোয়ার শেষ সময় ইফতার করার আগে আছরের নামাজ এর পর থেকে আমাদের যারা বারি কাজ করে বা সকাল থেকে করেছিলো এমন তাহলে তারা যদি ইফতার শুরু করার আগেই সময় হওয়া মাত্র ১টি খেজুর মুখে দেওয়া। কারণ খেজুরের কিছু ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট যাচ্ছে:--
সারাদিন এর দুর্বলতা কাটানোর শক্তির বিস্ফোরণ! আরো আছে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ, যা ১ মিনিটের মধ্যেই শরীরে শক্তির তরঙ্গ বইয়ে দেয়,অন্য যেকোনো খাবারের তুলনায় এটি সরাসরি রক্তে মিশে এনার্জি বাড়ায়!
হজমের জাদুকর! সারাদিন রোজার পর ভারী খাবার খেলেই গ্যাস্ট্রিক, বদহজম? সমাধান একটাই— খেজুর! এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ও এনজাইম হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়, পেটকে হালকা রাখে!
মস্তিষ্কের সুপারচার্জার! রোজার সময় মাথা কাজ করছে না? খেজুরে থাকা ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্ককে সতেজ করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়!
আর সারাদিন রোজা শেষে মুসলিমদের জন্য ইফতার করা সুন্নত ও বরকতময়। আমাদের দেশে আমাদের আসেপাশে ও বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলভেদে ইফতারে খাবারের ভিন্নতা দেখা গেলে ও বাংলাদেশে ইফতার আয়োজনে সাধারণত ভাজাপোড়া ও সুস্বাদু মুখোরোচক খাবার খেতে তারা খুব সচ্ছলতাবোধ করে । আবার কিন্তু যতো খাবার থাকে সব থেকে প্রধান খাবার হিসেবে থাকবে খেজুর। তবে হ্যা অনেকের সামর্থ্য থাকে না সেটা ভিন্ন কথা তবে তার সমর্থ্য হইলে সেও খেজুরটা প্রধান হিসেবে রাখে।
আর ইফতার এ খেজুর খাওয়ার প্রচলন রয়েছেও সুন্নত,ও প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণে।
আরবের অন্যতম প্রধান খাবার খেজুর। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে ইফতারে খেজুর খেতেন এবং সাহাবিদেকেও তিনি ইফতারে খেজুর খেতে বলেছেন।
বর্তমানে ও রিচার্জ করে দজানা গেছে যে খেজুর হার্টের রক্ষক! আর বর্তমানে তো প্রতিটা ঘরে ঘরেই একজন হলেও হার্টের রোগী থাকে। আর হার্টের রোগীরাও যেহেতু রোজা রাখে আর সুস্থ মানুষদের জন্য এটা ভালো সবকিছু মিলিয়ে ইফতারে খেজুরটাকে রাখা,খেজুরের পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় এবং হার্টকে রাখে সুস্থ! আর সুস্থ মানুষদের কেউ সুস্থ থাকা দরকার অসুস্থ মানুষদেরকে অসুস্থ রাখা দরকার।
ডিহাইড্রেশন দূর করে!অর্থাৎ পুরাদিন যেহেতু আমরা পানি পান করতে পারিনা, আর পানি না না করায় শরীর পানিশূন্য হয়ে হয়ে থাকে! আর এই পানি শুনন্তা কমাতে একমাত্র সমাধান হিসেবে ও আমরা খেজুরকে কাজে লাগাতে পারি, কারণ এর সমাধানই হলো খেজুরেই। খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও মিনারেলস শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে!
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ইফতার করে সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। কেননা, তাতে বরকত রয়েছে।’
(তিরমিজি, মেশকাত, ১৮৯৩)
রাসূল (সা :) তো বলেই দিয়েছেন যে খেজুরে বরকত রয়েছে,রাসূল যখন বলেছেন এতে বরকত আছেন তাহলে অবশ্যই এখানে বরকত আছে, তবে কিছু উপকারী বরকত এখানে বলার চেষ্টা করলাম, বাকিটা সব বরকত না জেনেও যদি আমরা খেজুর খাওয়ার আমল শুরু করি তাহলে বাকি ররকত ও আমরা ইনশাআল্লাহ পেয়ে যাবো।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইফতারের পাতে বেশির ভাগ সময় কাঁচা খেজুর থাকত। কাঁচা খেজুর না থাকলে শুকনো খেজুরও খেতেন তিনি।
আবার এই আমাদের অনেকের সামনে খেজুরও থাকে শরবতও থাকে, আমরা আগে খেজুরটা না খেয়ে পানিটা খেয়ে ফেলি অথবা শরবত খাই, কিন্তু আমরা চেষ্টা করবো এখন থেকে শরবত বা পানি না খেয়ে খেজুরটা আগে খাওয়ার।
সুন্নতেরঅনেক বরকত ও উপকার !
আনাস (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) নামাযের পূর্বে কিছু আধা-পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তা না পেলে পূর্ণ পাকা (শুকনা) খেজুর দিয়ে এবং তাও না পেলে কয়েক ঢোক পানি খেয়ে নিতেন।’
(আহমাদ, মুসনাদ ৩/১৬৪, আবূ দাঊদ ২৩৫৬, তিরমিযী ৬৯৬, ইবনে মাজাহ ২০৬৫, দারাকুত্বনী, সুনান ২৪০, হাকেম, মুস্তাদ্রাক ১/৪৩২, বাইহাকী ৪/২৩৯, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৯২২নং)
র্অর্থাৎ আমাদের যদি সামর্থ্য না থাকে তাহলে হ্যাঁ পানি খাবো সেটা ভিন্ন কথা,তবে শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আমরা আমাদের জন্য উত্তম হলো খেজুরটাই ক্রয় করা, ইফতারে সঙ্গে রাখার চেষ্টা করা।
আর আমাদের আসেপাশে একটু মনেরচোখ দিয়ে খুঁজে দেখা মধ্যেবিত্ত অভাবী পরিবার গুলোকে ও একটু সাহায্য করা। প্রথমত এখন রমজানের সময়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন রমজান মাসে দানের কোনো বিকল্প নেই।প্রত্যেকটা সওয়াবের বিনিময়ে আমাদেরকে অনেক গুন বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তাই সম্ভব হলে আশেপাশে কারো কেউ কিছু খেজুর বা ইফতারের কিছু জিনিস হাদিয়া দেওয়া
একটি খেজুর খেয়ে আমরা শুধু সুন্নত পালন করছি এমন না আমরা সুন্নাত পালন করার সাথে সাথে নিজেদের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও করছি। আর যদি অন্যকে ও হাদীয়া দি তাহলে অন্যের শরীল সুস্থের ও মধ্যে হতে পারছি তাকে হেল্প করার মাধ্যমে।
এর দারা বুঝা গেলো খেজুর ছাড়া আমরা ইফতার করবো না ইনশাআল্লাহ।
আর খেজুর শুধু একটা ফল নয়। এটা আমাদের জন্য সুন্নাত আর বরকত অন্যেদিকে এটা আমাদের শরীলের শক্তির চাবিকাঠি, সুস্বাস্থ্যের ও একটা গোপন রহস্য বললে ও ভুল হবে না।
Comments
Post a Comment