Skip to main content

Featured

আমাদের মুখের ব্যবহার আমাদেরকে মূর্খ বানিয়ে দেয় আবার আমাদের মুখের ব্যবহারই আমাদেরকে শিক্ষার উঁচু স্থানে এস্থানে দেয়।

মানুষের জীবনে কথা হলো সব থেকে বড় একটা প্রভাবশালী অস্ত্র ..!  ঠোট থাকলে হয় না  যদি কথাই বলতে না পারে, আর কথা বললে হয় না যদি সেই কথার না থাকে কোন মূল্য..! আমাদের ঠোঁট থেকে বলা কিছু শব্দ বা কথা কখনো কখনো এমন হয় যে মানুষকে মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলা হয়, আবার সেই একই ঠোঁটের কিছু কথা কারও হৃদয়ে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নও হয়ে যায়।  আমাদের কিছু কথা এমন হয় যে মানুষকে নতুন করে ভাবার সাহস দেয় আবার সেই আমাদেরই কিছু কথা এমন হয় যে একজন আর মনের অনেক সাহস সেকেন্ডে কেড়ে নেয়।  আমাদের এই ঠোঁটের ব্যবহারিত শব্দ চোখে দেখা না গেলেও এটা অনুভব করা যায় খুব গভীর থেকে, আমাদের ঠোঁটের এই উচু নিচু শব্দের ভার আমরা নিজেরাও বইতে পারিনা, আমরা জানি না আমাদের এই ঠোঁটের কোন শব্দ টা কার হৃদয়কে ভেঙ্গে দেয় বা কোন শব্দটা কার হৃদয়কে নতুন করে বাঁচার সাহস যোগায়, ঠিক এই কারণেই আমাদেরকে কারো সাথে কথা বলার সময় খেয়াল করে কথা বলতে হবে, যেন আমাদের ঠোঁট থেকে এমন কোন আচরণ বা এমন কোন কথা বের না হয়, যে কথার কারণে একটা মানুষকে শেষ করে দিতে পারে ভিতর থেকে তার সাহসকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ভালো কথা শুধু  কারো ...



কিছু পরিবারে দেখা যায় যে মেয়েরা পিরিয়ড হওয়ার পরও তাদেরকে রোজা রাখার প্রতি উৎসাহিত না করে বরণ তাদের সামান্য অসুস্থতার কারণেও তাদেরকে রোজা থেকে বিরত রাখছেন তাদের মা বাবারা,

 সে মা-বাবাদের উদ্দেশ্যে এই পোস্ট টি করা।

 আসলে যখন কোন মেয়ের উপর রোজা ফরজ হয়ে যাবে, রোজা ফরজে কেফায়া না যে কেউ রাখতেছে পরিবারের মধ্য থেকে তাহলে তার জন্য রোজা হয়ে গেল, বরঞ্চ রোজা হলো ফরজ প্রত্যেক মুসলমানের উপর। হোক সে নারী কিংবা পুরুষ। তবে হ্যাঁ নারীরা যখন পিরিয়ড হয়ে যাবে অর্থাৎপ্রথম বার যখন হায়েয হবে এরপর থেকেই ওই মেয়ের জন্য রোজা রাখা ফরজ যেভাবে তার জন্য নামাজ ফরজ, তারা নামাজের জবাব যেভাবে তাকে দিতে হবে ঠিক তেমনি রোজার জবাবটাও আলাদা আলাদা কাছে তাকে দিতে হবে কেন সে রোজা ভেঙেছে! এখন কথা হল যে সমস্ত মা-বাবারা তাদের সন্তানকে রোজা রাখা থেকে বিরত রাখছেন, কেয়ামতের দিন বাচ্চা তো তার মা-বাবার দিকে আঙ্গুল তুলবে যে তার মা-বাবা তাকে রোজা রাখতে দেয় নাই বা নিষেধ করেছে, তখন কি জবাব দিবেন আপনারা যারা বাচ্চাদেরকে রোজা রাখার প্রতি করা শাসন না করে বরণ তাদেরকে আদর করে রোজা ভাঙ্গার প্রতি উৎসাহিত করছেন''

 কেয়ামতের দিন দুনিয়ার মত এত মায়া মহাব্বত থাকবে না বাবা-মার প্রতি সন্তানের, ও সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের, তখন যে যার হিসাব নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, কে আল্লাহ কে কি দেখাবে কিভাবে সে জান্নাতে যাইতে পারবে সে সেই রাস্তায় খুজবে, এমনও দেখা যাবে যে বাবা-মা ছেলেকে বলবে তোমাকে আমি চিনি না বা মেয়েকে চিনি না এভাবে মেয়েও বাবাকে বলবে যে আমি তোমাদেরকে চিনি না, ঠিক যেভাবে দুনিয়াতে মাঝে মাঝে বিপদে পড়লে দেখা যায়  যে আপনজনরাও দূরে সরে যায় বিপদের ভয়ে, যাদের কাছে অল্প কিছু টাকা আছে তারা যখন দেখবে আপনি বিপদে আছেন তখন তারা আত্মীয় হলেও আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে কারণ তখন আপনাকে তাদের টাকা দিতে হবে, আর তারা চায় না তাদের টাকা কাউকে দিতে, ঠিক তেমনি কিয়ামতের দিন কেউ কাউকে চিনবে না চিনেও না চেনার ভান ধরবে কারণ তখন প্রত্যেকেই চিন্তিত থাকবে কিভাবে জান্নাতে যাইতে পারবে বা কিভাবে তার হিসাবটা সহজ করা যাবে। অর্থাৎ প্রত্যেকে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, আর চেষ্টা করবে কিভাবে নিজের দোষ গুলো অন্যের উপর চাপানো যায় সে যতই কাছের হোক বাবা হোক বা মা হোক বা স্বামী হোক বা সন্তান হোক।

 তাই প্রত্যেক মা বাবা বা পরিবারের বড় ভাই বোন এদের দায়িত্ব যে ছোট ভাই বোনদের খেয়াল রাখা তারা ফরজ বিষয়গুলোকে কিভাবে আদায় করছে সে বিষয়েও নজর রাখা, আর মা বাবার উচিত বাচ্চাদেরকে বিশেষ করে মেয়েদেরকে তার হায়েত হওয়ার পরে যেন আর রোজা না ভাঙ্গে সেই দিকে খেয়াল রাখা, নামাজ ফরজ এই জিনিসটা যেভাবে খেয়াল করি সেভাবে রোজা ও ফরজ পর্দা করা ও ফরজ এ বিষয়গুলো নজর রাখা,

 যতদিন পর্যন্ত ফরজের প্রতি মানুষের মহব্বত না আসবে বা ফরজকে ফরজ হিসেবে পালন না করবে ততদিন পর্যন্ত পৃথিবী থেকে ফেতনা দূর হবে না, বর্তমানে যে সমস্ত ফেতনা চলতেছে তার বেশিরভাগই বেপর্দার কারণে অর্থাৎ ফরজকে ফরজ হিসেবে না মানার কারণে। সেটা আপনি আমি মানি বা না মানি, দিনশেষে নিজেদেরই লস।

 আর রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরে ক্ষতি হবে এমন না, যারা বলে যে তাদের মেয়ের অসুস্থ তাই তারা রোজা রাখতে নিষেধ করছে বা সে বেশি দুর্বল তাই রোজা রাখায় নাই, এ দুর্বল হোক বা অসুস্থ হোক রোজা তো ফরজ যদি এমন কোন রোগ না হয় যার কারণে রোজা রাখার ফলে সেই মৃত্যুবরণ করবে না তাহলে তার জন্য উচিত না রোজা ভঙ্গ করা, কারণ রমজানের একটা ফরজ রোজা সারা বছর রোজা রাখার থেকেও উত্তম। আর এই উত্তম জিনিসটাকে এভাবে অবহেলা করে কাটিয়ে না দেওয়া, কারণ সময় আপনি আমার জন্য অপেক্ষা করে বসে নেই, আর আপনার হায়াত ও আপনার আগের জায়গায় বসে নাই, হায়াত ফুরিয়ে যাচ্ছে দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে, আপনি নিজেকে পরিবর্তন করেন বা না করেন।

 ফরজ রোজা গুলো রাখার ফলে শরীর আরো উপকার পাই বা শরীর আরো সুস্থ থাকে, বিভিন্ন রোগ দূর হয় এই রোজার মাধ্যমেই।

 যেমন স্বাস্থ্য  বিজ্ঞান বলছে রোজা মানবদেহের জন্য প্রভূত কল্যাণের ধারক।রো

জা রাখার স্বাস্থ্য উপকারিতা রোজা রাখার ফলে ওজন কমা, পরিকাপতন্ত্রের সুস্থতা, দেহের টক্সিন দূর হওয়া, , উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর হওয়া সহ নানা খারাপ অভ্যাস দূর হওয়ার মতো উপকারিতা পাওয়া যায়।

রোজা রাখলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।আয়ু বাড়ে এবং এটি বার্ধক্য সংশ্লিষ্ট সমস্যা গুলোকে দূরে রাখে। রোজা রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্কে নতুন নতুন কোষের জন্ম হয়। ফলে মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতাবেড়ে যায়। ব্লাড প্রেসার কমে। যায় এর ইতিবাচক প্রভাবপড়ে ধমনীতে চর্বি জমার প্রক্রিয়ার উপর যা হার্ট এটাক্টের ঝুঁকি কমায়। শরীরে জমে থাকা চর্বি শরীরের কাজে ব্যবহৃত হয় ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। শরীরের বিষ ব্যথা কমে।

মানুষের শারীরিক মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে হরমোন বেশি প্রয়োজন, তা রোজা রাখার ফলে বৃদ্ধি পায়। রোজা একই সঙ্গে দেহের রোগ প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। রোজা পালনের ফলে দেহে রোগজীবাণু গুলো ধ্বংস হয়।

রোজা মানবদেহে তারুণ্য ও রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। মানুষের সারা শরীর ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষ দিয়ে গঠিত। এই কোষগুলো কিছুটা কারখানার মতো। এখানে সারা দিন কাজ চলছে, কিছু আবর্জনা তৈরি হচ্ছে, কিছু যন্ত্রপাতি ভেঙে যাচ্ছে, কিছু মেশিন নষ্ট হচ্ছে। সেগুলো মেরামতের প্রয়োজন হয়। এই কাজটা কোষ নিজেই করে অটোফিজি নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। অকার্যকর ও ক্ষতিকর বিষয়গুলো রিসাইকেল করে তা আবার ব্যবহারের যোগ্য করে তোলে, কোষকে সতেজ হতে সাহায্য করে এবং শরীরে তারুণ্য ধরে রাখতে সহযোগিতা করে। এই প্রক্রিয়া যথাযথভাবে না হলে ব্রেনের বিভিন্ন রোগ যেমন অলঝেইমার্স—যে রোগে বয়স্করা ভুলে যেতে থাকে, আবোলতাবোল বলে; পারকিনসন্সের মতো রোগগুলোর সম্পর্ক থাকতে পারে। মানুষ যদি সারাক্ষণ খাওয়ার মধ্যে থাকে, তখন অটোফেজি প্রক্রিয়া দমে থাকে। অন্যদিকে রোজা অবস্থায় অটোফেজি প্রক্রিয়া বেড়ে যায়। 


 রোজা মেটাবলিক সুইচ করে শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। মানুষের শরীর পরিচালনার জন্য জ্বালানির প্রয়োজন হয়। শরীর সেই জ্বালানি সংগ্রহ করে খাবার থেকে বা আগ থেকে জমিয়ে রাখা গ্লাইকোজেন থেকে। তা হলো এক প্রকার চিনি। মানুষ যখন রোজা রাখে তখন ১৫-১৬ ঘণ্টায় এই জ্বালানি শেষ হয়ে আসে। তখন পরিচালনার জন্য শরীরকে আগ থেকে জমানো চর্বিতে হাত দিতে হয়। এই প্রক্রিয়ার নাম মেটাবলিক সুইচ। অর্থাৎ চিনি থেকে সুইচ করে চর্বিতে আসা। এই প্রক্রিয়ার ফলে মানবদেহে বেশ কিছু উপকারিতার সম্ভাবনা আছে। যেমন হার্ট ভালো রাখা, পেটের চর্বি কমা, ব্লাডপ্রেসার কমা, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি।


 মানবদেহের নাড়ি-ভুঁড়িতে অনেক জীবাণুর বসবাস, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ আরো অনেকভাবে স্বাস্থ্যের উপকার করে। না খেয়ে থাকলে শরীরে উপকারী জীবাণুর সংখ্যা বাড়ে। অর্থাৎ রোজা রাখলে এই ক্ষেত্রে উপকারিতা আছে। 


রক্তে সুগারের মাত্রা থেকে বোঝা যায় পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কেমন। নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে পরিমাণে বেশি সুগার থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এই ক্ষেত্রে রোজা রাখলে উপকারিতা পাওয়া যায়। রোজা রাখার পর নারী-পুরুষ উভয়ের রক্তে সুগারের মাত্রা আগের চেয়ে ভালো হয়।

আর নবীজী (সা.) বহু শতাব্দী পূর্বেই বলে গেছেন। তিনি বলেন, রোগের কেন্দ্রবিন্দু হল পেট,তাই রোজা রাখলে সকল পেটের অসুখ ভালো হয়।১৬-১৭ ঘণ্টা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকার ফলে শরীরের অঙ্গগুলো স্বাভাবিক হতে থাকে এবং পাচনতন্ত্রের উন্নতি হয় এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগ, যেমন- গ্যাস, বদহজম, লিভারের রোগ, জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি ইত্যাদি কমে যায়। 


রোয়া রাখার ফলে মানুষের রক্তে এক ধরনের চর্বি থাকে, যাকে কোলেস্টেরল বলে। কোলেস্টেরল অনেক বেশি পরিমাণে থাকলে রক্তনালিতে চর্বি জমে নালি সরু হয়ে যেতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়, রমজানের রোজায় রক্তে কোলেস্টেরল আগের তুলনায় ভালো নিয়ন্ত্রণে হয়।

 এভাবে রোজা রাখার মাধ্যমে আমাদের শরীর আরো সুস্থ হয়ে ওঠে, তাহলে কেন আপনারা আপনাদের সন্তানদেরকে রোজা রাখা থেকে বিরত রাখতেছেন তাদের শরীর আরো ভালো করার একটা মাধ্যম ছিল এটা,!!কিন্তু আপনারা এটাকে শরীর খারাপের অজুহাতে নষ্ট করে ফেলতেছেন।

Comments