Featured
- Get link
- X
- Other Apps
বর্তমানে যাদের ফ্যামিলিতে মেয়ে সন্তান রয়েছে, সেই মেয়ে সন্তানদের থেকেও বেশি চিন্তায় দিন পার করছে তাদের পরিবার!!
বর্তমানে যাদের ফ্যামিলিতে মেয়ে সন্তান রয়েছে মেয়ে ছোট বা বড়।
প্রত্যেকটা মা বাবারই প্রত্যেকটা কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাদের সন্তানদের থেকে নজর রাখতে হচ্ছে, যদিও সব সময় তাদের মা-বাবারা সন্তানের ভালোই যায় এবং তাদের দিকে সর্বদা নজর রাখেন, কিন্তু বর্তমানে যে নজরটা রাখতেছে ওইটা কি নজর বললেও হয় না আসলে এই খেয়াল রাখাটা এক ধরনের ভীতি করা অবস্থার খেয়াল রাখা, এক সময় দেখতাম আশেপাশে বা আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত মানুষরা মা বাবাদেরকে বলতো যে তোমার মেয়ে এখন বড় হয়েছে তাকে চোখে চোখে রাখবা বা এটা সেটা অনেক ধরনের কথাই বলতো, আর মা-বাবার ও একটা সময় বাচ্চাদের প্রতি খুবই কেয়ার করতো বিশেষ করে মেয়েদের প্রতি। অর্থাৎ মেয়ে যখন ১৩-১৪ বা মালিক হয়ে যেত বা দেখতে বড় লাগতো অর্থাৎ বিয়ের উপযুক্ত মনে হতো এমন সময় বলা হত যে মেয়েদের প্রতি একটুও ভালো খেয়াল রাখার, কিন্তু বর্তমানে তো এমন একটা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, মেয়ে সন্তান পৃথিবীতে আসার কিছুদিন পর থেকেই তার প্রতি নজর রাখতে হবে বা আশেপাশের মানুষরা পরিবারের মানুষরা বলবে যে মেয়ে সন্তান হওয়া মানেই তাকে নজরে নজরে রাখে।
কিন্তু এমনটা কেন হচ্ছে এমনটা তো হওয়ার কথা না, কারো ঘরে মেয়ে সন্তান হওয়া মানে চিন্তার বোঝা মাথায় নিয়ে মা-বাবাকে চলার কথা ছিলোনা, বরণ এমন হওয়ার কথা ছিল যে যার ঘরে মেয়ে সন্তান হবে সেটাকে রহমত হিসেবে ধরা হবে। মেয়ে সন্তানকে বলা হয়েছে রহমতো সেটা বরকতের আশায় কোনো মুসিবত হিসেবে তো তাকে খেয়াল করার জন্য বলে নাই।
••আউফ বিন মালেক আশজায়ি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন,
‘যে ব্যক্তির তিনটি মেয়ে রয়েছে, যাদের ওপর সে অর্থ খরচ করে বিয়ে দেওয়া অথবা মৃত্যু পর্যন্ত, তবে তারা তার জন্য আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে। তখন এক নারী বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আর দুই মেয়ে হলে? তিনি বললেন, দুই মেয়ে হলেও। ’ -(বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং : ৮৩১৩)
••হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করনে, ‘যার ঘরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলো, অতঃপর সে ওই কন্যাকে কষ্ট দেয়নি, মেয়ের ওপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার ওপর প্রধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং: ১/২২৩)
কন্যা সন্তান হলো মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মা-বাবার জন্য একটি বিশেষ নেয়ামত। কন্যা সন্তানকে অশুভ মনে করা কাফেরদের বদস্বভাব।
••হযরত আবদুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ওই নারী বরকতময়ী ও সৌভাগ্যবান, যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। কেননা, (সন্তানদানের নেয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে) আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন, তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। ’ -(কানযুল উম্মাল ১৬:৬১১)
আলোচনা হলো , সে মেয়ে সন্তানকে সবাই ক হিসেবে সেটা, কোন মুসিবত হিসেবে তো তাকে খেয়াল করা না,
তাহলে আমাদের খেয়াল করতে হবে এই মুসিবত টা আসলো কোত্থেকে রহমতকে তো রহমতের মতই রাখতে হবে বা দেখতে হবে,
{যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়, তখন তার মুখ অন্ধকার হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে নাকি তাকে মাটির নিচে পুতে ফেলবে। শুনে রাখো, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট।’ -(সুরা আন-নাহল, আয়াত : ৫৮-৫৯)}
বর্তমানে যে হারে ধর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে, এটাতো আমাদের পূর্ববর্তী সময়ের কথা কেউ আবারও আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে. ইসলামকে মানুষ ভালোভাবে মান্য করার আগে, যে যুগটা ছিল অর্থাৎ বর্বরতার যুগ যেটাকে বলা হয়, সে সময় কারো ঘরে কন্যা সন্তান হওয়া মানে অনেক খারাপ কিছু ছিলো। তারা যদি জানত তাদের কন্যা সন্তান হয়েছে তাহলে তাকে তারা মাটিতে পুঁতে ফেলত।। তাদের কাছে ছিল না বিন্দুমাত্র মায়া মেয়ে সন্তানের জন্য, কিন্তু আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসার পরে তো মেয়েদেরকে এমন একটা সম্মানে নিয়ে গেছে যে সম্মানটা এখন চাইলেও কেউ দমিয়ে দিতে পারবে না! পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নাই যে মেয়েদেরকে দমিয়ে রাখবে, কিন্তু বর্তমানে যে বিষয়টা চলতেছে এটা তুমিও রাখা না এটা হয়েছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, আর এই বিশৃঙ্খলা কিছু মানুষের মাধ্যমে সৃষ্টি হচ্ছে, এমনটা সেসময় হয়েছিল অর্থাৎ বর্বরতার যুগের কথা বলতেছি, সে সময় যেভাবে প্রথমে হাবিল কাবিল এর মাধ্যমে খুনাখুনি এর ফেতনা শুরু হয়েছিল, ঠিক এখনো কিছু রুচিহীন মানুষের নোংরা চিন্তা চেতনার মাধ্যমে, কিছু অবুঝ প্রাণ ঝরে যাচ্ছে আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে পৃথিবীতে, তবে এটা বিশ্বাস করি কিছুদিন পরে অবশ্যই সব থেমে যাবে যেমন ইতিপূর্বে ও সবকিছু থেমে গিয়েছিল। শুধু ফিরবে না অবুঝ প্রাণগুলো!
**আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ} ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ ٣٠ وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ﴾ [النور: ٣٠، ٣١]
“(হে নবী আপনি) মুমিন পুরুষদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে। এটিই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত। আর মুমিন নারীদেরকে বলে দিন, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে”।
[সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩০-৩১]
মেয়েদের জন্য পর্দা করা ফরজ, সেটা যেমন মেয়েদের মেনে চলতে হবে তেমন তাদের লজ্জাস্থান কেউ তাদের হেফাজত করে রাখা এটাও ফরজ তাদের জন্য, কারণ এই লজ্জাস্থানের কারণেই একটা মহিলা জান্নাতে যাবে আবার এই লজ্জাস্থানের কারণে একটা মহিলা জাহান্নামে যাবে, তবে এখন কথা হল :- এই হুমকি আছে জানি যে কারো দিকে প্রথমে দৃষ্টি পড়লে দ্বিতীয়বার যেন দৃষ্টি না দেই অর্থাৎ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
»يا علي، لا تتبع النظرة النظرة فإنما لك الأولى«
“হে আলী, দৃষ্টির পশ্চাতে দৃষ্টি দিয়ো না, প্রথম দৃষ্টিটি তোমার”।[2] প্রথম দৃষ্টি দ্বারা উদ্দেশ্য হঠাৎ দৃষ্টি যা অনিচ্ছায় পতিত হয়। তিনি বলেন: ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে আলী থেকে আরো বর্ণিত:
»النظر سهم مسموم من سهام إبليس«
“দৃষ্টি হচ্ছে ইবলিসের তীরসমূহ থেকে একটি বিষাক্ত তীর”
অর্থাৎ মানুষ যত ধরনের ফেতনায় পড়ে তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে তাদের দৃষ্টি, প্রথম দেখায় হয়তো বা একটু ভালো লাগে এরপর যখন আবার দেখে সেটা হয় শয়তানের পক্ষ থেকে আর যেটা শয়তানের পক্ষ থেকে হবে সেটা তো অবশ্যই সুন্দর হবে, কারণ সুন্দর না হইলেও ইবলিশ ওইটাকে সুন্দর করে মানুষের সামনে প্রেজেন্ট করবে, আর তখন সুন্দর না হলে ও সুন্দর লাগবে অবশ্যই!! ঠিক যেমন বিয়েতে অনেক সময় দেখা যায় যে তেমন সুন্দর না অনেক মেয়েদেরকে পার্লারে সাজানো হয় এতটা ফর্সা করা হয় যে কল্পনাও করা যায় না যে সে এতটা ফর্সা না, ঠিক ইবলিশও মানুষের নজরের মধ্যে এমন সুন্দর করে উপস্থাপিত করবে যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না যে এটাতে অকল্যাণ ছিল,. এই নজরকে হেফাজত করতে বলা হয়েছে, কিন্তু এখন কি করার ঘর থেকে যাদের প্রয়োজনে বের হইতে হচ্ছে, না চাই তো আশেপাশে চোখ রাখতে হচ্ছে, কারণ নজর কে হেফাজত করা যেমন আমার দায়িত্ব তেমনে আমার ইজ্জত কেউ রক্ষা করা আমারই দায়িত্ব, নজর কে হেফাজত করার থেকেও বর্তমানে ইজ্জতকে হেফাজত করাটা বেশি বেশি ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ বলা তো যায় না যে কোন সময়ে পাশ থেকে অ্যাটাক হয়, আজ হচ্ছে আমার এক বোন কালকে হচ্ছে আমার এক সন্তান পরশুদিন তো আমিও হতে পারি! ঘটনা ঘটে গেলে সমাধান দেওয়ার মানুষের অভাব থাকে না কিন্তু ঘটনাটা ঘটার আগে পাহারা দেওয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না, আর এটাই হচ্ছে বাস্তবতা, কিছু হলে মিডিয়ার অভাব থাকে না, কিন্তু বিপদে প্রথমে কেউ আসে না, প্রথমের রক্ষাটা নিজেকে নিজেরই করতে হবে। তাই সব কিছু জানি তারপরও রাস্তায় হাঁটার সময় আশেপাশে পিছনে বার বার তাকাইতে হয় একজন মানুষের চোখাচোখি একবার হয়েও আবার হইতে হয়। আর এই ভীতিকর অবস্থাটা ততক্ষণ পর্যন্ত সমাধান হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত এর কঠোর কোন শাস্তি না হবে।অর্থাৎ এই ফেতনাকে দমন করতে হলে এটার শাস্তিকে কঠোর করতে হবে, আর এই ধর্ষণ বা জেনার শাস্তি তো আপনাদের করতে হবে না বর্তমানে এগুলো তো আরো হাজার হাজার বছর আগেই এর সমাধান দিয়ে গেছেন আল কুরআনে আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম ও তাদের জমা নাই এমন ঘটনার বিচার করেছেন এটাতো নতুন না যে এখনই এই ফেতনা শুরু হয়েছে পৃথিবী শুরু হওয়ার পর থেকে তো এই ফেতনাগুলো পৃথিবীতে আছে, যদি ও প্রকাশ হয় কম কারণ এর শাস্তি থাকে কঠোর ! আজ যতদিন এর শাস্তিটা কঠোর না হবে ততদিন এরকম অবস্থা চলতেই থাকবে কারণ একজন থেকেই আরেকজন শিখে. যখন সে দেখবে এটার বিচার হালকা তাহলে সেটা করার সময় আর ভয় পাবে না, একটা হইছে মরে যাওয়া আর আরেকটা হয়েছে মেরে ফেলা দুইটার মধ্যেই খুব পার্থক্য রয়েছে।
••এক হাদিসে আছে, রাসুল (সা.)-এর যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে কোনোরূপ শাস্তি দেননি, তবে ধর্ষককে হদের শাস্তি দেন। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ২৫৯৮)
[উল্লেখ্য, যেসব শাস্তির পরিমাণ ও পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে সুনির্ধারিত রয়েছে সেগুলোকে হদ বলে]
**ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। নিজের স্বামী/স্ত্রী থাকাবস্থায় যদি কেউ ব্যভিচারী হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ইসলামের বিধান। আর যদি আর যদি ব্যভিচারী (নারী-পুরুষ) অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশ’টি বেত্রাঘাত করা হবে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। ’
(সুরা নুর, আয়াত : ২)
আজকে আমি দুইটা বাচ্চা মেয়েকে একসাথে পড়াই আজকে হঠাৎ সে আমার সাথে দুষ্টামি করে বলল যে তার এক বোনকে ৩০ বছর বয়সে বিয়ে দিবে আর সে ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করবে, তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনিও আপনার আম্মুকে ছেড়ে চলে যাবেন ছোট মেয়েটি আসলো আর বলল হ্যাঁ যাবো আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে যাবো, আমিও হাসতে ছিলাম তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আচ্ছা আপনার শ্বশুর বাড়িতে গেলে কার সাথে থাকবেন? সে আমাকে নির্দ্বিধায় উত্তর দিল আমার শাশুড়ির সাথে থাকবো, এরপরে আমি আর তার বোন হাসতেছি সে আমাদের হাসি দেখে একটু লজ্জা পেল আর বলল আপনারা হাসতেছেন কেন শশুর বাড়িতে শাশুড়ির সাথে না থাকলে কার সাথে থাকবো তারপরে তার মনে যখন আরো বেশি হাসতেছে তখন সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল হাসার কি আছে আসতেসে কেন আপু আমি বলতেছি না এমনি হাসতেছে তারপর ও আবার বলল তাহলে আমি শাশুড়ি শাশুড়ি দুজনার সাথে থাকবো, তারপর তার বোন আরো বেশি হাসতেছে আমিও হাসতেছি তাদের সাথে হঠাৎ আমার আছিয়া মেয়েটির কথা মনে পড়ল হাসাহাসির মাঝখানে আমি চুপ হয়ে গেলাম........
মনের ভিতরটা কেমন জানি নড়ে উঠলো! আছিয়া মেয়েটাও তো এরই বয়সী একটা মেয়ে ছিল এখনো শ্বশুরবাড়ি কি সেটাই বোঝেনা স্বামীর কথা তো বাদই দিলাম!
আছিয়া ও তো এমনি একটা ছোট্ট মেয়েছিলো যে এখনো এসব কিছুই বুঝে না, ঠিক যখন তার সাথে এগুলো ঘটতেছে তখনও তো সেইগুলো সম্পর্কে ধারণা-ই ছিলোনা তার! এমনকি সে তো এটাও জানতো না যে, এই ঘটনার পরে তার জীবনের সমাপ্তি ঘটে যাবে! তার চোখের সামনে যারা আছে তারা মানুষ নামে কিছু পশু!!এগুলো ভেবে খুব খারাপ লাগছিল আর ওই ছোট্ট মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এর পরেতাঁদের বাসা থেকে বের হয়ে গেছিলাম। ছোট বাচ্চারা শুধু পরিবারের সৌন্দর্য না পুরা পৃথিবীর সৌন্দর্য ঠিক যেমন আসমানের সৌন্দর্য তারা, তাই সুন্দর জিনিসগুলোকে সুন্দরভাবে রাখা আমাদের দায়িত্ব।
বর্তমানে যেহেতু এই সমস্ত ফেতনা বেশি চলতেছে, তাহলে তাদের শাস্তিও এমন হোক, আর সে শাস্তি তারা যদি আপনার আমার পরিবার থেকে হয় তারপরও তার ক্ষেত্রে কোন মায়া কান্না না দেখানো, কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেই দিয়েছেন যে যদি তোমরা বিশ্বাসই হও অর্থাৎ আল্লাহ ও তার পরকালের ব্যাপারে তাহলে এই শাস্তির ব্যাপারে তাদের জন্য মায়া দেখাতে পারবে না, এখানে হোক আপনার নিজের সন্তান বা নিজের ভাই বা নিজের পিতা বা নিজের স্বামী, যেই অপরাধ করবে তার শাস্তি যেটা তাকে সেটাই দেওয়া হোক।
আল্লাহ তাঁয়ালা আমাদেরকে বোঝার তৌফিক দান করুন! আর আমাদের ভাইগুলোকে আল্লাহ মেয়েদের প্রতি সদয় করে দেক।
কেননা আমাদের মা -বাবাদের টেনশন গুলো চোখের সামনে থেকে দেখতেছি তাই মন মানছেনা কিছু তো করতে ও পারতেছি না কি বা করবো, দিন শেষে আমি ও তো একজন মেয়ে আমার ও তো ঘর থেকে বের হলে চিন্তা লাগছে। বার বার আশেপাশে তাকাচ্ছি, ভয়ে ভয়ে পথ পারিদিচ্ছি, খুব খারাপ লাগে বের হলে সেই খারাপ লাগা থেকে এই পোস্টটা করা।
আল্লাহ তাঁয়ালা সকলকে হেফাজত করুন। আমীন.....,
- Get link
- X
- Other Apps
Popular Posts
- Get link
- X
- Other Apps
চাঁদ রাতের গুরুত্ব ও তার গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment