Skip to main content

Featured

ভিড় নয়, মানুষ এর মূল্য মানুষ এর সম্পর্কে তাই অল্প হোক কিন্তু প্রকৃত মানুষ হোক তারা।

এখন সমাজের বেশিরভাগ পরিবারগুলোকে আমার পরিবার বলে মনে হয় না,সুস্থ পরিবার ৮০%আছে কিনা সেটাই সন্দেহ। মনে হয় যেন সবার শুধু পরিবার বৃদ্বি হচ্ছে আত্মীয় না। কারণ অনেক পরিবারের ভিডে আত্মীয়স্বজন গুলো শুধু সংখ্যার হিসেব করতে গেলে অনেক বলে মনে হচ্ছে কিন্তু মন ও হৃদয়ের দিক থেকে একেবারে মায়া ও ভালোবাসা নাই বললেই হয়। মনের দুঃখ বলার মত কোন আপনজনই কারো হয় না, আপনজন হয় শুধু তাদের প্রয়োজনে, স্বার্থ ছাড়া কেউ একটা চকলেটও খাওয়াইতে চায় না, বিপদে পাশে দাঁড়ানোর মত কোন আত্মীয় থাকে না, এমনকি আপনি নিজেও যদি তাদেরকে নিঃস্বার্থভাবে করে থাকেন তবুও অনেক সময় আপনার বিপদে তাদেরকে পাবেন না। আপনার চারপাশে এত মানুষ, এত এতো পরিচিত মুখ, এত স্বজন ও আপজন.  তাও আপনার বিপদে যদি কিছু প্রয়োজন হয় তাহলে সেটা পাবেন ও পরিচিতদের থেকে অর্থাৎ যারা আপনার সম্পর্কিত কোন আত্মীয়-স্বজন না।  অথচ আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্কটা হওয়ার কথা ছিল এমন যে, আপনার বিপদে তাদেরকে পাশে পাওয়া, আপনার কষ্টে তারা কষ্ট, আপনার জীবনটা সহজ করার জন্য তাদের সহায়তা পাওয়া। অথচ এমন পরিবারগুলো এখন দেখাই যায় না খুব অল্প সল্প ছাড়া.., মানুষ মানুষের সাথে...

বৃষ্টি বর্ষণকালের দু'আ ও আরো নির্দিষ্ট কিছু দু'আ কবুল হওয়ার উল্লেখ রয়েছে, মনে থাকার জন্য হলে ও একবার পড়ে নিতে হবে।




** দু'আ কবুল হওয়ার কয়েকটি ক্ষেত্র ও সময়:

বৃষ্টি বর্ষণকালে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (আবু দাউদ-২৫৪০)

** মা-বাবা তার সন্তানের জন্য দু'আ করলে দোয়া কবুল হয় ৷ (তিরমীযি-৩৪৪৮)


** সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়।
(মুসলিম, মূল কিতাব-৮০৬)

** অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দু'আ, কোন মুসলিমের অগোচরে অন্য মুসলিমের জন্য দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। 
(মুসলিম -৬৮২২)

** জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুম ব্যক্তির দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-৩৪৪৮)

** নেককার সন্তানের দু'আ কবুল হয়।
 (বাবা-মায়ের জন্য তাদের মৃত্যুর পর)। 
(আবু দাউদ-২৮৮০)

** আরাফাতের ময়দানে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। 
(তিরমীযি-৩৫৮৫)

** বিপদগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তির দু'আ তাড়াতাড়ি কবুল হয়।
(সূরা নমল ৬২,৫৭ ও সূরা ইসরার ৬৭ নাম্বার আয়াত)

** সেজদায় দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (নাসায়ী১০৪৫)

** হজ্জের স্থানসমূহের দু'আ তাড়াতাড়ি কবুল হয়। যেমন: আরাফাহ, মুজদালিফা, মিনা...। (ইবনে মাজাহ-২৮৯২)

** হজ্জ করা অবস্থায় হাজ্জীর দু'আ কবুল হয়। (ইবনে মাজাহ-২৮৯৩)

** উমরাহ করার সময় উমরাহকারীর দু'আ কবুল হয়। (নাসায়ী-২৬২৫)

** আযানের পর দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-২১০)

**  ক্বিতাল চলাকালীন সময় দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (আবু দাউদ-২৫৪০)

** শেষ রাতের দু'আ, তাহাজ্জুদের সময়কার দু'আ কবুল হয়। (বুখারী-১১৪৫)

** জুম্মার দিনে দু'আ কবুল হয়, আসরের শেষ দিকে তালাশ করার জন্য নির্দেশ আছে। (নাসায়ী-১৩৮৯)

**  লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রির দু'আ কবুল হয়। (বুখারী ও মুসলিম)

** আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়কার দু'আ কবুল হয়। (আহমাদ-১৪৬৮৯, মুসলিম -৬৬৮)

** ফরয সালাতের শেষ অংশে দু'আ করলে কবুল হয়। (সালাম ফিরানোর আগে)। (রিয়াদুস স্বালেহীন ১৫০৮, তিরমীযি-৩৪৯৯)

** মুসাফিরের দু'আ কবুল হয়। (সফর অবস্থায়)। (তিরমীযি-৩৪৪৮)

** রোজাদার ব্যক্তির দু'আ কবুল হয়। (রোজা অবস্থায়) । (ইবনে মাজাহ-১৭৫২)

** ন্যায়পরায়ণ শাসকের দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-২৫২৬)।

** দু'আ ইউনুস পাঠ করে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। 
(তিরমীযি-৩৫০৫) 
দোয়া ইউনুস:-- লা ইলাহা ইল্লা-আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।

** ইসমে আযম পড়ে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। 
(ইবনে মাজাহ-৩৮৫৬)

Comments