«بين الرجل وبين الشرك أو الكفر ترك الصلاة» “মানুষ এবং শির্ক কুফুরীর মধ্যে পার্থক্য সালাত ছেড়ে দেওয়া”। (সহীহ মুসলিম)


 নামাজ হলো ইসলামের অন্যতম একটি স্তম্ভ এবং মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যে ইবাদতের মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলমান তার সময়কে সঠিক বাবেব্যয় করতে পারেন। 

 আর পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সবথেকে বড় নেয়ামত হল সময়। আর আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে আমরা নেয়ামত হাসিলের সব থেকে বড় মাধ্যম হলো নামাজ।

 এখানে একটা বিষয় আরেকটা বিষয়ের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ, এখানে একটাকে ত্যাগ করা মানে আরেকটা কেউ ত্যাগ করা, যেমন আপনি যদি সময়কে মূল্যায়ন না করেন. তাহলে শুধু সময় নষ্ট করছেন এমন না, সময়ের সাথে সাথে আপনি নামাজ এর ওয়াক্ত কেও ছেড়ে দিচ্ছেন ঘড়ি তার স্থান ত্যাগ করা নামাজের সময় ও তার স্থানকে ত্যাগ করা।

 সময় চলে গেলে যেমন সময়টা আর ফিরে আসে না ওয়াক্ত ছুটে গেলেও সেই ওয়াক্তের নামাজটা আপনি চাইলেও আর কখনো পড়তে পারবেন না। নামাজ ঠিকই পড়তে পারবেন কিন্তু ওয়াক্ত মত নামাজ পড়লে যে পরিমাণ সওয়াব ও নামাজের যে গুরুত্বটা ছিল সেটা আর পাবেন না।

 নামাজ হলো একমাত্র মাধ্যম যেটার মাধ্যমে আপনি চাইলে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সন্তুষ্ট লাভ করতে পারবেন। দুনিয়ার জীবনে যেমন ভালো থাকতে পারবেন, তেমনি আখিরাতের জন্যও উত্তম স্থান নিজের জন্য তৈরি করে নিতে পারবেন।

 মানুষকে তো দুনিয়াতে পাঠানোর একমাত্র মাধ্যম ছিল, সে আখেরাতের জন্য দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালার রেজাবন্দি ককরবে। তার হুকুম আহকাম কে সঠিক ভাবে পালন করবে। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্ট যত মাধ্যম আছে সবকিছু সে দুনিয়াতে অন্বেষণ করবে।


•• আর নামাজের গুরুত্ব তো বর্ণনা করে শেষ করার মতো না।

 কারণ দুনিয়াতে আমাদের যা কিছুই প্রয়োজন হয়, সবকিছুই তো আল্লাহতালা বলেছেন আমাদেরকে দিবে কারণ দুনিয়ার প্রয়োজন্ পুরা করার জন্যই তো দুনিয়াতে এসব জিনিস দেওয়া হয়েছে, আর এইসব জিনিস বা প্রয়োজন তো আমাদের জান্নাতের প্রয়োজন হবে না।

 আর দুনিয়ার প্রত্যেক মানুষ তার প্রয়োজন ঠিকই সে পুরা করছে তবে সেটা দুটা মাধ্যমে

১. কেউ আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে খুঁজে নিয়ে তার প্রয়োজন পুরা করছে..

২. আবার কেউ আল্লাহ তাআলার কাছে চাইছে না সে তার প্রয়োজন পুরা করার জন্য মানুষের পিছু পিছু ঘুরছে এবং সেও তার প্রয়োজন পুরা করে নিচ্ছে..

 তবে সে এটা ভুলে গেছে যে, দুনিয়াতে যেটা তার জন্য আল্লাহ তাআলা তাকবীরে লিখে রেখেছেন সেটা যদি বালুর কণা ও হয় তাহলেও সে সেটা পেয়ে যাবে.। হয় সে আল্লাহতালার কাছ থেকে খুঁজে নিবে, আর না হয় সে মানুষের কাছ থেকে খুঁজে নিবে..!

 আর যদি কেউ আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে খুঁজে নিতে চাই। তাহলে সে অবশ্যই প্রথমে সালাত আদায় করবে কারণ আল্লাহ তাআলা সব থেকে বেশি সন্তুষ্ট হন যখন মানুষ সালাতের মাধ্যমে তার কাছ থেকে কিছু চাই।

 আর সালাতের মাধ্যমেই বন্দা তার রবের খুব কাছাকাছি  হতে পারে।

 তাছাড়াও নামাজ তো মানুষকে অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখে, নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার একটা রহমত থাকে ওই বন্দার উপর, যে নিয়মিত নামাজ পড়ে আপনি খেয়াল করলে দেখবেন তাদের চেহারায় অন্যরকম একটা মায়া থাকে।

 সৌন্দর্য আর কালো দিয়ে তাদেরকে কখনোই বিচার করা যায় না, আপনার যদি তার প্রতি ঘৃণা ও থাকে তাহলেও দেখবেন আপনি যখন তার সাথে কথা বলবেন তার চেহারাই বা তার কথাবার্তায় আপনি তার উপর ঘৃণাটা আর রাখতে পারবেন না, কারণ এটা তো আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে একটা রহমত যেটা কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারবে না।

 •• অনেকে বলে না যে টাকা না থাকলে নাকি কোন কিছুরই দাম থাকে না দুনিয়াতে। আসলে কথাটা এমন ছিল না এই ভাইরাল যোগে এসে মানুষ শোনা কথার প্রতি খুব দেউলিয়া হয়ে গেছে. হুট করেই কোন কনটেন্ট ক্রিয়টর বা টিক টক কার সে টাকা ইনকাম করার  জন্য কিছু একটা ভিডিও করলো তার দেখাদেখি আরো হাজারো কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা টিক টক আর সেও এই ভিডিওটা করলো আবার এই ভিডিওর সাথে সংঘর্ষ পূর্ণ কারো না কারো জীবনের ইতি মিলে গেল এবার সেখান থেকেই শুরু হল ভাইরালের এক নতুন জগৎ এবার তাদের দেখাদেখি সবাই এক একটা ভিডিও তৈরি করল যারা ভিডিও নিয়ে কাজ করে আর দেশে যার কাছেই সামান্য একটা ফোন আছে যেটা দিয়ে নেট চালানো যায় লাখ লাখ মানুষ এগুলো দেখতেছে। আর এই কথাটা সকলের মাথার মধ্যে সেট করে নিচ্ছে যে দুনিয়াতে থাকতে হলে তার প্রথমেই টাকা ইনকাম করতে হবে, কারণ সে তো ভিডিওতে শুনেই ফেলেছে যে টাকা না থাকলে মা-বাবাও নাকি মূল্যায়ন করে না।

 এবার শুরু হল মূল্যায়নের জগতে ফেরা, এভাবে মানুষ টাকার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। আর টাকার প্রতি যখন মানুষের রূপ চলে আসবে তখনই চিন্তার আর একটা বিষয় চলে আসবে,

ধরুন.,

একটা লোক অনেকগুলো টাকা ইনকাম করছে, টাকা কি কেউ এমনে এমনে খাইতে পারে অবশ্যই না..!

 তাহলে এখন সে তার ইনকামের টাকাটা কোথায় খরচ করবে..? এই সময়েই তার মাথায় আসবে কিছু কিনা কাটা করার চিন্তা, তারপর সে হয়তোবা কোন মার্কেটে যাবে না হয় ফোন থেকে কিছু কেনাকাটা করবে।

 আচ্ছা ধরুন সে এখন কিছু কেনাকাটা করে ফেলল, এবার তার মাথায় আসবে কি এই জিনিসগুলো তার শো অফ করে দেখাতে হবে, সে এগুলো দেখানোর মাধ্যম খুঁজবে যে কোথায় কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, এবার সে ঘুরতে যাবে অবশ্যই এখনকার যুগে একা তো আর ঘুরতে যাবে না কারণ ঘুরতে গেলে তাকে ছবি কে তুলে ধরে..? হয় তার ফ্রেন্ড সার্কেল না হয় ফটোগ্রাফার এভাবে তার সাথে কেউ না কেউ থাকবে।

 এবার সে ঘুরতে গেল, হাজারো ডিজাইনের ছবি তুলল আপলোড করলো বিভিন্ন জায়গায় স্টোর আচ্ছা এগুলো করার পিছনে তার কতটা সময় ব্যয় হবে আপনি একবার চিন্তা করুন। এই সময় গুলোর পিছনে এমনও হতে পারে যে অনেকের ওয়াক্তের সালাতও ত্যাগ করে ফেলবে।

অতিরিক্ত  টাকার প্রতি যখন মানুষের মুখ চলে আসে, তখন তার মাথায় শুধু একটা চিন্তায় ঘুরে কিভাবে সে টাকার পেট থেকে টাকার বাচ্চা বের করবেন। আর এগুলোর পিছনে সে অনেক কিছু চিন্তাভাবনা শুরু করে দেয় এবং নিজেকেও  এগুলোর পিছনে  ছুটতে ব্যস্ত করে নাই।

 আর ধীরে ধীরে হয়ে পড়ে দুনিয়ার প্রতি লোভী, আর সে আখেরাতের ভয় তার ভিতর থেকে সরিয়ে ফেলে, দুনিয়ার শান্তিতে সে মগ্ন হয়ে পড়ে, আখেরাতের শান্তির কথা সে ভুলেই যায়, আর এই সময়েই তার মুখ থেকে সুন্দর সুন্দর স্লোগান বের হয় আর সে বলতে থাকে দুনিয়াতে টাকা পয়সা না থাকলে কিছুই না, তার অন্যায়ের শাস্তি বা আত্মীয়দের কটু কথা বাবা মায়ের শাসন কেউ মনে হয় অন্যায় বা টাকা কম থাকার কারণ বলে সে স্বীকৃতি দিয়ে দেয়।

 আর যখন সেই এই কথার স্লোগান বা স্বীকৃতি দেয়, তখন তো তার কাছে টাকা থাকে তাই কেউ এই কথাকে ভুল প্রমাণিত ও করতে পারে না।

 কিছুটা ঐরকম হয়ে গেল যে, আল্লাহতালা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন বাজার করার জন্য কিন্তু কিছু মানুষ বাজারে এসে থোলেটাই হারিয়ে ফেললাম। অর্থাৎ সে ভুলেই গেল সে কেন দুনিয়াতে আসলো.! দুনিয়া কি তার স্থায়ী থাকার জায়গা.? রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় এই কথা এসে ভুলে যায় যে তার রাস্তার সাইডে ও কিছু অবস্থা আছে..? তার থেকেও বৃত্ত শালী ব্যক্তিরাও এখানে শুয়ে আছে..!

•• আমরা যতো গুনাহ করিই না কেনো সব গুনা মাফ চাইতে পারবো নামাজের মাধ্যমে আর নামাজ হলো আমাদের জন্য পাপ মোচনকারী।

 আর একজন মুসলমান তখনই মুসলমান হয় যখন সে ঈমান আনার পরে ইসলামের পাঁচটি বিষয়কে সঠিকভাবে বুঝে নেই।

 এই পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে দ্বিতীয়টাই হল নামাজ।

 একজন মুসলমানের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কখনোই তার নামাজকে ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি নাই, একজন মুসলমান নামাজ ছেড়ে দেওয়া মানিত সে কুফরি করা।

একটা ঘর তৈরি করে তো খুটির উপর ভিত্তি করে আর ইসলামের খুঁটি হলো নামাজ।

 একজন মুসলমান আর একজন বিধর্মীর মাঝে পার্থক্য করার জন্য প্রথমেই মানুষ তাদের বৈশিষ্ট্যের প্রতি খেয়াল করে অর্থাৎ দেখে সে নামাজ পড়ছে কিনা অবশ্যই সে অন্য ধর্মের মানুষ হলে যে কখনোই নামাজ পড়বে না।

 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

      «بين الرجل وبين الشرك أو الكفر ترك الصلاة»

“মানুষ এবং শির্ক কুফুরীর মধ্যে পার্থক্য সালাত ছেড়ে দেওয়া”। (সহীহ মুসলিম)

তিনি আরো বলেন,

«العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر»

“আমাদের ও তাদের (কাফিরদের) মধ্যে যে পার্থক্য তা হলো সালাত। অতএব, যে সালাত ছেড়ে দিল সে কুফুরী করল।” 

(আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)

প্রখ্যাত তাবেঈ শাকীক ইবন আব্দুল্লাহ আল-উকাইলী বলেন, “সাহাবায়ে কিরাম সালাত ব্যতীত অন্য কোনো আমল ছেড়ে দেওয়াকে কুফুরী মনে করতেন না।” (সুনান তিরমিযী)

উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “যে ব্যক্তি সালাত ছেড়ে দিল ইসলামে তার কোনো অংশ নেই।” অর্থাৎ আমাদের মুসলমানদের জন্য সালাত এতটাই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইবাদত।

উল্লিখিত  দলীলসমূহ সালাত (নামাজ )

পরিত্যাগকারী বড় কুফুরীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ।

 যদিও সে পরিত্যাগকারী ব্যক্তি সালাত ফরয হওয়াকে অস্বীকার না করে। আর এ মত পোষণ করেন ঈমাম আহমদ (রহ.) এবং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত হাদীস থেকে দলীল গ্রহণ করেন:

«أول ما تفقدون من دينكم الأمانة وآخر ما تفقدون منه الصلاة»

“সর্বপ্রথম তোমরা তোমাদের দীনের যা হারাবে তাহলো আমানত এবং সর্বশেষ দীনের যা হারাবে তাহলো সালাত”। 

(বাইহাকী হাদীসটিকে তার শু‘আবুল ঈমানে বর্ণনা করেন)

 এই হাদিসের প্রমাণ আমার জানা নেই কে কতটা পেয়েছেন তবে আমি এই দোনোটাই চো চোখে দেখেছি। অর্থাৎ আমার সামনেই এই দোনোটা ঘটেছে এমন আমি দেখেছি, যেমন আমার পরিবারে অনেক সময় অনেক জনকে কিছু একটা জিনিস আমানত দিছে যারা আমানতের শেষ পরিণাম খেয়ানত করে ফেলছে। অর্থাৎ  সংরক্ষিত মাল পরিপূর্ণ পায়নি বা একেবারেই পাইনি। যেটাকে আমরা আমানতের খেয়ানত বলি। আমানত বলতে যে জিনিসটা যেভাবে দেওয়া হয় ওইভাবে ফেরত দেওয়া।

আর খেয়ানত বলতে বুঝানো হয় যে জিনিসটা রাখতে দেওয়া হয়েছে ওই জিনিসটার কিছু অংশ নষ্ট করা বা পুরাটাই নষ্ট করে ফেলা।

ইমাম আহমদ রহ. বলেন, “সুতরাং ইসলাম থেকে চলে যাওয়া সর্বশেষ বস্তু যখন সালাত তখন যে বস্তুর শেষ চলে যায় সে বস্তু সম্পূর্ণ নিঃশেষ হয়ে যায়। 

এ জন্য আপনাদের দীনের সর্বশেষ অংশ (সালাত)-কে যথাযথভাবে আঁকড়ে ধরুন, আল্লাহ আপনাদের ওপর রহমত বর্ষণ করুন।”

 (ইমাম আহমদের কিতাবুস সালাত)

 একজন মুসলমান বা একজন বিধর্মী যখন ইসলাম গ্রহণ করে তখন প্রথম এ কালেমার সাক্ষ্য দিতে হয় তার পরেই তাকে সালাত আদায় করতে হয়।

 সে একবার সালাত আদায় করার স্বাদ পাই সে বুঝে সালাত ত্যাগ করার কষ্টটা।

 এ জন্যেই আল্লাহ তা‘আলা সালাতকে ঈমান নামে অভিহিত করেছেন। যেমন তাঁর বাণী:                   وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَٰنَكُمۡ [البقرة: ١٤٣]

“আল্লাহ এরূপ নন যে, তোমাদের ঈমান (সালাত)-কে নষ্ট করে দিবেন।” 

        [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৪৩]

 আমারা উম্মতে মোহাম্মদী ছাড়া ও ছাড়া ও পৃথিবী শুরু হবার পর থেকে যতগুলো নবী রাসুলরা তাদের কম ছিল কোন কম এমন ছিল না যাদের নামাজ ছিল না।

 সৃষ্টি জগতে মানুষ দুনিয়াতে আসার আগেই যখন আদম আলাইহিস সাল্লামকে সৃষ্টি করা হলো তখন ইবলিসকে প্রতারিত করার একমাত্র কারণই ছিল একটা সেজদা..!

 আর দুনিয়াতে কত শত মুসলমান দিনের পর দিন পার করে দিচ্ছে তার রবের সেজদা বিহীন।

  মানুষ কিভাবে তার সালাত কে ব্যস্ততা দেখায় দুনিয়ার হাজারো কাজের মাঝে, আবার অনেকে শুয়ে বসে ও গল্প করে কাটিয়ে দেয় সালাতের সময়। মুভি গান ও অভিনয় পিক তোলা বা পিক আপলোড করা ব্লক করা বা ব্লক এডিটিং করা, ইত্যাদি কাজের জন্য অনেক সময় বা খুব ধীর স্থিরভাবে করলেও নামাজের সময় কোন মত ফরজ নামাজটা পড়ার সময় থাকে অনেকের আবার তাও থাকে না কাজা করে, আর বাকি কিছু মানুষ তো একেবারে ছেড়ে দেয়।



যেখানে সকল ফরজ ওহীর দুনিয়াতে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নিয়ে আসলেও একমাত্র সালাত(নামাজ) টা তিনি আনেন নি।

 যেটা একমাত্র আল্লাহ তাআলা তার নবীকে সরাসরি মেরাজের সময় যখন তিনি আসমানে গিয়েছিলেন তখন উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সাথে কথপোকথন করেন এবং তাঁর প্রতি (পঞ্চাশ) ৫০ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেন। অতঃপর তা থেকে কমিয়ে ৫ ওয়াক্ত বাকী রাখা হয়, যার নেকী ৫০ ওয়াক্তেরই সমান। আল্লাহরই সকল প্রশংসা ও অনুগ্রহ।

 আর বর্তমানে যদি আমাদের এমন হয় যে পাঁচ ওয়াক্ত কেউ মানুষ দুই তিন ওয়াক্তে নিয়ে যায়, তাহলে তো সে অনুগ্রহেরও  অকৃতজ্ঞ হলো।

•• আমাদের আগেও কোন জাতি নামাজ ছাড়া ছিল না, যেমন আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেন,

رَبِّ ٱجۡعَلۡنِي مُقِيمَ ٱلصَّلَوٰةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي [ابراهيم: ٤٠]

“হে আমার রব! আমাকে সালাত প্রতিষ্ঠাকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্যে থেকেও।”

 [সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ৪০]

এবং ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেন,

وَأَوۡصَٰنِي بِٱلصَّلَوٰةِ وَٱلزَّكَوٰةِ مَا دُمۡتُ حَيّٗا﴾ [مريم: ٣١]

“এবং তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যতদিন জীবিত থাকি ততদিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে।” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৩১]

এবং ইসমাঈল আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেন,

وَكَانَ يَأۡمُرُ أَهۡلَهُۥ بِٱلصَّلَوٰةِوَٱلزَّكَوٰةِ وَكَانَ عِندَ رَبِّهِۦ مَرۡضِيّٗا

“সে তার পরিজনবর্গকে সালাত ও যাকাতের নির্দেশ দিত এবং সে ছিল তার রবের সন্তোষভাজন।”

            [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৫৫]

•• বর্তমান যুগে তো আমাদের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম সালাত (নামাজ )পরিত্যাগকারীর ব্যাপারে কুফুরীর ফাতওয়া দিয়েছেন,

আর তাদের শীর্ষে রয়েছেন, মাননীয় (সাবেক) মুফতী শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায ও আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন উসাইমীন (রহ.)।




Comments