Skip to main content

Featured

আমাদের মুখের ব্যবহার আমাদেরকে মূর্খ বানিয়ে দেয় আবার আমাদের মুখের ব্যবহারই আমাদেরকে শিক্ষার উঁচু স্থানে এস্থানে দেয়।

মানুষের জীবনে কথা হলো সব থেকে বড় একটা প্রভাবশালী অস্ত্র ..!  ঠোট থাকলে হয় না  যদি কথাই বলতে না পারে, আর কথা বললে হয় না যদি সেই কথার না থাকে কোন মূল্য..! আমাদের ঠোঁট থেকে বলা কিছু শব্দ বা কথা কখনো কখনো এমন হয় যে মানুষকে মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলা হয়, আবার সেই একই ঠোঁটের কিছু কথা কারও হৃদয়ে আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নও হয়ে যায়।  আমাদের কিছু কথা এমন হয় যে মানুষকে নতুন করে ভাবার সাহস দেয় আবার সেই আমাদেরই কিছু কথা এমন হয় যে একজন আর মনের অনেক সাহস সেকেন্ডে কেড়ে নেয়।  আমাদের এই ঠোঁটের ব্যবহারিত শব্দ চোখে দেখা না গেলেও এটা অনুভব করা যায় খুব গভীর থেকে, আমাদের ঠোঁটের এই উচু নিচু শব্দের ভার আমরা নিজেরাও বইতে পারিনা, আমরা জানি না আমাদের এই ঠোঁটের কোন শব্দ টা কার হৃদয়কে ভেঙ্গে দেয় বা কোন শব্দটা কার হৃদয়কে নতুন করে বাঁচার সাহস যোগায়, ঠিক এই কারণেই আমাদেরকে কারো সাথে কথা বলার সময় খেয়াল করে কথা বলতে হবে, যেন আমাদের ঠোঁট থেকে এমন কোন আচরণ বা এমন কোন কথা বের না হয়, যে কথার কারণে একটা মানুষকে শেষ করে দিতে পারে ভিতর থেকে তার সাহসকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ভালো কথা শুধু  কারো ...

~ মিশরের জনতা বোতলে করে সাগরের ঢেউয়ে খাদ্য ভাসিয়ে দিচ্ছে এটা দেখে আমি মোটেই অবাক হইনি কারণ আমি প্রতিনিয়ত অবাক হচ্ছি মুসলমানদের নিরবতাই।



মিশরের লোকেরা বোতলে করে সাগরের ঢেউয়ে অল্প কিছু খাদ্য ভাসিয়ে দিচ্ছে, যেন আল্লাহর ইচ্ছায় সাগরের ঢেউ এ হলে ও খাবার গুলো গা.জাবাসীর কাছে পৌঁছে যাই।

তারা এই চিন্তা কোত্থেকে পেলো এই বিষটা যখন চিন্তা করতে ছিলাম তখন মনে পড়লো হঠাৎ 

ওয়া মু‘তাসিমাহ এক মুসলিম মহিলার কথা..!

 যে মহিলার চিৎকারে কেঁপে উঠেছিল খিলাফত কারণ এই আওয়াজ একজন মুসলিম মহিলার আওয়াজ।

মুসলিম কোনো যদি বিপদে পড়ে অপর মুসলমানের জন্য তাকে রক্ষা করা ঈমানী দায়িত্ব হয়ে পড়েন,আর এটা তারা যেমন জানতো তারা তেমন মানতো ও।

তাদের ঈমান ছিলো খুব মুজবুত তারা সব কিছুর বিনিময়ে হলো ও ইসলাম কে  মূল্যের শিখডে রাখতেন।

দুনিয়ার হাজারো লোভ তাঁদের কাছে ছিলো তুচ্ছ একমাত্র আল্লাহর ভয় ছিলো তাঁদের কাছে সুউচ্চ তাই তারা সব কিছুর বিনিময়ে হলে ও যাপিয়ে পড়তো যদি দেখতো কোথাও কোনো মুসলিম ব্যক্তির উপরে অন্যয় বা জুলুম হচ্ছে।

 ইসলামে কিছু ঘটনা থাকে যেগুলো শুধু ঘটনাই না এগুলো হলো মুসলিম উম্মার জন্য শিক্ষনীয় এমন কিছু বিষয় যেগুলোর দ্বারা মুসলিম উম্মাহ সঠিক পথের দিশা পাবে।

 মুসলমানদের ঈমান জাগ্রত হবে তাদের দায়িত্ববোধ দ্বিগুণ হবে, তারা সঠিক কাজের মাধ্যমে তাদের আত্মমর্যাদা খুঁজবে, এবং নিজেদেরকে নিজেরাই উচ্চ মর্যাদার অধিকারী করে নিবে।

৯ম শতাব্দীর দিকে আব্বাসীয় খিলাফত থাকা অবস্থাই এক ঘটনা।

খলিফা মু‘তাসিম বিল্লাহ (খিলাফতকাল: ৮৩৩–৮৪২ খ্রি.) ছিলেন ইসলামী দুনিয়ার একজন বলিষ্ঠ নেতা। তার শাসনকালে মুসলিম বাহিনী ছিল শক্তিশালী,ও ঈমানের দিক দিয়ে খুবই মজবুত ও বেশির ভাগ লোক ছিলো ঈমানদার।

সেই সময় বাইজান্টাইন (রোমান) সাম্রাজ্যের সাথে মুসলিম সীমান্তে কিছু উত্তেজনা চলছিল। মুসলিম জনপদের কিছু অংশ ছিল তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেখান খার এক মুসলিম মহিলার সাথে বিধর্মীরা খারাপ আচরণের ফলে যে হৃদয় বিধায়ক ঘটনা ঘটেছিলো তা আমি আরো একবার আলোচনা করতে চাই খুব সংক্ষিপ্তভাবে মুসলমাদের কাজ কি সেটা আবারো  মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। 

এক মুসলিম নারীর অপমান, সেটাকে এখন খুব ছোট আকারে দেখা হয়, বিভিন্ন রাষ্ট্রে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে, পাচ্ছে না খাবার, নেই তাদের বাসস্থান, নেই তাদের কোন নিশ্চয়তা জীবনের, প্রতিটা মুহূর্ত তারা নিঃসঙ্গতায় কাটাচ্ছে, একটু পানির জন্য হাহাকার করছে খাবার তো নাই পেলো, প্রত্যেকটা মুসলিম উম্মার কাছে সাহায্য চাইছে, তারা তাদেরকে কিরূপ সাহায্য দিচ্ছে.? তারা চাচ্ছে তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য অন্য মুসলিম দেশ শুলো এগিয়ে যাক কিন্তু অন্য মুসলমান দেশ গুলো তাদেরকে দিচ্ছে খানা, যখন তারা খানা চাচ্ছে তখন তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে আস্বাস..! আর যখন তারা আশ্বাস চেয়েছিল তখন প্রত্যেকটা মুসলিম কান্ট্রি ছিল নীরব.।

•• রোমান সীমান্তবর্তী এক শহরে এক মুসলিম মহিলা কোনো কাজে বাইরে বের হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন এক গর্বিত মুসলিমা,যিনি ছিলেন পর্দানশীন, ইমানদার এবং আত্মমর্যাদাশীল।

বাজারে গেলে কিছু রোমান সৈন্য ও কুপ্রবৃত্ত লোক তাকে লাঞ্ছিত করে। তারা তার চাদর টেনে নেয়, তার ওপর উপহাস করে অর্থ্যাৎ হাসির পাত্র বানিয়ে ফেলে। এগুলো মুসলিম মহিলাটি এগুলো সহ্য করতে না পেরে তখনকার খলিফার নাম ধরে চিৎকার করে, অর্থাৎ সে এটা বুঝাতে চেয়েছিলো যে খলিফা যেন এটার বিচার করে।

 হে মু‘তাসিম! আমাকে রক্ষা করো..!

একটি অসহায় নারীর মুখ থেকে উচ্চারিত এই চিৎকার কানে আসলেও  না শোনার ভান করেছিল সেই কুফরি সমাজ।

 যেমন এখন কোন এক দেশে মুসলমানের উপর অত্যাচার জুলুম হচ্ছে জেনেও না জানার ভান করে আছে অনেক মুসলিম সমাজ ও অনেক শক্তিশালী মুসলিম কান্ট্রি..।


কিন্তু তখন অনেক কুফরি সমাজ যদিও ওই মহিলার চিৎকারে কান দেয়নি কিন্তু তারপর ও তার চিৎকার থেমে থাকেনি..,

সে চিৎকার বাতাস ছুঁয়ে পৌঁছে গিয়েছিল খলিফা আল-মু‘তাসিম এর দরবারে!

 যখন খলিফা মু‘তাসিমের কানে এই ঘটনার কথা পৌঁছালো, তখন সে অস্থির হয়ে পড়ল, এবং সে চিন্তিত হয়ে বলতে লাগলো.,

যদি আমি এই নারীর চিৎকারে সাড়া না দিই, তবে কিয়ামতের দিন আমি আল্লাহকে কী জবাব দেবো?

তারপর তিনি ৮০,০০০ সৈন্যের বিশাল বাহিনী প্রস্তুত করলেন। ঘোষণা দিলেন:

আমি এমন ঘোড়সওয়ার পাঠাবো যারা সেই শহর দোলিয়ে দেবে, এবং আমি নিজেও যাচ্ছি সেই নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিতে।

 তারপর শুরু হল ওই মুসলিম নারী  সম্মান রক্ষার্থে যুদ্ধ পরে সেই শহর গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো।

মুসলিম বাহিনী রওনা হলো রোমান সীমান্তের দিকে।

সৈন্যদের হাতে ছিল ঈমানের আগুনও এক বোনের অপমানের বদলা নেয়ার অঙ্গীকার।

 এবং মুসলমানরা বিজয়ী হলো আর ওই বোন ফিরে পেল তার সম্মান।




এখন থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে

একটি উম্মাহর নেতার দায়িত্ব শুধু রাষ্ট্র চালানো নয়, বরং উম্মতের সম্মান রক্ষা করাও ফরজ।

 আর এখন এর অবস্থা যদি আমরা বর্ণনা করতে যাই, প্রত্যেকটা রাষ্ট্রের একেক জন নেতা রয়েছে সেই নেতারা কি তাদের কাজ পরিপূর্ণ করছে..? যদি তারা তাদের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে করে থাকতো, তাহলে মুসলিম কিভাবে নির্যাতিত হয়..! যে সময়ে সংখ্যায় খুব অল্প মুসলিম হলেও তারা তাদের দিনকে পতাকা স্বরূপ সকলের সামনে উঁচু রাখতে পেরেছে, আর বর্তমানে এত বেশি মুসলিম কান্ট্রি আর মুসলমানদের সংখ্যা হওয়ার পরেও কেন পারছে না তারা তাদের ধর্মকে উঁচু রাখতে..? একজন মহিলার চিৎকারে যেখানে পুরা একটা শহরের নাম মুছে দিয়ে বিজয়ে হয়ে এসেছিল তারাও ছিল আমাদের মত মুসলমান আর আমরাও তাদের মতোই মুসলমান..! তারা শুধু শুনেছিল এক মহিলার চিৎকারের কথা.!

আর বর্তমানে আমরা হাজারো মুসলিম নারী পুরুষ শিশু ও যুবক এর মৃত্যু ও তাঁদের আহাজারি নিজ চোখে দেখেও চুপ থাকতে পারছি..,

সীমান্তে ত্রাণবাহী ট্রাকের সারি এভাবে আটকে আছে। একটা অনুমতির(!) অভাবে ভিতরে মানুষগুলো ছিবড়ে শুকনো কাঠ হয়ে মারা যাচ্ছেন প্রতিদিন।দুধের শিশু থেকে বৃদ্ধ-জোয়ান সকলকে গ্রাস করছে এই ক্ষুধার মৃত্যু।

এই মৃত্যু পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন মৃত্যু।একটু একটু করে শরীরের সমস্ত অর্গান শুকিয়ে অকেজো হয়ে ভিতরে আত্মা টিক টিক করে নষ্টঘড়ির কাটার মতন। পাশে মা-বাবা অপেক্ষা করেন সন্তানের শেষ নি:শ্বাসের। ফুরিয়ে এলে মাছের কাটার মত দেহটা সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে দাফন করে আসেন।এরপর নিজেদের পালা,

এর চাইতে কঠিন দৃশ্য আর কি হতে পারে যা আমরা দেখে ও চুপ করে আছি..,


একজন মুসলিম নারীর সম্মান এতটাই গুরুত্বপূর্ণ একবার চিন্তা করুণ যে একজন খলিফা তার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

 আর এটাই হলো ইসলাম।

 একজন ভালো আছে আর আরেক একজন খারাপ আছে এটা দেখেও চুপ থাকা কখনো ইসলাম হতে পারে না কারণ ইসলাম আমাদেরকে এমন শিক্ষা দেয় নি। ইসলাম শিখিয়েছে নিজে যা খাই তা তার অপর ভাই কেউ খাওয়াতে, নিজে যা পড়ে তার অপর ভাইয়ের জন্য সেটাকে পছন্দ করতে, কোন মুসলমানের দুঃখ ও দুর্দশা দেখেও চুপ থাকা না, তার বিপদকে নিজের বিপদ মনে করে ঝাঁপিয়ে পড়াকেই ইসলাম শিখায়, যেমন আমাদের এক অঙ্গ ব্যথা পেলে  পুরা শরীর তার ব্যথা অনুভব করে, মুসলিম উম্মাকে এমন হওয়ারই জন্যই বলা হয়েছে, যেন তার কোন ভাইয়ের গায়ে আঘাত লাগলে এটা কোন দেশ ভাগ না করে নিজের গায়ে আঘাত এসেছে এটা ভেবেই সেটার সমাধান করার চেষ্টা করা।

দুঃখজন হলো এখনকার সময়ে এটাই প্রকাশ করে যে মুসলমানদের মধ্যে নেই আগের মত ঈমান, আর ঈমান থাকলেও তাদের মধ্যে নেই আগের মত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, সেটা এই জন্য বলছি যে তখনকার মানুষ জনসংখ্যার দিকে খুব কম হলেও তাদের আত্মবিশ্বাসের দিকে ছিল খুবই ধনী, তারা কতজন মুসলমান আছে বা তাদের দেশে কতটুকু ক্ষমতা আছে বা কতটুকু অস্ত্রশস্ত্র আছে বা টাকা পয়সা এগুলো নিয়ে তারা চিন্তা করত না, তাই হয়তো বা তারা যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারত আর যুদ্ধের জন্য খুব তাড়াতাড়ি ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতো।

 আর বর্তমানে যেহেতু প্রযুক্তি ও আধুনিকতার যুগ এই সময়ে একে অপরের বিপদটা যেভাবে খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি দেখে ফেলতে পারে তেমনি আবার চুপ থাকতেও পারে। আবার কিছু কারণ ও থাকে।

তাই এখন আমরা মুসলিম নারীরা নির্যাতিত হলেও আমরা নীরব থাকতে পারি।

মুসলিম নেতৃত্ব দুর্বল, নির্লজ্জ ও আত্মবিস্মৃত

"ওয়া মু‘তাসিমাহ" আজ আর কেউ শোনে না…,

এটা কি আমাদের ঈমানের দুর্বলতা নয়?

 •• মিশরের জনতা বোতলে করে সাগরের ঢেউয়ে খাদ্য ভাসিয়ে দিচ্ছে এটা দেখে আমি মোটেই অবাক হইনি কারণ আমি প্রতিনিয়ত অবাক হচ্ছি মুসলমানদের নিরবতাই।

 হাশরের ময়দানে যখন আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড় করানো হবে, আমরা নিজেরাও এই নীরবতার কি জবাব দিব আল্লাহতালার কাছে..। 

আল্লাহর ইচ্ছায় সাগরের ঢেউ যেন তাদের খাবার  গা.জাবাসীর কাছে পৌঁছে দেয়।

 মুসলমানদের এই চিন্তা কে আমি সম্মান জানাই কিন্তু আমি ভয় পাই যে,খানার ব্যাপারে যেভাবে মুসলমানরা চিন্তিত  হলো তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য যদি এরকম কোন চিন্তা তাদের মাথায় আনতে পারতো এটাই তো আরও বেশি উত্তম হত..?



তারা এই চিন্তা কোত্থেকে পেল সেটা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও এরকম একটি চমৎকার ঘটনা ঘটেছিল "বনি ইসরা.য়েলের" সময়ে। 

চলুন তাহলে সেই ঘটনা জেনে নেয়া যাক। 

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে থেকে বর্ণিতঃ

❝আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেছেন, বনী ইসরাঈলের কোন এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলের অপর এক ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইল। তখন সে (ঋণদাতা) বলল, কয়েকজন সাক্ষী আন, আমি তাদেরকে সাক্ষী রাখব। সে বলল, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। তারপর (ঋণদাতা) বলল, তা হলে একজন যামিনদার উপস্থিত কর। সে বলল, যামিনদার হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট। ঋণদাতা বলল, তুমি সত্যই বলেছ। এরপর নির্ধারিত সময়ে তাকে এক হাজার দীনার দিয়ে দিল। তারপর ঋণ গ্রহীতা সামুদ্রিক সফর করল এবং তার প্রয়োজন সমাধা করে সে যানবাহন খুঁজতে লাগল, যাতে সে নির্ধারিত সময়ের ভেতর ঋণদাতার কাছে এসে পৌঁছতে পারে। কিন্তু সে কোন যানবাহন পেল না। তখন সে এক টুকরো কাঠ নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং ঋণদাতার নামে একখানা পত্র ও এক হাজার দীনার তার মধ্যে ভরে ছিদ্রটি বন্ধ করে সমুদ্র তীরে এসে বলল, হে আল্লাহ! তুমি তো জান আমি অমুকের নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইলে সে আমার কাছে যামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহই যামিন হিসাবে যথেষ্ট। এতে সে রাজী হয়। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম সাক্ষী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট, তাতে সে রাজী হয়ে যায়। আমি তার ঋণ (যথাসময়ে) পরিশোধের উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আমি তোমার নিকট সোপর্দ করলাম, এই বলে সে কাষ্ঠখন্ডটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করল। আর কাষ্ঠখন্ডটি সমুদ্রে প্রবেশ করল। অতঃপর লোকটি ফিরে গেল এবং নিজের শহরে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে লাগল। ওদিকে ঋণদাতা এই আশায় সমুদ্রতীরে গেল যে, হয়ত বা ঋণগ্রহীতা কোন নৌযানে করে তার মাল নিয়ে এসেছে। তার দৃষ্টি কাষ্ঠখন্ডটির উপর পড়ল, যার ভিতরে মাল ছিল। সে কাষ্ঠখন্ডটি তার পরিবারের জ্বালানীর জন্য বাড়ী নিয়ে গেল। যখন সে তা চিরল, তখন সে মাল ও পত্রটি পেয়ে গেল। কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার দীনার নিয়ে এসে হাযির হল এবং বলল, আল্লাহর কসম! আমি আপনার মাল যথাসময়ে পৌঁছিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে সব সময় যানবাহনের খোঁজে ছিলাম। কিন্তু আমি যে নৌযানে এখন আসলাম, তার আগে আর কোন নৌযান পাইনি। ঋণদাতা বলল, তুমি কি আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে? ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই যে, এর আগে আর কোন নৌযান আমি পাইনি। সে বলল, তুমি কাঠের টুকরোর ভিতরে যা পাঠিয়েছিলে, তা আল্লাহ তোমার পক্ষ হতে আমাকে আদায় করে দিয়েছেন। তখন সে আনন্দচিত্তে এক হাজার দীনার নিয়ে ফিরে চলে গেল।❞

(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৯১)

আমার ধারণা বনি ইসরায়েলের সেই ঘটনা মিশরের এই মানুষগুলোকে সাগরে খাদ্য ভাসিয়ে গা.জায় পাঠানোর ব্যাপারে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

আল্লাহু আলাম

 একজন অনুপস্থিতি ব্যক্তির কাছে কোন সংবাদ বা কোন জিনিস পাঠানোর ক্ষেত্রে এই দুইটা উদাহরণই আমার মনে হয় মুসলমান ব্যক্তির জন্য শুধু ঘটনা হিসেবেনয় এটা একটা জাতিকে দিকনির্দেশনা দেওয়ার একটা মাধ্যম হিসেবে পৃথিবীর বুকে থেকে যাবে।

আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক সময়ে সঠিক জ্ঞান দান করুক। আমীন 



Comments