Featured
- Get link
- X
- Other Apps
স্বামীর মৃত্যু পরে কিংবা তালাক এর পরে নারীরা ইদ্দত পালন এর বেপারে পরিপূর্ণ শদ্ধ আছেন তো..!
ইসলামের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন ইসলাম গ্রহণ করে তখন তার উপরে কিছু বিধান হয় ফরজ. আবার কিছু বিধান হয় ওয়াজিব ও সুন্নাত আবার কিছু থাকে শুধু নফল।
তদ্রূপ কোন মহিলার স্বামী ইন্তেকাল করলেন তার উপরে ইজ্জত পালন করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এই ইজ্জত পালন করাটাকে অনেকে মানতেও চাই না আর অনেকে ভালো করে জানেও না।
আবার অনেকে জানে সে জেনেও এই বিষয়টাকে এড়িয়ে চলে অজুহাত এ।
অথচ , স্বামীর মৃত্যুর পর বা তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের জন্য ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব, যা একটি ফরজ বা বাধ্যতামূলক কাজ
এই সময়কালে মহিলাদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়, বিধবার ইদ্দত হলো স্বামীর মৃত্যুর পর চার মাস দশ দিন।
এই সময়ে তাকে সাধারণত স্বামীর বাড়িতেই থাকতে হয় এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া উচিত নয়।
এই সময়ে বিধবাদেরকে সাজসজ্জা, অলঙ্কার বা বিশেষ সুগন্ধি ব্যবহার করা থেকে নিজে বিরত থাকতে হবে ।
আর যদি কোনো বিধবা গর্ভবতী হন, তবে তার ইদ্দত বাচ্চা জন্ম গ্রহণ পর্যন্ত।
আর যদি কোন মহিলা তালাকপ্রাপ্ত হয় তাহলেও তার ইজ্জত পালনের করতে হবে।
মহিলাদের জন্য ইদ্দত পালনের নিয়ম :--- মূলত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
স্বামীর মৃত্যু,
তালাক বা গর্ভধারণ।
স্বামীর মৃত্যুর পর সাধারণত চার মাস দশ দিন এবং তালাকপ্রাপ্তার ক্ষেত্রে তিন মাসিকস্রাব পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়।
ইদ্দত চলাকালীন অন্য কোনো পুরুষকে বিয়ে করা যায় না এবং কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়, যেমন প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়া এবং সেজেগুজে না থাকা। নিজের পছন্দদের খারাব ও না খাওয়া, স্বামীর বাড়িতে না হয় নির্জন কোন স্থানে অবস্থান করা। ইদ্দত কালীন সময়ে কেউ তাকে বিবাহের প্রস্তাব না দেওয়া আর সেও কাউকে নিয়ে চিন্তা না করা।
ইদ্দতের সময়কাল
স্বামীর মৃত্যুতে: বিধবা হলে চার মাস দশ দিন।
তালাকপ্রাপ্তা হলে:
যে নারীর মাসিক হয়: তিন মাসিকস্রাব বা "তিন হায়েয" পর্যন্ত।
যে নারীর মাসিক হয় না বা কম বয়সী: তিন মাস।
গর্ভবতী হলে: সন্তান প্রসব পর্যন্ত।
স্বামী-স্ত্রীর মিলন বা একান্ত সাক্ষাৎকারের পূর্বে তালাক হলে: কোনো ইদ্দত পালন করতে হয় না।
ইদ্দত পালনের নিয়মাবলী
বাসস্থান: সাধারণত স্বামীর বাড়িতেই ইদ্দত পালন করতে হয় এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত নয়।
বিশেষ প্রয়োজন: যদি জীবিকার জন্য বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হয়, তবে দিনের বেলায় কাজের জন্য যেতে পারে, কিন্তু রাতে বাড়িতেই থাকতে হবে।
সাজসজ্জা: ইদ্দত চলাকালীন সময়ে সেজেগুজে থাকা, অলঙ্কার পরা এবং অন্য পুরুষদের আকর্ষণ করে এমন পোশাক পরা নিষিদ্ধ।
বিয়ে: ইদ্দত শেষ হওয়ার পরই শুধুমাত্র অন্য কাউকে বিয়ে করা বৈধ।
গর্ভ পরীক্ষা: ইদ্দতের একটি উদ্দেশ্য হলো নারীর গর্ভাশয় পরীক্ষা করা, যাতে দুই স্বামীর থেকে সন্তানের বংশের সংমিশ্রণ না ঘটে।
ইচ্ছাকৃত বিলম্ব: ইদ্দত সম্পর্কে পরে জানতে পারলেও তালাক বা মৃত্যুর দিন থেকে ইদ্দত শুরু হয়, তাই ইদ্দতের সময়কাল অবশ্যই গণনা করতে হবে।
- Get link
- X
- Other Apps
Popular Posts
- Get link
- X
- Other Apps
চাঁদ রাতের গুরুত্ব ও তার গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা।
- Get link
- X
- Other Apps

Comments
Post a Comment